এটা খুবই দুঃখজনক যে দিন দিন আমাদের বাকস্বাধিনতার গন্ডি সংকির্ণ হয়ে যাচ্ছে। এবং এটা সর্বক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত হচ্ছে যে –মুষ্টিমেয়দের অনুভূতি(স্বার্থ বলাই যুক্তিযুক্ত) রক্ষার্থেই গন্ডিটা সংকির্ণ থেকে সংকির্ণতর হচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে ওই মুষ্টিমেয়রা আলাদা একটা শক্তিশালী গ্রুপ হয়ে যাচ্ছে এবং ‘প্রেশার গ্রুপ’ এ পরিনত হচ্ছে। এতে তারা অনেক কিছুই তাদের ইচ্ছে মত পরিবর্তন করে নিতে পারছে। কর্তাব্যক্তিরা (অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নামমাত্র) পুতুল রাষ্ট্রপতির ন্যায় ভূমিকা পালন করছে যা সচেতন জনসাধারণের জন্য হতাশাজনক!
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে এই মুষ্টিমেয় লোকগুলা সাধারন মানুষের অবোধ কোমল অনভিজ্ঞ ধর্মানুভূতি নিয়ে কাজ করছে। এবং এটা বলা অত্যুক্তি হবেনা যে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রভাবিত করতে সফল। এবং কার্য সিদ্ধিও হয়ে যাচ্ছে।
এর উদাহরন স্বরুপ অতিসম্প্রতি সামুতে ঘটে যাওয়া একটা অপ্রিতিকর এবং লজ্জাজনক ঘটনার কথা বলা যেতে পারে।
২৭।১০।২০১২ (ঈদের দিন) তারিখ সন্ধ্যায় “পীড়ন ঠাকুর” এর ব্লগে ধর্ম বিষয়ক একটা পোস্টে অতি নিম্নমানের এবং অরুচিশীল বিবমিষা জাগানো মন্তব্য দেখা যায়। যা মোটেও আক্রমনাত্মক কিংবা উস্কানীমূলক ছিলনা অর্থাৎ সামুর নীতিমালার(সহনশীলতা: বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত প্রকাশের এটি একটি খোলা জায়গা। ধর্ম, রাজনীতি বা সাংস্কৃতিক দিক থেকে চিন্তাধারা এবং মতামতের ভিন্নতা থাকবেই। তবে অবশ্যই তা আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক নয়। এক্ষেত্রে সকলের সহনশীলতা একান্ত প্রয়োজন।) পরিপন্থি ছিলনা।
কিন্তু অতিধর্মানুভূতি সম্পন্ন কিছু ব্লগারের অতি কুরুচিপূর্ণ অশ্লিল মন্তব্য দেখা যায় ওই পোস্টে।
একিসাথে তারা ব্লগটিকে স্থগিত/ব্যান করার অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে একের পর এক পোস্ট দিতে থাকে।
এবং পরিশেষে দেখা যায় যে ওই মুষ্টিমেয় লোকগুলাই জয়ী হয়!
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সামুর মডারেটররা বাধ্য হয়েই “পীড়ন ঠাকুর”এর ব্লগটি স্থগিত করে দেয়!!
যা এইরকম একটি প্রগতিশীল ব্লগের জন্য লজ্জাজনক ব্যপার।
এটি বাকস্বাধিনতার টুটি চেপে ধরার জন্য আরেকটি বজ্রমুষ্টি!!
এবং প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধদের সংঘবদ্ধ হওয়ার পথে লাল গালিচা সংবর্ধনা!
এইটা আশা করা অন্যায় হবেনা যে সামুর মডারেটরা চাপে পড়ে বা হুজুগে পড়ে কিছু করবে না। যা যৌক্তিক তাই করবে।
আশা করব “পীড়ন ঠাকুর”এর ব্লগটি স্বাভাবিক করা হবে এবং সামু বরাবরের মতই মুক্তমনন, মুক্ত চিন্তন, মুক্তকথন এর সাথে থাকবে।