somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাম্বার চাওয়ার প্রতিদানে নিজের বিভাগেই হতে হলো অপমানিত!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজের ডিপার্টমেন্ট, যেখানে টানা ৫-৬টি বছর কাটিয়েছি অনেক হাসি-কান্নার স্মৃতি জমিয়ে, সেখানেই আজ চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখা পেলাম না, কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তাঁর নাম্বার চাইলে পাশে বসে থাকা একজন সিনিয়র শিক্ষক, যিনি বর্তমানে সরকার দলীয় প্রভাবশালী শিক্ষকনেতা, বিনা দোষে আমাকে অকথ্য ভাষায় অপমানিত করে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেন! চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে পারলে আমাকে মারেন, এমন অবস্থা! অথচ আমিতো তাঁকে দেখা মাত্রই চেয়ার ছেড়ে উঠে সালাম দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, 'স্যার কেমন আছেন?'



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিভাগীয় প্রধানের ফোন নাম্বার চাওয়াটা কি অন্যায়? নাকি এক্স-স্টুডেন্ট হয়ে গেলে আবার কোনো কাজে অথবা নিতান্তই দেখা করে সালাম জানিয়ে আসতে যাওয়াটা অন্যায়ের ভেতর পড়ে?



এই 'শ্রদ্ধেয়' শিক্ষকই ছাত্রাবস্থায় থার্ড ইয়ারে আমাকে একটি টিউশন দিয়েছিলেন, আমি ভুলে যাইনি। ভুলে যাইনি ৬ মাস পড়ানোর পর বেতন বাড়ানোর অনুরোধ করেছি শুনে তাঁর সেই ফোন, সেই বকাঝকা। (অথচ সেই ছাত্র ও তার বাবার সঙ্গে আমার এখনো সুসম্পর্ক আছে।) তারপর সেই বছরই ল্যাব পরীক্ষায় ইচ্ছা করে খারাপ মার্ক দেয়া, ৬৯.৫ মার্ক পেয়েও সেই ৮ ক্রেডিটের কোর্সে মাত্র ০.৫ মার্ক না পাওয়া। সাধারণত কেউ ফ্র‍্যাকশন মার্ক পেলে তা পূরণ করে পূর্ণ নম্বর করে দেয়া হয়। কিন্তু সেটা আমার ক্ষেত্রে হয়নি। কারণ তিনিই ছিলেন কোর্স কো-অর্ডিনেটর! শুধু কি তাই? হলের পলিটিক্যাল গ্রুপ আমাকে সিটের থেকেই নামিয়ে দিল, আমাকে আশ্রয় নিতে হলো অন্য হলে বন্ধুদের সাথে, সেই বছরই! তাঁর সিইডি কোর্সেও কোনোমতে পাশ করেছিলাম! আরও কতকিছু যে মাথায় ঘুড়ে!



সেই ল্যাবের মাত্র ০.৫ মার্কের জন্য মাস্টার্সে আমি থিসিস করতে পারিনি, আমাকে করতে দেয়া হয়নি! পরবর্তীতে তাঁর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা লিখতে বলেছিলেন, আমি লিখিনি। হয়তো এসবই আমার দোষ! এজন্যই আজ আমাকে সবার সামনে এভাবে হেয় করা হলো? হায়রে ক্ষমতা, হায়রে ছোটলোকি!

(তাঁর নামের অদ্যাক্ষর 'ই'। ইশতিয়াক এম সাঈদ। )



#DU_Physics
#Shame
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×