বাংলাদেশ এই বিশ্বের একমাত্র দেশ নয় যেখানে কেবল জঙ্গী হামলা হয়েছে। জঙ্গী হামলা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেও হচ্ছে। ফ্রান্সে পর পর কয়েকটি বড় মাত্রার জঙ্গী হামলায় একশ'র ওপড় মানুষ মৃত্যুবরন করেছে। কিন্তু ফ্রান্সের গনমাধ্যম এবং টেলিভিশন মাধ্যম জঙ্গীদের চেহারা প্রকাশ করেনি। বিতর্কিত আমাক সাইটে ফ্রান্সের জঙ্গীদের কাল পোষাক ও পাগড়ি পরা ছবি প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু কোন গনমাধ্যম বা টেলিভিশন চ্যানেলে সেসব ছবি প্রকাশিত হয়নি। শুধু সেসব ছবিই নয়, জঙ্গীদের কোন ছবিই তারা পত্রিকায় প্রকাশ করতে নারাজ।তাদের যুক্তি এসব ছবি জঙ্গীবাদের প্রচারনা আরো বৃ্দধি করে, যেটা আইএস চায়।এছাড়া আমাক সাইটের প্রকাশিত ছবিতে জঙ্গীদের হিরো প্রমান করার একটা প্রচেষ্টা আছে যেটাতে তরুন সম্প্রদায় জঙ্গীবাদে আরো উৎসাহিত হতে পারে। যেটা তারা সরাসরি বলেনি সেটা হচ্ছে এইসব প্রচারনায় দেশের ইমেজও বহির্বিশ্বে নষ্ট হয়।
গুলসান ও শোকালিয়া এটাকের পর আমাদের পুলিশবাহিনি জঙ্গী দমনে ভালই দক্ষতা দেখিয়েছে। আর সরকারো এই ইসূতে কঠোর অবস্থান নেবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হলে। গনমাধ্যমের এখন উচিৎ এই ইস্যূ নিয়ে সংযম প্রকাশ করা। গত একমাস ধরে যেভাবে জঙ্গীদের ছবি ও জীবন কাহিনী পত্রিকায় প্রতিদিন ছাপা হচ্ছে তাতে দেশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশে কর্মরত প্রচুর বিদেশী দেশ ছেড়ে চলে গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ খবর যেটা সেটা হচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের উচ্চবিত্ত, ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া ছাত্ররা জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ার খবরে সম্ভবত ব্রিটিস কাউন্সিল ভয় পেয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। কিন্তু তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে হবে যেটা সরকারের দ্বায়িত্ব।আর গনমাধ্যমের দ্বায়িত্ব জঙ্গী ইস্যূ নিয়ে রংচঙ্গা খবর ছাপানো বন্ধ করা। ফেসবুকে যাই প্রকাশ পাবে সেটাই গনমাধ্যমে ছাপানোর কোন যুক্তি নেই।বিদেশিরা গনমাধ্যমের খবর গুরুত্বের সাথে নেয়, সুতরাং তাদের সংবাদ প্রকাশে দ্বায়িত্বশীল হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬