বইয়ের পাতায় এক চিমটি চোখ বুলালেই
দু'মুঠো ঘুম কোত্থেকে যে চলে আসে;
বুঝিনা!
আল-মাহমুদের 'জাতিস্মর' কবিতা থেকে
'সোনালি কাবিনে'র দূরত্ব
খুব একটা বেশি না!
'অথচ মানুষ নিজের পাপের ভারে
শুনেছি জন্মায় নাকি পশুর উদরে
বলে ত্রিপিটক।' থেকে....
'তোমার দুধের বাটি খেয়ে যাবে সোনার মেকুর
না দেখার ভান করে কতকাল দেখবে, চঞ্চলা'? পর্যন্ত..
সময়ের ব্যবধান মাত্র সোয়া এক কিউসেক।
অত:পর জম্মের ঘুমে অঘোর হলো সজাগ!
পৌঁনে এক ঘন্টার ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি
পৃষ্ঠা বদল হয়ে 'সোনালি কাবিন' গিয়েছে
'জানুআরি, দুহাজারে'।
'এ শুধু প্রতীক্ষা নয়। পঙতি লিখে ভরেছি শূন্যতা
অজস্র সম্ভাব্য মিলে তবলার তাল কেটে যায়;
মাত্র্রা ও মিলের ঠেকা সমে জমে। স্তব্ধতার বীজ ভেঙে নামে গুল্মলতা,
তোমার অনুপস্থিতি বুঝি বৃষ্টিরা বাতাসে দোল খায়।'...
ঘুমাতোর চোখ দুটি কষ্টেসৃষ্টে আবারও আঙুল দাবিয়ে
হেঁটে যায় ১৪২ পৃষ্ঠায়।
সেখানে জীবনানন্দের অবয়ব খুঁজছেন কবি মাহমুদ।
'দারুণ এক চিৎকার করে কোন এক সেমেটিক নারীর বুকের
রক্তিম দুধের বোঁটা নাগালের মধ্যে পেয়ে যাই।
তারপর কিছুকাল 'আম্মা, আম্মা' বলে এমন রোদন করি,
কোলাহলে ঘুম ভেঙে গিয়ে
বাংলাদেশ, আছাড়ি পিছাড়ি খেয়ে বলে ফ্যেলে-
হে পুত্র আমার।'
চোখে মুখে পানির ঝরো ঝাপটায়
সত্যিকারেই ঘুম ভাঙে আমার।
কিন্তু পানকৌঁড়ির রক্তস্নাত কবিকে
মাফ করে দিতে পারি না।
কবিদের মাফ করতে নেই
কবি'রা কেবল ঘুম পাড়িয়ে রাখে...
-নিশীথ সূর্য
নোট : এটাকে 'কবিতা' না বলে, প্রিয় কবি আল-মাহমুদের 'জাতিস্মর', 'সোনালি কাবিন', 'জানুআরি দুহাজার' এবং 'জীবনানন্দের প্রতি' কবিতাগুলোকে নিয়ে একজন ঘুমাতোর পাঠকের জার্নি বলা যেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৩