somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টিরো দেবতা আছে

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজটেক বৃষ্টির দেবতা তলালোক মেক্সিকো সিটির মিলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অঙ্কনকিত একটি চিত্র
বৃষ্টির দেবতা হলেন তিনিই যিনি বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করেন। হিন্দু ধর্মের মত বহু দেবতাবাদী ধর্মগুলো বৃষ্টির দেবতাকে আজও বিশ্বাস করেন। তাদের বিশ্বাস মতে বৃষ্টি দেবতা পৃথিবীতে বৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

হে বিশ্ব জগৎ মাতা
তুমি হলে মোদের ঝড়তুফান বৃষ্টির ছাঁতা।
তুমি পারো সব,
করি পণ মোরা তোমারি তুমি যে মোদের রব ।

মেসোআমেরিকার ধর্মেঃ
চাক - মায়া ধর্মে, তলালোক - আজটেক এবং নাহুয়া ধর্মে
কোসিজো - জাপটেক ধর্মে,ট্রিপেমে কুরিক্যাওরি - পুরহেপেছা ধর্মে
জাহুই - মিক্সটেক ধর্মে,মুয়ে - অটোমি ধর্মে,জাগুয়ার - অলমেক ধর্মে,চীনে ,ইউ শি,
প্রাচীন হাওয়াই ,লোনো, তিনিই উর্বরতার এবং দেবী ছিলেন ।
ভারতবর্ষ ,ইন্দ্র - হিন্দু ধর্ম,উত্তর আমেরিকা ,ইউট্টোইরে - ডে'নে ধর্ম,আশিয়াক – গ্রীনল্যান্ড, এবং কানাডার ইনুইট ধর্মে,শোটোকুনুনগাওয়া - হোপি জনগণ,টো নেইনিলিই - নাভাজো জনগণ,দক্ষিণ আমেরিকা ,এস্কেতেউয়ারহা - চামাকোকো ধর্ম,মধ্য প্রাচ্যের বৃষ্টির দেবতা আছে ।বাল - প্রাচীন প্রকৃতি পূজারীদেরও বৃষ্টির দেবতা আছে।


পুরাণ গ্রিক মতে জিউস এবং তার ভাইয়েরা মহাবিশ্বের অধিকাংশ রাজত্ব নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। সাগরের সিংহাসনে বসে পসেইডন আর নরক আন্ডারওয়াল্ড এর দেবতা হয় হেডিস হনএদের সর্বচ্চ শাসক। তিনি ছিলেন আকাশের অধিকারী, বৃষ্টির দেবতা এবং মেঘেরদলনেতা যে তার বিজলী Thunderbolt থাণ্দার বুলট এর সাহায্যে আধিপত্য বিস্তার করেন। তারশক্তি অন্যান্য দেবতাদের মোট শক্তির তুলনায় অনেক বেশি ছিল। জিউস তাদের মধ্যে পুরোপুরি ধোয়া তুলশি পাতাও ছিলেন না। তার অহংকার মানুষের জন্যমৃত্যু নিয়ে এসেছিল। তার হাতে ছিল ভাগ্য। তাছাড়াও তার সম্পর্কে গ্রীকরা আরবলে যে, গ্রীক মহিলাদের প্রতি জিউস এর ভালবাসা ছিল ভিন্নধর্মী। তিনি একজনেরপর একজন মহিলার উপর প্রেমে পড়তেন এবং তাদের সাথে মিথ্যা বলে এবং ধোকাবাজি দিয়ে নিজের দুশ্চরিত্র ঢাকতেন।এমনও শোনা যায় যে তৎকালীন প্রদেশগুলোতে কিছু মানুষ নিজেকে তাদের দেবতা বলে অবিহিত করে। সে সময় তাদের স্ত্রীরা জিউস এর সাহচার্য্যে এসে তার পক্ষে চলে যায়। এধরনের ভালবাসার সম্পর্ক প্রাদেশিক রাজারা পছন্দ করত না। তার পরেও জিউস এর প্রার্থনা শুনা যেত। কিন্তু প্রার্থনা জিউস এর জন্য যথেষ্ট ছিল না। সে মানুষের উৎসর্গ চেয়ে বসলো। শুধু তাই না এর নমুনাও দেখা যায় কিছু কিছু জায়গাতে। ট্রয় এর যুদ্ধের সেনারা বলে আদি পিতা জিউস মিথ্যাবাদী এবং শপথ ভঙ্গকারীকে সাহায্য করেন না। এখানে জিউস এর উচু এবং নিচু দুরকম মনোভাবই দেখা দেয়।হোমারীয় স্তোত্রাবলি তেও তাকে দেবতাদের প্রধান বলা হয়েছে। হেসিয়ডের থিওজেনি গ্রন্থে তাকে দেবগণ ও মানবজাতির পিতা বলেও অভিহিত করা হয়েছে। তার প্রতীকগুলি হল বজ্র, ঈগল, ষাঁড় ও ওক।

ইন্দো-ইউরোপীয় ঐতিহ্যের এই সকল নিদর্শনগুলি ছাড়াও, এই ধ্রুপদি "মেঘ-সমাবেশকারী" প্রাচীন নিকট প্রাচ্য থেকেও কিছু মূর্তিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছেন। এর উদাহরণ হল রাজদণ্ড। গ্রিক শিল্পীরা মূলত দুটি ভঙ্গিতে জিউসের মূর্তিগুলি নির্মাণ করেছেন প্রথমত দণ্ডায়মান অবস্থায় দ্রুত অগ্রসর হওয়ার ভঙ্গিতে, যেখানে তিনি ডান হাতে বজ্র উঁচিয়ে থাকেন এবং দ্বিতীয়ত রাজসভায় উপবিষ্ট মূর্তিতে।রোমান ও এট্রুস্ক্যান পুরাণে জিউসের সমতুল দেবতারা হলেন যথাক্রমে জুপিটার ও টিনিয়া।জিউস ক্রোনাস ও রেয়ার কনিষ্ঠ সন্তান। সর্বাধিক প্রচলিত মত অনুযায়ী, তিনি হেরাকে বিবাহ করেছিলেন। তবে ডোডোনার মতে তার স্ত্রী ছিলেন ডায়োনে ইলিয়ড মহাকাব্যের বর্ণনা অনুযায়ী, তার ঔরসে ডায়োনের গর্ভে আফ্রোদিতির জন্ম হয়। জিউস তার কামলালসার জন্য প্রসিদ্ধ। এর ফলস্রুতিতে তার অনেক দেবতা এবং যোদ্ধা সন্তানের জন্ম হয়। এরা হলেন অ্যাথেনা, অ্যাপোলো ও আর্টেমিস, হার্মিস, পার্সেফোনি (ডিমিটারের গর্ভে), ডায়োনিসাস, পার্সেউস, হেরাক্লেস, হেলেন, মিনোস ও মিউজগণ (নিমোসিনের গর্ভে); জিউসের ঔরসে হেরার গর্ভে জন্ম হয় আরেস, হেবে ও হেফাস্টাসের ।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×