somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তবুও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিদিন আমি একটু একটু করে মানুষ চিনি, আর অল্প অল্প করে বড় হই। আজব এ শহরে মানুষের যে কত রূপ! কত রঙ্গ যে জানে সেই মানুষগুলো!

অনেকদিনের চেনা মানুষটিকেও হঠাত কেমন অচেনা লাগে। আবার অল্প কদিনের পরিচিত মানুষটিও কেমন মুহূর্তেই আপন করে নেয়! বিপদে যার এগিয়ে আসার কথা সবার আগে, তাঁকে তখন খুঁজে পাওয়া যায় না আশেপাশে। যাকে কখনই আশা করেন নি, তাঁকেই হয়তো পেয়ে যেতে পারেন কষ্টের দিনে। আর যদি কাউকে না পান, দেখবেন নিজের মাঝেই অন্য এক আমির অস্তিত্ব টের পাবেন। এই আমিত্বটা স্রষ্টার দান। যার কেউ নেই, তাঁর জন্যও মনে হয় কেউ একজন থাকেন।

কেউ কেউ মানুষকে কষ্ট দিয়ে পৈশাচিক আনন্দ পায়। অনেক ক্ষতি করার পরেও যখন সে দেখে, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষটি তারপরেও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগিয়ে চলেছে, তখন সে ঈর্ষান্বিত হয়। নিজের ভেতরের পশুত্ব দিয়ে অর্জন করা ক্ষমতা তখন সে আবার ব্যবহার করে নিরীহ মানুষটির ওপর। তারপর আবার খারাপদেরকে দলে নিয়ে ঐ মানুষটিকেই দোষী সাব্যস্ত করতে চায়। নিরীহ মানুষটির সাময়িক কষ্ট হয়, কিন্তু একদিন সে-ই কিন্তু জয়ী হয়। চলার পথে প্রত্যক্ষভাবে নাহলেও পরোক্ষভাবে ঐ পিশাচদের দলে নাম লেখাতে না পারা কেউ কেউ ছায়া হয়ে পাশে এসে দাঁড়ায়। সর্বোপরি, সত্যের জয় একসময় ঠিকই হয়।

গতকালের ঘটনার পর আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ যারা ব্যাক্তিগতভাবে ফোন দিয়ে মেসেজ দিয়ে কিংবা ডেকে নিয়ে ভালোবাসা ও স্নেহ জানিয়েছেন, দুঃখপ্রকাশ করেছেন, আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের মতো মানুষরা আছে বলেই এই পৃথিবীতে সমাজ এখনও টিকে আছে, আমরা স্বপ্ন দেখার সাহস পাই। কিন্তু আফসোস, ক্ষমতা তো সেই অপশক্তির হাতেই কুক্ষিগত, যারা সদলবলে ঘোরে, নেকড়ে বা হায়নার মতো দলবেঁধেই নিরীহ হরিণের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। এখানেও তাই হয়েছে, এ আর নতুন কি!

গতকাল খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম, আজ সেই তুলনায় অনেক ভালো আছি। পর কষ্ট দিলে এতটা খারাপ লাগে না, যতটা লাগে আপন ভাবি যাদেরকে তাঁদের কেউ দিলে। সবচেয়ে বড় কথা, আমি নিজে তো জানি আমি সঠিক, মনের কাছে ঠিক থাকাটাই বড় কথা। শ্রদ্ধেয় সিনিয়র শিক্ষকগণ, এমনকি বিভাগীয় প্রধান, বন্ধুবান্ধব, ছোটবড় প্রায় সবাইকেই পাশে পেয়েছি দেশ-বিদেশ থেকে, তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে নয়। ক্ষমতাবানের রোষানলে পড়তে কে চায়? পাশে পেয়েছি সেই বড় আপুটিকে যিনি তাঁর হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে সময় দিয়েছেন, মন ভালো করার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টা আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। আমি আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা রাখি, আমার অন্যান্য মন খারাপের কারণগুলোও অচিরেই দূর হয়ে যাবে। সবাই ভালো থাকবেন।

২৬/১/২০১৭
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×