somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করুন।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যথেষ্ট বৈষম্য পরিলক্ষিত। বিশেষ করে এটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশি পরিলক্ষিত। আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্বিবিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী ডিপার্টমেন্টের মধ্যে ভালো ফল করে থাকলে তাকে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে এবং শর্ত সাপেক্ষে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক(প্রভাষক) করে নেওয়া হয়। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যতই ভালো ফল করুক না কেনো তাকে ঐ কলেজের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। এক কথায় বলা যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষকে রুপান্তরিত করে। অপরদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীকে বেকারে রুপান্তরিত করে। আমার মতে এটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এক প্রকার স্বেচ্ছাচারিতা। উচ্চ শিক্ষার প্রত্যেকটি স্তরে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি একই হওয়া উচিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি কলেজের শিক্ষক হতে হলে কঠিক বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয়। অপর দিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে কোনো ধরনের বিসিএস পরিক্ষা দিতে হয়না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেকটাই সহজ। এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ ও বটে। তাহলে এটি কি একটি বড় ধরনের বৈষম্য নয়? তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিসিএস ক্যডার শিক্ষকদের রাষ্ট্র কতটুকু সম্মান করে? তাদের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নন ক্যডার টিচারদের আমাদের দেশের মানুষ,রাষ্ট্র,গনমাধ্যম সবাই বেশি সম্মান করে থাকে। যদিও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক পিএইচডি ডিগ্রীধারী। কিন্তু ক্যডারের উপরে কোনো ডিগ্রীকে প্রাধান্য দেওয়া যায় কি?

আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক্ষেত্রে সমমানের কথা বলা হলেও বাস্তবে সেটি প্রয়োগকৃত নয়। যেমন বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধীকার দেওয়া হয়। এমনকি আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলোও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাগুলোও সহজে ছাপতে চায়না। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাগুলো অহরহ ছেপে যাচ্ছে। এটি আসলে অনেকটাই দুঃখজনক একটি ব্যাপার। তাছাড়া সাধারন মানুষও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশি সম্মান করে থাকে। আসলে আমাদের এহেন ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উচিত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা হতে শুরু করে সবকিছুতে সমতা আনয়ন করা। এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নীতি পরিবর্তন করে সবকিছু একই কাঠামোর মধ্যে আনয়ন করা জরুরী। কেনোনা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি এখনও যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা বৈষম্য চাইনা বরং সমতা চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×