তীব্র শীত, কিন্তু গোসলটাও তো করা দরকার! তাই গামছা গলায় বাথরুমে যান। প্রথমেই শাওয়ারের নিচে গিয়ে দাঁড়াবেন না, ধীরে ধীরে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সেখানে যাবেন। যেমন ধরুন শুরুতে ডান পা এগিয়ে দিলেন, ডান পা পবিত্র হলো। এরপর বাম পা পবিত্র করে নিন। অত:পর দুই হাত আর মুখ। বগল থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, তাই বগলে পানি দেয়ার আগে অল্প করে সাবান লাগিয়ে নিন। আরও একটি বিশেষ জায়গায় সাবান লাগানো জরুরি। তারপর মাথায় পানি ঢালুন।
.
এরপর গোসল করা মানে নিজের গোটা শরীরকে শাওয়ারের নিচে রাখার সংগ্রাম। এই সংগ্রামের আর প্রয়োজন আছে কি? মাথা, হাত, পাসহ শরীরের এত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহে পানি ঢেলেছেন, এটাই কি যথেষ্ট নয়? তবুও পারলে চোখ বুজে টুপ করে 'দেখি নাই' স্টাইলে শাওয়ারের নিচে চলে যান, আর অল্প শব্দে 'উহুহুহুহু..' বলুন। না গেলেও আপত্তি নেই। শরীরের চারদিকে জলের স্পর্শ দিয়েছেন, তাতেই অনেকটা পবিত্রতা পেয়ে গেছেন।
.
ব্যাস, হয়ে গেলো শর্টকাটে শীতের গোসল! কেউ যদি এই প্রক্রিয়াকে 'পিশাচের পিশাচিপনা' অথবা 'অলসের ভণ্ডামি' কিংবা 'ভীতুর ভীরুতা' বলে কটাক্ষ করে, মোটেও পাত্তা দিবেন না। আর যদি শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তবে দাম দিয়ে দামি বডিস্প্রে কিনুন! এসব মার্কেটে পাওয়া যায় আর কেনো?
দেব দুলাল গুহ