পর্দাটা লাগাতে হবে পুরুষের মনের খারাপ চিন্তায় আর কুদৃষ্টিতে। নারী শালীন পোশাক পড়লেই হবে। অতিরিক্ত ঢেকে রাখতে যাওয়া মানে পুরুষের দাসত্বকে স্বীকার করা, নিজেকে পণ্য হিসেবেই জাহির করা। খাবারকে ঢেকে রাখতে হয়। নারী কি খাদ্য? তাই বলে আমি কিন্তু পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধে বলছি না। ধর্মে শালীনতা বজায় রেখেই পোশাক পড়তে বলা আছে।
.
নারী,
তুমি সুন্দর হলে তোমাকে দেখে মানুষ তাকাবেই, আমরা সবাই সুন্দরের পূজারী। কিন্তু তোমাকেই বুঝে নিতে হবে সেই চাহনিতে ভালোলাগা আছে নাকি আছে শুধু শরীরের প্রতি লোভ।
.
তোমাকে দেখে অনেক ছেলে প্রেমে পড়বে, পড়ুক, স্রষ্টা ওদেরকে বানিয়েছেন এভাবেই, তোমাকেও সেভাবেই বানিয়েছেন সেই হরমোন দিয়ে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সবারই থাকে। ঠিক তেমনি একটা স্মার্ট হ্যান্ডসাম ছেলে দেখলে তোমারও তাকে ভালো লাগবে, কিন্তু ছেলেটা কি বোরকা পড়ে বের হবে না হয়? ছেলে যদি না বের হয়, তবে মেয়ে কেন?
.
যেটুকু ঢাকলে শালীনতা বজায় থাকে, গোপন অঙ্গ দেখা না যায়, তাতেই যথেষ্ট। বেশিদিন না, বছর বিশেক আগের ছবি দেখো, মা-খালার ইয়াং বয়সের ছবি দেখো, কী সুন্দর এক কাপড়েই তাঁরা পর্দা করতেন! তাঁরা কি খারাপ ছিলেন?
.
পুরুষ যেমন ইচ্ছামতো পোশাক পরে যেখানে খুশি যেতে পারে, নারীও সেটা পারে। নারীকে ঘরে আবদ্ধ করা হতো, ঢেকে রাখা হতো সেই বেগম রোকেয়ার যুগে। তিনি সেই যুগে এসবের বিরুদ্ধে একা লড়েছেন, লিখেছেন। আজ এই আধুনিক যুগেও মেয়েরা নিজেদেরকে বেগম রোকেয়া ভাবতে পারে না। দুষ্টু ছেলের কুদৃষ্টি দেখে, কিন্তু একটা ভদ্র সুন্দর ছেলের লাজুক চাহনি দেখে না, লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার মাঝে প্রেম খুঁজে পায় না।
.
তুমি মেয়ে, এটা তোমার দুর্বলতা নয়, তাই তুমি নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবে না। শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরে বাইরে বের হবে। কেউ বাজে কমেন্ট করলে বা কুদৃষ্টি দিলে সেটা তার দোষ, তোমার না। তাকে রাস্তার কুকুর ভেবে এড়িয়ে গিয়ে সামনে এগিয়ে যাও।
.
নারী তুমি গাও শেকল ভাঙার গান।