জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। যার ক্যাম্পাস সারা দেশ জুড়েই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে, এবং এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯২ সালে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে ধারাবাহিকভাবে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছিলো। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শেসনজট দূর করার জন্য ২০১৫ সালে ভর্তি পরীক্ষা রহিত করে শুধুমাত্র জিপিএর ভিত্তিতে অনার্স প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছে। এতে করে শেসনজট অনেকটা দূর হলেও মেধাবী ও উপযুক্ত শিক্ষার্থীগন ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার অনেকে ভর্তি হতে পারলেও পছন্দের ও কাঙ্খিত বিষয় পাচ্ছেনা।
এতে করে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এভাবে ভর্তি পরীক্ষা ব্যতিত শুধুমাত্র জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি নিলে উচ্চ শিক্ষার প্রকৃত মান থাকেনা এবং সাধারন শিক্ষাবোর্ড এর অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়। কেননা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ ভালো করা সাধারন শিক্ষাবোর্ডের তুলনায় অনেকটাই সহজ। তাই এতে করে সাধারন শিক্ষাবোর্ডের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাচ্ছে, সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছেনা? এমনকি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটাই শেসনজট মুক্ত, তাই উচ্চ শিক্ষার সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে ও প্রকৃত মেধা যাচাইয়ের জন্য আবার যেনো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা প্রবর্তন করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২