প্রথম পর্ব:
ভূমিকা(মোটাদাগে আমাদের(AT) চাওয়া)
জবাবদিহীতা স্বচ্ছতা(AT) কি?
“জবাবদিহীতা স্বচ্ছতা(AT)” একটি জননীতির সংগঠন। সংগঠনটি যা বাস্তবায়ন করতে চায়: ব্যাতিক্রম বাদে ১থেকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিটি মামলার রায় নিশ্চিত করা; রাজনীতিক/দলীয় সরকারের নিজেদের স্বার্থে বিচারাধীন মামলা প্রভাবিত করার সব পথ বন্ধ করা;ফোন পাওয়া স্বাপেক্ষ্যে ৩০ মিনিটের(ব্যাতিক্রম বাদে) মধ্যে পুলিশ ও এ্যাম্বুলেস্নকে অসুস্থ/বিপদগ্রস্থ /হুমকিতে থাকা মানুষকে উদ্ধারে বাধ্য করা; ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে কম দুর্নিতীগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া;সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করা; আয় বৈসম্য যথাসম্ভব কমিয়ে আনা,..................ইত্যাদি।
কেন এই সংগঠন(আমাদের চাওয়ার প্রেক্ষাপট)
কর/খাজনা দিয়ে মানুষ ব্রিটীশ-পাকিস্তানীদের মত লর্ড পুষবে না সেবক পুষবে যারা সময় মতো সঠিক সেবা দিতে বাধ্য থাকবে। আপনি কি মনে করেন পুলিশ-বিচার ব্যাবস্থা-সংসদ-সরকার যেভাবে চলছে সেটা গ্রহণযোগ্য? গ্রহণযোগ্য না হলে এই সংগঠনে আপনি একজন কার্যকরী যোদ্ধা (অর্থ/সময়/শ্রম/বিশ্লেষণী ক্ষমতা/ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে/ ফেসবুকে বন্ধু এ্যাড করে/আপনার জেলায় ওয়ালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের ধারাগুলো লিখে) হিসেবে যোগ দিতে পারেন। আমাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা লোকের অভাব না থাকলেও, সমস্যা সমাধানের সমন্বিত উপায়/কৌশল নিয়ে সংগঠিতভাবে কাজ করতে চাওয়া লোকের অভাব আছে। অনেক চালাক মানুষ আছে(যারা ভাবে অর্থ/সময়/শ্রম/ঝুকি নিবে অন্যরা আর ফায়দার বেলায় আমি আছি) যারা উপরের কিছুই করতে চায় না কিন্তু স্বর্গীয় বাংলা আশা করে,এরকম চালাক মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে ততই আমরা সোমালিয়া বা সিরিয়ার মত পরিস্থীতির দিকে যাবো। আইনের যথাযথ শাসন(রাষ্ট্র যন্ত্রের মূল কাজ) না থাকলে, একটা দেশের যেকোন অর্থনৈতিক উন্নয়ন যে ধসে পড়তে পারে তার বড় উদাহরণ:কঈো গণপ্রজাতন্ত্র,লাইবেরিয়া,সিয়োরালিওন(এক সময় এদের অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল),...একারণে এখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের(এর মূল সফলতা/ব্যার্থতা জনগণের) তেমন কিছু বলা হয়নি। উন্নয়ন/অর্থই যদি সবকিছু হতো, তাহলে ব্রাজিল,দক্ষিণ আফ্রিকা,মালয়েশিয়া,মেক্সিকোর মতো দেশের মাথাপিছু আয় আমাদের ৫/১০ গুণ হওয়া সত্বেও আইনের শাসনে আমাদের সমপর্যায়ে বা পিছনে থাকতো না। আমরা সমস্যার শিকড়/উৎসে(১৯৯১-২০০৮ পর্যন্ত যারা বুঝে/নাবুঝে [সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের দুরদর্শীতা,শিক্ষ্যা,বিশ্লষণী ক্ষমতার অভাব ], আইনের শাসনের ক্ষেত্রে জবাবদিহীহীন দল/জোটকে ভোট দিয়ে সরকার গঠন করতে দিয়েছে, তারাই মুলত ১/১১ বা পেট্রোল বোমার ঘটনার জন্য চুড়ান্তভাবে দায়ী) যেতে চাই-এ কারণে ATতে সংগঠিত হয়েছি। বর্তমান বাস্তবতায় আপনি ন্যায় বিচারের পিছনে ছুটলে অর্থনৈতিকভাবে পঈু/মানসিকভাবে বীকারগ্রস্থ (আসুন আমরা পেট্রোল বোমায় আহতদের ও নিহতের স্বজনদের মনঃকষ্ট উপলব্ধি করার চেষ্টা করি!!) হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
“২০ বছর আগে সিরিয়ার যে অগ্রগতি এবং বর্তমানে সিরিয়ার যে অবস্থা, সেটা তুলনা করলেই বুঝতে পারব সন্ত্রাস ও সহিংসতা একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যায়। আশা করব রাষ্ট্রে, সমাজে ও ব্যক্তিগত জীবনে যেন এই সতর্কতা থাকে আমাদের সবার। ” ড. সেলিম জাহান নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন কার্যালয়ের পরিচালক। প্রথমআলো জানুয়ারি ২৪, ২০১৬.
“কোন রাষ্ট্রের কয়টা ব্রিজ, ফ্লাইওভার ও উঁচু দালান আছে, তা দিয়ে সেই রাষ্ট্রের মহত্ত্ব পরিমাপ করা হয় না। রাষ্ট্রের মর্যাদা পরিমাপ করা হয় রাষ্ট্রটিতে কতটা আইনের শাসন আছে, নাগরিকদের অধিকার কতটা সুরক্ষিত এবং সেখানে সবচেয়ে দুর্বল মানুষটি কতটা সুবিচার পায়, তা দিয়ে।”সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক ও গবেষক। প্রথমআলো, এপ্রিল ০৫, ২০১৬.
এতে সদস্য হওয়ার ঠিকানা:https://www.facebook.com/groups/304183119755619/ এখানে আপনার ফেসবুক বন্ধুদের যুক্ত করার সহজ পদ্ধতি: Click This Link
চলবে......................
ভূমিকা(মোটাদাগে আমাদের চাওয়া)
“জবাবদিহীতা স্বচ্ছতা(AT)” একটি জননীতির সংগঠন। সংগঠনটি যা বাস্তবায়ন করতে চায়: ব্যাতিক্রম বাদে ১থেকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিটি মামলার রায় নিশ্চিত করা; রাজনীতিক/দলীয় সরকারের নিজেদের স্বার্থে বিচারাধীন মামলা প্রভাবিত করার সব পথ বন্ধ করা;ফোন পাওয়া স্বাপেক্ষ্যে ৩০ মিনিটের(ব্যাতিক্রম বাদে) মধ্যে পুলিশ ও এ্যাম্বুলেস্নকে অসুস্থ/বিপদগ্রস্থ /হুমকিতে থাকা মানুষকে উদ্ধারে বাধ্য করা; ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে কম দুর্নিতীগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া;সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করা; আয় বৈসম্য যথাসম্ভব কমিয়ে আনা,..................ইত্যাদি।
কেন এই সংগঠন(আমাদের চাওয়ার প্রেক্ষাপট)
কর/খাজনা দিয়ে মানুষ ব্রিটীশ-পাকিস্তানীদের মত লর্ড পুষবে না সেবক পুষবে যারা সময় মতো সঠিক সেবা দিতে বাধ্য থাকবে। আপনি কি মনে করেন পুলিশ-বিচার ব্যাবস্থা-সংসদ-সরকার যেভাবে চলছে সেটা গ্রহণযোগ্য? গ্রহণযোগ্য না হলে এই সংগঠনে আপনি একজন কার্যকরী যোদ্ধা (অর্থ/সময়/শ্রম/বিশ্লেষণী ক্ষমতা/ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে/ ফেসবুকে বন্ধু এ্যাড করে/আপনার জেলায় ওয়ালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের ধারাগুলো লিখে) হিসেবে যোগ দিতে পারেন। আমাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা লোকের অভাব না থাকলেও, সমস্যা সমাধানের সমন্বিত উপায়/কৌশল নিয়ে সংগঠিতভাবে কাজ করতে চাওয়া লোকের অভাব আছে। অনেক চালাক মানুষ আছে(যারা ভাবে অর্থ/সময়/শ্রম/ঝুকি নিবে অন্যরা আর ফায়দার বেলায় আমি আছি) যারা উপরের কিছুই করতে চায় না কিন্তু স্বর্গীয় বাংলা আশা করে,এরকম চালাক মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে ততই আমরা সোমালিয়া বা সিরিয়ার মত পরিস্থীতির দিকে যাবো। আইনের যথাযথ শাসন(রাষ্ট্র যন্ত্রের মূল কাজ) না থাকলে, একটা দেশের যেকোন অর্থনৈতিক উন্নয়ন যে ধসে পড়তে পারে তার বড় উদাহরণ:কঈো গণপ্রজাতন্ত্র,লাইবেরিয়া,সিয়োরালিওন(এক সময় এদের অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো ছিল),...একারণে এখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের(এর মূল সফলতা/ব্যার্থতা জনগণের) তেমন কিছু বলা হয়নি। উন্নয়ন/অর্থই যদি সবকিছু হতো, তাহলে ব্রাজিল,দক্ষিণ আফ্রিকা,মালয়েশিয়া,মেক্সিকোর মতো দেশের মাথাপিছু আয় আমাদের ৫/১০ গুণ হওয়া সত্বেও আইনের শাসনে আমাদের সমপর্যায়ে বা পিছনে থাকতো না। আমরা সমস্যার শিকড়/উৎসে(১৯৯১-২০০৮ পর্যন্ত যারা বুঝে/নাবুঝে [সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের দুরদর্শীতা,শিক্ষ্যা,বিশ্লষণী ক্ষমতার অভাব ], আইনের শাসনের ক্ষেত্রে জবাবদিহীহীন দল/জোটকে ভোট দিয়ে সরকার গঠন করতে দিয়েছে, তারাই মুলত ১/১১ বা পেট্রোল বোমার ঘটনার জন্য চুড়ান্তভাবে দায়ী) যেতে চাই-এ কারণে ATতে সংগঠিত হয়েছি। বর্তমান বাস্তবতায় আপনি ন্যায় বিচারের পিছনে ছুটলে অর্থনৈতিকভাবে পঈু/মানসিকভাবে বীকারগ্রস্থ (আসুন আমরা পেট্রোল বোমায় আহতদের ও নিহতের স্বজনদের মনঃকষ্ট উপলব্ধি করার চেষ্টা করি!!) হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
“২০ বছর আগে সিরিয়ার যে অগ্রগতি এবং বর্তমানে সিরিয়ার যে অবস্থা, সেটা তুলনা করলেই বুঝতে পারব সন্ত্রাস ও সহিংসতা একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যায়। আশা করব রাষ্ট্রে, সমাজে ও ব্যক্তিগত জীবনে যেন এই সতর্কতা থাকে আমাদের সবার। ” ড. সেলিম জাহান নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন কার্যালয়ের পরিচালক। প্রথমআলো জানুয়ারি ২৪, ২০১৬.
“কোন রাষ্ট্রের কয়টা ব্রিজ, ফ্লাইওভার ও উঁচু দালান আছে, তা দিয়ে সেই রাষ্ট্রের মহত্ত্ব পরিমাপ করা হয় না। রাষ্ট্রের মর্যাদা পরিমাপ করা হয় রাষ্ট্রটিতে কতটা আইনের শাসন আছে, নাগরিকদের অধিকার কতটা সুরক্ষিত এবং সেখানে সবচেয়ে দুর্বল মানুষটি কতটা সুবিচার পায়, তা দিয়ে।”সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক ও গবেষক। প্রথমআলো, এপ্রিল ০৫, ২০১৬.
এতে সদস্য হওয়ার ঠিকানা:https://www.facebook.com/groups/304183119755619/ এখানে আপনার ফেসবুক বন্ধুদের যুক্ত করার সহজ পদ্ধতি: Click This Link
চলবে......................
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯