somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ অধমের জন্মদিনে...

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের তারিখটা কিন্তু দারুণ। ১৭-০১-১৭। ১৭ গুণ ১ = ১৭। প্রতিটি ডিজিট যোগ করলেও ১৭ হয় (১+৭+০+১+১+৭ = ১৭)। দারুণ একটা বিষয় 'আবিষ্কার' করলাম তো!

মানুষ যে কেন বড় হয়! বিশেষ করে ছেলেদের বড় হওয়া ঝামেলার। যতই বড় হচ্ছি, ততই বাড়ছে দায়িত্ব, প্রত্যাশার চাপ। পড়ালেখা করো মন দিয়ে, পড়ালেখা শেষে আবার পড় চাকরির পড়া, চাকরি পেলে এবার একটা বিয়ে করো! আর যেই বিয়ের জালে ফেসে গেলে, সেই তোমার ঘাড়ে বাড়তি এক পরিবার। বড় হলেই মানুষের আসল চেহাড়া দেখা যায়!

তবুও তো মানুষ বড় হয়! বড় তো হতেই হয়। ছোট থাকতে চাইলেও সে পারে কই? পারে নাতো! আমিও তো বড় হচ্ছি। চলে গেলো আরও একটি বছর। হতাশা, ব্যার্থতা আর হয়তো কিছু সাফল্যও অর্জন করেছি। কিন্তু আসল কথা হলো, আমি পথ ধরে হাঁটছি। ঠিক না বেঠিক পথ আমি জানি না, শুধু জানি থেমে নেই আমি। আজকালকার দুনিয়ায় সত্য ও সুন্দরের পথে টিকে থাকার চেষ্টাটাই বা কম সাফল্যের কে বললো?

মা একটু আগে ফোন দিলো। দিয়ে মনে করিয়ে দিলো, সেই দিনটাও নাকি মঙ্গলবারই ছিল, বাংলায় ৩ মাঘ, ইংরেজিতে ১৭ জানুয়ারি। ঠিক আজকের মতো অথবা এর চেয়ে বেশি শীত ছিল সেই রাতে। ফরিদপুরের পানি ওয়াপদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) এর নির্মাণ কাজ চলছে। পিছের বাড়িটাই আমাদের ছিল। রাত আনুমানিক ৩টায় মায়ের প্রসব বেদনা উঠলো। রিক্সায় করে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা সফল হতে দিলাম না আমি। দুনিয়া দেখতে চাই, জলদি, তখনই। রিক্সায় ওঠার আগেই সেই নির্মাণকাজের জন্য এনে রাখা খোয়া বালির মাঝে লাফ দিয়ে পড়লাম। কোনো কান্নাকাটি নাই। মা থেকে আমাকে আলাদা করা হলো। তারপর দাদু তাঁর সাদা খদ্দরের চাদরটা দিয়ে দু-তিনবার আমাকে ঝাঁকি দিতেই, সেই যে কান্না শুরু করলাম, তা আজও নিরবে অথবা সরবে চলছে।

গল্পটা বাবার মুখে শোনা। বাবা বলতো, সেই রাতে আমার নাকি বাঁচারই কথা ছিল না। বেঁচেই যেহেতু গেছি, সেহেতু বাবার মতে আমি 'খুব বড় কিছু হবো', খুব ভালো অথবা খুব খারাপ কিছু। (আমার আগে বাবা-মায়ের এক সন্তান পৃথিবীর আলো দেখেনি। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ সে বেঁচে থাকলে 'পরিবার পরিকল্পনা'মাফিক আমি আর জন্ম নিতাম না!)

কী হচ্ছি বা কী হবো জানিনা, শুধু জানি, এখনও বেঁচে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আবেগ অভিমান হতাশা ঝেরে ফেলে, বাস্তবিক হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। সবার জন্য সুন্দর ও ভালোবাসার রঙে রাঙ্গানো একটা পৃথিবী গড়তে চাই।

-দেব দুলাল গুহ
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৬
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×