১।
আমি তার জলধ্বনি শুনি ভেতরে
মৃদু থেকে গাঢ় গভীর স্বরে
নেচে যাওয়া ঝিরি পাথরে পাথরে
অথচ হাতড়ালে অচল বালি নুড়ি ছাই
কোথাও তার চিহ্ন টি ও নাই!
এক তার তৃষ্ণা জাগানিয়া সুর
ঝর্ঝর স্বরে পাথরে গড়ায়।
২।
চেনা মুখ কখনো মুখোশ হয়ে যায়
চেনা সুখ কখনো দুঃখ তে বদলায়
কিছু কথা অব্যক্ত ই থেকে যায়
কিছু সময় অসময়ের ছদ্মবেশে হারায়।
৩।
হাত থেকে তুমি চলকে পড়া নদী
এখন তোমায় ফেরাই কি করে মুঠোর ফাঁদে?
নদী মানেই সমুদ্রগামী,
নদী কি আর হাতের মধ্যে থাকে!
৪।
এখনো আগুনের উত্তাপ আছে ভেতরে,
হাত রাখো এ বুকে, মানবিক হাত..
চোখ দিয়ে চোখের দরজা খুলে দেখে নাও
সজল সাগরের তৃষিত অনুভব।
৫।
না, তুমি আর ফিরছো না, আমি ব্যরিকেড দিয়ে দেবো রাস্তায়,
আর হরতাল ডেকে দেবো বিরোধী শিবিরে..
তুমুল নৈরাজ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এ হৃদয় শহর, বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত,
তোমাকে ফেরানো হবে না আর চোখের শিশিরে।
৬।
এতো যে ভাঙছি তবু নদী নই
কোথাও নেই বালিয়ারি চর !
এতো যে মুঠোমুঠো শুন্যতা তবু নিঃস্ব নই, ভাঙছি তো!
ভাঙছি তো রাত দিন ভেতর ঘর!
৭।
এতো যে স্বপ্নের মৃত্যু ঘটছে তাদের সমাধিস্থ করছে না কেউ,
কেউ লিখছে না নাম ধাম জন্ম মৃত্যুর কারণ!
অসফল মানুষের মত অপূর্ণ স্বপ্নদেরও নাম থাকে না শ্বেত পাথরে
জায়গা হয় না হিসাবেও।
৮।
মাঝে মাঝে স্বাধীনতা বেচে দিই নির্ভার পরাধীনতার কাছে,
মাঝে মাঝে তাই ফিরে আসি, ভালবাসাকে বিছানা পেতে দিই বুকের পাঁজরে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪