somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এসো বাংলাদেশ গড়ি (এড়িয়ে যাবেননা দয়া করে)

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(বড় পোষ্ট- ধৈর্য্য ধরে পুরোটা পড়ুন)

এসো_বাংলাদেশ_গড়ি
চলুন, আজ থেকে আমরা এই একটি মন্ত্রে দিক্ষীত হই। এটাই হোক আমাদের আন্দোলন। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন। ঘুনে ধরা এই দেশকে আধুনিক ও উন্নত দেশে রুপান্তরের আন্দোলন।

না। এর জন্য কোন ইভেন্ট খোলার দরকার নেই। কোন মানববন্ধন, মিছিল সমাবেশ, লোক দেখানো শোডাউন দরকার নেই। এসব অনেক হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ গড়ার আয়োজন চলবে একেবারে ব্যক্তি পর্যায়ে। ব্যাক্তি থেকে ব্যক্তি, এভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে এই আন্দোলনকে। এই আন্দোলনে আমরা প্রত্যেকেই নেতা প্রত্যেকেই কর্মী।

কেন এই আন্দোলন। অনেক তো হলো, আর কত? হত্যা, খুন, ধর্ষণ, দূর্ণীতি, লুটপাট আমাদের দেশটাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা এতদিনে উন্নত রাস্ট্রের তালিকায় থাকতাম অথচ উন্নয়নশীল রাস্ট্রের তালিকা থেকেও আমরা পিছিয়ে পড়ছি। রাজনীতির অক্টোপাশে জড়িয়ে নষ্ট হচ্ছে আমাদের মেধাবী প্রজন্ম। প্রশাসনের ঘুষ দূর্নীতিতে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ। বিদেশী শিল্প ও সংস্কৃতির আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের অর্থনীতি ও সমাজ। কর ফাঁকি দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অপশিক্ষার ফলে তৈরী হচ্ছে মেধাহীন প্রজন্ম। প্রতিদিন সমাজে অপরাধ বাড়ছে, অনাচার বাড়ছে। আপনিই তো প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছেন আপনার চারদিকে হাজারো অন্যায় অনিয়ম।

এসবের বিরুদ্ধেই আন্দোলন। আমরা মানুষকে সচেতন করবো। তাদের ভিতরের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলবো। আমরা শপথ নেব আমরা দেশের জন্য লড়বো, দেশের জন্য সংগ্রাম করবো। আমরা আইন মেনে চলবো। আমরা ঘুষ খাবোনা। আমরা যথাসময়ে কাজজে উপস্থিত হবো, কাজে ফাঁকি দেবোনা। আমরা সঠিক পরিমানে কর আদায় করবো, আমরা বিদেশী সংস্কৃতির গোলাম হবোনা, বিদেশী পন্য কেনার আগে দেশীয় পন্য আছে কিনা খোঁজ নেব। আমরা রাজনীতির নামে, ধর্মের নামে, চেতনার নাম, আদর্শের নামে আর মানুষ খুন করবোনা। পরস্পরের মতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল হবো .........................!.............

এভাবে তালিকাটা আরো লম্বা হতে পারে।

মুল কথা হলো আমরা যে দেশপ্রেমের গর্ব করি এবার সেই দেশপ্রেমটাই দেখাবো। আমরাই হবো আগামী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথ প্রদর্শক।

আসুন আমরা ছড়িয়ে পড়ি। এই দেশ আমাদের। আমরাই এই দেশ গড়বো।


গোড়ার কথা-
পরশু ছাত্রলীগের একজনকে মেরে ফেলা হলো, কাল শিবিরের একজনকে, আজ ছাত্রদলের একজন খুন হলো, কাল একজন নাস্তিক জবাই হলো, আজ একজন আস্তিক খুন হলো-------
চলছে এভাবেই।

ব্যাপারটা এভাবে দেখি। প্রতিদিন মানুষ খুন হচ্ছে। ধর্মের নামে, চেতনার নামে, আদর্শের নামে, রাজনীতির নামে প্রায় প্রতিদিন পড়ছে লাশ। লাশের পর লাশ। লাশের সারি, লাশের মিছিল। মানুষ মরছে। সরকারী এক্সট্রা জুডিশিয়াল বা নন জুডিশিয়াল কিলিং চলছে সমান তালে।

কেন এই উম্মত্ততা? এই পাশবিকতা নিষ্ঠুরতা কিসের স্বার্থে? হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ এর পথ ধরে আমরা দেশকে কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি? আমরা কি সমৃদ্ধির পথে হাটছি, নাকি নিজেদের ব্যর্থ রাস্ট্রে পরিণত করছি?

আমাদের বেশিরভাগ তরুন ও যুবসমাজ রাজনীতির জালে জড়িয়ে বিপদগামী হচ্ছে। সাময়িক ক্ষমতা ও অর্থের লোভে ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে। কলুষিত করছে সমাজকে। আজ দেশের রাজনীতি আমাদের পরস্পরকে হত্যা করতে শেখায়। আদর্শের রাজনীতি বাদ দিয়ে চলছে মানুষ খুনের রাজনীতি।

রাজনীতির বলি অনেক হয়েছি। আর নয়।
আসুন রাজনীতির ক্রীড়নক না হয়ে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। আসুন দেশের জন্য লড়ি। আসুন মানুষ হয়ে মানুষের মত বাঁচতে শিখি। হাতে হাত রেখে এ দে'শটাকে গড়ার শপথ নিই।


আসলে-
আমরা আমাদের বিরুদ্ধেই লড়ছি!
এদেশ আমাদের। বাঙ্গালীদের। বাংলা ভাষাভাষিদের। এদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানের। এদেশ আস্তিক নাস্তিক সকলের। সকল ধর্মের, বর্ণের, মতের, আদর্শের। এদেশে সবারই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার, বিচরণ করার ও মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।

তাহলে কেন এই সংঘাত? কেন এই হানাহানি?

তার আগে বুঝতে হবে, এই সংঘাত হানাহানির ফলে লাভবান হচ্ছে কোন পক্ষ! কারা আমাদের ভিতর হিংসা ও শত্রুতার বীজ বপন করে দিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামিয়ে দিয়েছে?

প্রশ্ন অনেক, অথচ সমাধান একটাই।

দেশের প্রয়োজনেই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী। একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুথবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। আসুন, আমরা পরস্পরকে সম্মান করতে শিখি, পরস্পরের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শিখি।

নিজের বা আদর্শের জন্য নয়, দেশের জন্য লড়ি।

তবে, নিজের মত প্রকাশে যেন আরো সংযত ও কৌশলী হই। আপনার পথ চলার স্বাধীনতা আমার শস্য ক্ষেত যেন নষ্ট না করে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×