somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অ-কবিতার স্তুপ থেকে-১৩

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।
প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে তোমাকে আঁকছি,
তোমার চোখ চুল ঠোঁট...., তুলে দিচ্ছি আজকের বিজ্ঞাপনের সব থেকে কমনীয় দৃষ্টি চোখের দু তারায়।
সময়ের সব থেকে আধুনিক ফ্যাশান সচেতন বেশভূষায় তুমি নিজেকে পাল্টাচ্ছো।
অথচ বন্ধ চোখে ঠোঁটের স্পর্শে বলতে চেয়েছি একটি শব্দ ভালোবাসি!



২।
জীবন এতো ছোট আর তার মাঝে এতো ছোট -যেন মুহূর্তের জন্য তোমাকে পাওয়া।
কি হবে একটু বড় করে বাঁচি।
একটা পুরো দিন তোমার হাতে হাত লুকিয়ে রাখি।
কেউ কি জানে কেন কাছে এলে দম বন্ধ হয়ে আসে!
একি লুকানো কথা- বলতে মানা, চাওয়ায় পাপ!
কেউ কি জানে ভালোবাসায় কেন এমন ভীষণ অভিশাপ!



৩।
শুন্যতা আর বিষাদের ফ্যান্টাসী শেষে
এক দিন ক্যালেন্ডারে দুপুর নেমে যাবে,
যেখানে সব ছায়া বিপরীতে যাবার আগে
বিশ্রামে যাবে সূর্যকে সাক্ষী রেখে।
সেদিন তীব্র এক শুন্যতা ট্যের পাবে তুমি।
সেদিন বুঝবে বিষাদের কোন রং নেই,
শুন্যতার নেই কোন সংজ্ঞা।
সংজ্ঞাহীন শুন্যতায় ভেসে যায়
চোখের সামনে অদৃশ্য সময়।



৪।
কখন যে ভালোবাসা চলে যায় গোপন বিজনে
কখন যে বিশাল রাতের কালো ক্যানভাসে শেষ হয় যৌথ নক্ষত্রের দিন
প্রস্থানের চিহ্নও রাখে না কোথাও-
যে পিছে পিছে যাবো
নাম ধরে ডাক কোন দিকে পাঠাবো !
সেখানে শুধুই দহন জ্বলে না চিতা
নিঃশেষ হয় না কিছুই তবু নিঃস্ব ভীষণ।



৫।
যে আমাকে প্রথম তুই বলে ডাকতো
তার জন্য কোন অনুভূতি ছিল না আমার।
অথচ হঠাৎ এতো বছর পর ভেতর থেকে
খুব গভীর থেকে কেউ
যেন ডেকে উঠলো তার কন্ঠে,
আর মুহূর্তের জন্য ছলকে উঠলো যেন একটা সমুদ্র।
এমন কি করে হয়?
এমন কি করে স্মৃতি তার খেলার পুতুল বানায়?!



৬।
নদী টা নিশ্চুপ ই ছিল,
রোদ পড়ে ছিল জলে
রোদ পড়েছিল তার সোনালী কপালে
কত রোদেলা বিকেল গেছে এসে চলে
কত হাওয়া ই ঝরেগেছে কত বসন্তের পাতা
নদী টা তবু নিশ্চুপ ই ছিল
আমাদের মুখর হবার ছলে ছিল লুকনো নীরবতা।



৭।
যন্ত্রণার বিষে নীল হয়ে আছে তোমার বিশ খন্ড হৃদয়
সেখানে তুমি প্রতীক্ষা রেখো না
ছড়িয়ে যাবে অনুতে
বিষাদে মরে যাবে চোখ
তছনছ হয়ে যাবে আরো বিশ টি বিশ্বব্রক্ষান্ড
অন্ধত্ব তোমাকে দিয়ে করাবে সে সব
তোমাকে নিয়ে খেলবে ধ্বংস ধ্বংস খেলা
প্রেমের ওপাশে ঘুমিয়ে প্রতিহিংসার বিষাক্ত ফণা।



৮।
যদি ভালোবাসো প্রতিদানে ভালোবাসা চেওনা
রেখেনো গোপন দেনা পাওনার হিসাব
নিঃস্বার্থ হও, নদী থেকেও আর একটু বেশি
সমুদ্র থেকেও আরো বিশালতায় হারিয়ে ফেলো স্বপ্নের খাঁজকাটা বীজ
নয়তো একদিন ছিঁড়ে খাবে আকাঙ্ক্ষার দুপুর।



৯।
হৃদয় একটা পারদ বাঁধানো আয়না
যা দেখে তাই বিশ্বাস করে হুবহু,
বিশ্বাস ভাঙতেই পারদ খসে পড়ে
বিষিয়ে ওঠে নিজের ই পারদে,
খুব সহজে ভাঙে, আর ভাঙলেই প্রতিহিংসায় হয়ে ওঠে আক্রমন প্রত্যাশি সহস্র ড্যাগার।



১০।
চারদিকে শুন্যস্থান বেড়ে যাচ্ছে হুটহাট করে
যে পাশে বসতো সে বসে না-
চেয়ার টা খালি,
দেখা হলে যে এগোতো সে দূরে থাকে
যেন ছোঁয়াচে অসুখ,
যেখানে কল গুলো জ্বালাতো খুব
সে কললগে খুব প্রয়োজনের দু চার টা নাম্বার,
পিসির এলইডি তে একগাদা সবুজ
জানি কি শূন্যতা মায়া হয়ে আছে সেখানে অস্পর্শী ইগোয়।



১১।
নদীর স্বপ্নে ভাঙন ছিল
মাতাল করা জোয়ার ছিল
মোহনার প্রতিরোধ ছিল
তবুও তাকে ভাঙতে গেলে গড়তে হয়
জোয়ার শেষে ভাটার টানে পড়তে হয়, সমুদ্রে জল সপতে হয়,
নদীও জানে জীবন মানে সমঝোতা
মাঝে মাঝে নিজের বিরুদ্ধে চলতে হয়।



১২।
অদৃশ্য স্ট্যাম্প আঁটা চিঠি আজো আসে ইনবক্স নামের ডাকবাক্সে
শুধু কেউ "প্রিয়" সম্বোধনে ডাকছে না;
দু চার দিনের আড়ি গুলো ব্লকলিস্টে চির বিচ্ছেদ হয়ে রয়,
রিলেশনসিপ স্ট্যাস্টাস টা বরাবর ই সিঙ্গেল তোমার
অথচ ম্যাসেন্জারে কত কিছুই না হয় !
কত বন্ধু হারিয়ে গেল নীল সাদার এ জগত্‍ এ
কত মুখোশ খসলো উঠলো
ভাঙলো গড়লো কত সম্পর্ক..
সবুজ সংকেত ও মাঝে মাঝে থেকেই যায় ভীষণ অপ্রবেশ্য।







সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×