somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি পেশার আর্তনাদ ও ডাকাত মহোদয়ের প্রতি আর্জি ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক ভয়ংকর নিরাপওায় দিনাতিপাত করছি । সাথে সাথে জাগতিক সকল ক্লান্তি নিয়ে বসে আছি । ফলাফল দেহকে বিলিয়ে দিচ্ছি ডাকাতির চাপাতিতে । আর মনকে আবদ্ধ করছি ব্যক্তিগত সকল ব্যস্ততার ঘেরটোপে । আমার নিস্তার নেই । না দেহে । না মনে ।
কিছুদিন আগে বাপ-দাদার প্রদও জানের উপর রাষ্ট্রীয় কু’নজরের আশংকা করেছিলাম । আমার স্বজাতির কিছু মানব সন্তানের উপর রাষ্ট্রীয় কু’নজর আদিষ্ট হলেও এ যাত্রায় আমি রক্ষে পেয়ে গেছি । আমার স্বজাতির জন্য শুভকামনা রইল । আশাকরি সৃষ্টিকর্তার দয়ায় সহিসালামতে বাপ-দাদা প্রদও জান নিয়ে সকলে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পারবে ।
পৃথিবীতে ব্যাংকিং পেশার মতো নিরীহ পেশা দ্বিতীয়টি আছে কিনা আমার সন্দেহ । বিশেষত বেসরকারী ব্যাংক । অবশ্য আমার এ দায় দাবীর উপর অনেকেরই আপওি থাকতে পারে । আমি তা অগ্রাহ্য করছি না । কিন্তু নিজের উপর যে সংবেদনশীলতা ক্রিয়া করে তাতে কারো আপওিই অকাতরে ফেলে দেওয়ার মতো নয় । না আমার । না অন্য কারো ।
কিছুদিন আগে আশুলিয়ায় ব্যাংকে ডাকাতি হলো । এবং হালি দু’য়েক জানের উপর যমদূতের নেকনজর পরায় জনসংখ্যার ভারসাম্য ক্রিয়ায় একটা গতি পেল । সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় ক্রমবর্ধমান আইন শৃঙ্খলার একখানা লাইভ অনুষ্ঠান অন্ধ জাতির সামনে মঞ্চস্হ হলো । কিন্তু বিকারহীন জাতির মধ্যে এর কোন ক্রিয়া কাজ করেছে কিনা তাতে বেমালুম সন্দেহ থেকে গেল । অবশ্য তার আগে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে আমরা মনুষ্য জাতির মধ্যে পড়ি কিনা । কেননা এই নিয়ে বেশ বড় একটা আশংকাই পেলাম আমার এক সহকর্মীর কাছ থেকে । আশংকাটি আমার মনেও ধরেছে বেশ । সহকর্মীর মতে, কোন রাজনীতিবিদ এভাবে মারা গেলে রাস্তাঘাটে ভাংচুর হতো । এমনকি দু’একটা হরতালও হতে পারতো । কোন সাংবাদিক হলে ইলেকট্রনিক আর প্রিন্ট মিডিয়ায় মাতম চলতো দিনের পর দিন । যদি কোন পুলিশ হতো তবে এতক্ষনে গুলাকয়েক ক্রসফায়ার হয়ে যেত । কোন আইনজীবি হলে আদালত পাড়া হতো সরগরম । এমনকি যদি কোন গার্মেন্টস কর্মী হতো তবে রাস্তাঘাটে ভাংচুর আর আন্দোলন চলতো সমানতালে । আর আমরা সহকর্মীর মৃত্যুতে সমবেদনা বা প্রতিক্রিয়া জানাতেও সর্তক থাকি । পাছে কর্তৃপক্ষের চক্ষুশূল হই । বাস্তবে ঘটনা তাই ।
বড় অদ্ভূত এক পেশা । হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হবে রাষ্ট্রীয় অথবা অভ্যন্তরীন হোমরাচোমরাদের কলকাঠিতে । আর জেল জরিমানা আমার । কারন সাইন সিল ছাপ্পর আমার । ওনারা টাকা ঋন নিয়ে ফেরত দিবেন না । রাষ্ট্র কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হয়ে এসি রুমে বসে অট্রহাসি হাসবেন আর আমি আমার স্ত্রী-সন্তানকে সৃষ্টিকর্তার হিল্যায় রেখে গিয়ে কারাগারের রুটি গিলবো ।
মাঝে মাঝে বড্ড হাসি পায় । যখন দেখি একশত দুই কোটি টাকার শিক্ষাবৃওি দেয় কোন ব্যাংক । আবার তারাই ক্রম উর্ধ্বগতির বাজারে বেতনকে নামিয়ে আনেন ঠিক অর্ধেকে । যখন দেখি দানে খয়রাতে পত্রিকার পাতায় অমুক তমুক ব্যাংকের নাম । তখন জোর করেও হাসি থামিয়ে রাখা সম্ভব হয় না । কেননা এদেরই কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্থের অভাবে রোগেশোকে নিভৃতে জল ফেলেন ।
বানিজ্য । সবই বানিজ্য । শুধুমাত্র আমার পিতৃ প্রদও জানটা ছাড়া । এই জানটার প্রতিও যদি ডাকাত মহোদয়ের কু’নজর পড়ে তবে আর রক্ষে কোথায় । অবশ্য সকল বিসর্জন দিয়েই আজকের সকল আয়োজনের অপেক্ষায় আছি । অপেক্ষায় আছি ডাকাতের চাপাতি অথবা আইন আদালত কারাগারের । ডাকাত মহোদয়ের প্রতি আর্জি যদি এসেই পড় তবে জানটা নিয়েই রক্ষে দিও । নতুবা নিজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, আইন আদালতের ধকল আমার মতো দুর্বল চিওের মানুষের পক্ষে সামলানো ভয়ানক কঠিন । সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন । মরহুমার আও্বা শান্তি পাক ।

..................নিঃশব্দ নাগরিক ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×