somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কারা গ্রেপ্তার হলো জোরপূর্বক হোলি খেলার ঘটনায়+৯

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কী মারাত্মক এক নাটকই না মঞ্চস্থ হলো! ভাগ্যক্রমে এ যাত্রায় ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।

হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোলির দিন কিছু বহিরাগত ঢুকে গেলো, জোর করে রঙ মেখে দেয়া হলো হিজাবী তরুণীর মুখে। সবাই দেখে ভাবলো, পর্দানশীল নারীর সঙ্গে হিন্দুরা ধর্মের নামে সবার সামনে অসভ্যতা করছে! অথচ, পরে দেখা গেলো সেই বখাটে ছেলেগুলো আসলে মুসলিম। গ্রেপ্তার তিনজনের তিনজনই মুসলিম। পুলিশকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাতেই হয় এই সময়োচিত পদক্ষেপের জন্য। সরকার সফলভাবে আরেকটি নাসিরনগরের মতো হামলার ঘটনা ঘটার আগেই রুখে দিলো।

৯০%+ মুসলিমের এই দেশে এমনিতেই সংখ্যালঘুরা সবসময় থাকে এক চাপা আতংকে। কখন কি বলে বা করে আবার কোন বিপদে পড়ে! কে না আবার হুমকি দিয়ে বসে, দেশ ছেড়ে পালাতে হয়, অন্যদেশে আশ্রিত হতে হয়! সেই দেশে কোন হিন্দুর এতো সাহস যে সে একজন পর্দানশীল নারীর মুখে রঙ দেয়? এটা কি আদৌ সম্ভব? অথচ এটাই যেন সবাইকে গিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলো! ৮-৯ বছরের কাছের বড় আপুটিও বিষয়টি ভুল বুঝলো। অথচ সামান্য কমন সেন্সটুকু ব্যবহার করলেই সে বুঝতো এটা নিছক প্রপাগেন্ডা মাত্র।

এমনিতেই রঙ খেলা অনেকটাই কমে গেছে এখন। আমাদের ছেলেবেলায় ফরিদপুরে হোলির দিন ঘোড়ায় বর-কনে সাজিয়ে আনতো, সাথে থাকতো ব্যান্ড-পার্টি বা মাইক। এলাকায় এলাকায় ঘুড়তো সেই দল। অন্যদলকে দেখলে রঙ ছিটিয়ে দিত। যারা রঙ খেলতে চাইতো, তারা বাইরে বের হতো, খেলতো। সেজেগুজে আসার খরচ বাবদ প্রতি বাড়ি থেকে চাঁদা তুলতো। অবশ্য কিছু ছেলেপেলে সবসময়ই থাকে ত্যাঁদড় প্রকৃতির, তারা রাস্তায় কাউকে পেলে বা ঘরের জানালা দিয়ে জোর করে রঙ দিয়ে দিতো। মুরুব্বিরা তাদের বকে দিতেন। সারাদিনের কালেকশনের টাকায় রাতে সবাই মিলে খিচুরি রান্না করে খেত। এই এক আনন্দ ছিল তখন, পড়ুয়া ও ঘরকুনো থাকার কারণে কোনোকালেই যার অংশ ছিলাম না আমি। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ কোনোদিন আমার গায়ে রঙ দেয়নি। অথচ এখন এসব কিছু হয় না বললেই চলে। যাও একটু চলে পুরান ঢাকায় ও মফস্বলে, তাও বন্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে কি?

আচ্ছা, রঙ যে খেলবে না সে না খেলুক, যে খেলতে চায় সে খেলুক। এখানে জোরাজুরির কি আছে? হিন্দুদের হোলি খেলায় কোনো বিধর্মী স্বেচ্ছায় রঙ খেলতে গেলেই কি তার ধর্ম যায়? হিন্দু ছেলেটিও তো ঈদের সময় তার মুসলিম বন্ধুটির বাসায় সেমাই-জর্দা খায়, খাশির মাংসও খায় গরুর গোসত খাওয়া বন্ধুর পাশে একই টেবিলে বসে। তাতে কি তার ধর্ম যায়? ধর্ম কি এতই ঠুনকো একটা বিষয়? একটু রঙ খেললেই বা একজনের বাড়িতে আরেকজন একবেলা খেলেই সারাজীবনের নামাজ-কালাম কিংবা পূজা বৃথা হয়ে যায়?

http://www.bdlive24.com/home/details/175538
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×