somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলের সিঁড়িতে বসলে এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলের সিঁড়িতে বসলে এমন কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়? কেউ বসলেই কেন বাজেভাবে উঠিয়ে দেওয়া হয়? এটা তো রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আদর্শ নয়! স্বামীজিও কি কোথাও এমনটি করেছেন? আগে আরও হাস্যকর নিয়ম ছিল, যেমন মন্দিরে কথা বলা বা ছবি তোলা যাবে না! ছাত্রাবাসে মোবাইল রাখা যাবে না, গান শোনা যাবে না! এখন নাকি এসবের সবই চলে।
.
নটরডেম কলেজে পড়াকালীন সময়ে যখন ছাত্রাবাসে থাকতাম, তখন এলাকা থেকে বাবা-মা বা অন্য কেউ এলে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলের সিঁড়ি, লাইব্রেরির সামনের ফাঁকা জায়গায় বসতাম। এসব জায়গায় বসতে হতো কারণ অন্য কোথাও বসার এবং কথা বলার সুবন্দোবস্ত ছিলো না। শুধু যারা বড় অংকের ডোনেশন করতো, তাদের কথা ছিলো ভিন্ন। আজ সেখানে গিয়ে দেখি, স্কুলের সিঁড়ি বা লাইব্রেরির সামনে কেউ যদি জুতা পড়ার জন্য অথবা ২ মিনিট রেস্ট নেয়ার জন্যও বসে, তাকে দূর থেকে নিরাপত্তা বক্সে বসে থাকা আনসার সদস্য কিংবা মিশনের কর্মীরা পরিচয় না জেনেই আঙুলের ইশারায় উঠিয়ে দিচ্ছে, না উঠলে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিচ্ছে! সাবেক ছাত্রদের সাথেও একই ব্যবহার করতে দেখে অবাকই হতে হয়। অথচ তাদের কেউই সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন না বা নেশাও করছিলেন না। কোথাও লেখাও ছিলো না যে ওখানে বসা নিষেধ!
.
বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী অভিযোগ জানাতে গেলে অমল মহারাজ জানালেন, তিনি অনেকদিন ধরেই অফিসের দায়িত্বে নেই। তাঁর পরামর্শে অফিসে গিয়ে অভিযোগ করে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। মৃদুল মহারাজকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে আনসারের মহাপরিচালক অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দেন! এমন পরামর্শ শুনে উপস্থিত এক ভদ্রমহিলা একে 'মশা মারতে কামান দাগানো' নামে অভিহিত করেন এবং বিষয়টি ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
.
এখন কথা হচ্ছে, নিরাপত্তার নামে এমন দুর্ব্যবহার কারো কাম্য কিনা? ধর্মীয় উপাসনালয়ের সঙ্গে জড়িতদের ব্যবহার শুধু বড় ডোনারদের সাথেই অসম্ভব ভালো আর বাকিদের সঙ্গে আশানরূপ নয়, এমন অভিযোগ অবান্তর কিনা? কারা বসছেন কমিটিতে?
.
আরেকটি বিষয় বলে রাখি, রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রাবাসে যেসব ছেলেরা থাকে, যারা সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে প্রার্থনায় যায়, পূজায় দায়িত্ব পালন করে, থালা হাতে করে খেতে যায়, এমনকি নিজেদের টয়লেট নিজেরা পরিস্কার করে, তারা কিন্তু সবাই প্রখর মেধাবি, দেশের সেরা কলেজ নটরডেম কলেজের ছাত্র; এদের কেউই এতিম নয়, গরিব থাকলেও থাকতে পারে দুই-একজন, এরা সবাই ঢাকায় হোস্টেলে থাকতে যে পরিমাণ টাকা লাগে তার চেয়ে কম নয় বরং বেশিই নগদে পরিশোধ করে থাকে। শুধুমাত্র নীতিশিক্ষার নাম করে তাদেরকে দিয়ে এসব করানো হয়। বাবা-মা এখানে ছেলেদের রাখেন নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়, পড়ালেখার পাশাপাশি আরও কিছু শিখবে এই আশায়। কাজেই, এদেরকে এতিম অসহায় বলে এদের জন্য কেউ অর্থ সাহায্য চাইলে কেউ তা ভুলেও দেবেন না। সবার শুভবুদ্ধি জাগ্রত হোক। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×