somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড.ইউনুসের পক্ষে বিবৃতিদাতারা কোন দলের ? তাদের কী দালাল বলা যায় ?

২৮ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অতি সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তারপর এই অধ্যাদেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী । এটা নিয়ে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু খুব অবাক হয়ে গেলাম কিছু ব্লগার বা পাঠক যখন এই বিবৃতি দাতাদের সরকারের দালাল বলে ঘোষণা দিল। এমন কী তাদের দেশদ্রোহী বলে প্রচার চালিয়েছে। আমি সাদুবাদ জানাই তাদের উন্নত বিবেক বুদ্ধিত্তের। মেনে নিলাম বিবৃতি দাতারা আওয়ামীলীগ সরকারের পাচাটা বুদ্ধিজীবী। কিন্তু তাতে অসুবিধের তেমন কিছু দেখি না। যেহেতু তারা স্বাধীনতা পন্থী বলে পরিচিত সমাজে আর তাই তারা যদি কোন বিবৃতি দেন তাহলে অটোমেটিক আওয়ামীলীগের পক্ষে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। ধরে নিলাম এরা দালাল ছিল।

এইবার আসি মূল কথায়, পরের দিন সরকারের গ্রামীণ ব্যাংক এর অধ্যাদেশ এর বিরোধিতা করে ড.ইউনুস এর পক্ষে বিবৃতি দিলেন একদল বুদ্ধিজীবী যাদের পরিচয় বুদ্ধিজীবী সমাজে বিএনপি-জামাত পন্থী বলে।

যারা বিবৃতি দিয়েছিলেন, আসুন দেখে নেই উনারা কারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহ মোহাম্মদ ফারুক। বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহাম্মেদ, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি এম এ মাজেদ।

প্রশ্ন: উপরেল্লিখিত বুদ্ধিজীবী এদের পরিচয় কী ?
উত্তর: এরা হলো বিএনপি-জামাতের নীতিনির্ধারণী বুদ্ধিজীবী।
প্রপস্নো: এরা কী নিজেদের স্বাধীনতা পন্থী বলে মনে করে ?
উত্তর: মোটেই না এরা গুয়াজম-নিজামীদের আইনি সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ এর পক্ষে যারা বিবৃতি দিয়েছিলেন তারা কারা ?
উত্তর: তারা হলো দেশের পক্ষে নীতিনির্ধারণী বুদ্ধিজীবী। এরা যোদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।


অথচ একদন ভাড়া করা হলুদ বুদ্ধিজীবী ব্লগে, ফেসবুক এ বলে বেড়াচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ এর পক্ষে যারা বিবৃতি দিছেন তারা দেশদ্রোহী তারা দেশ কে ধংস করে দিতে চাচ্ছে, বেশ মেনে নিলাম অভিযোগ কিন্তু।

বিএনপি-জামাত ও তথাকথিত কিছু হলুদ চুশীলদের কাছে আমার প্রশ্ন:
বিএনপি-জামাতের বুদ্ধিজীরা যখন মার্কিন সরকারের পক্ষে তাল মিলিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন তখন কী তাদের দেশদ্রোহী বলে আখ্যায়িত করা যায় তাতে ?
ড.ইউনুসের পক্ষে বিবৃতি দাতা রা যদি বিএনপি-জামাত পন্থী হয়ে থাকে তাহলে ড.ইউনুস এর পরিচয় কী হবে ?

জানি আপনারা বিরোধিতার স্বার্থে এখন বিরোধিতা করে বলবেন আপনাদের মুখে যা আসে। কিন্তু আমি এই বিষয়ে আমার মতামত উপস্থাপন করে বলতে চাই
অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহম্মেদ, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া এদের কী দালাল বলা যায় না? যদি তাদের কে দালাল বলতে সমস্যা থাকে তাহলে বলতে পারি ড.ইউনুস সাহেব এখন বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত একটি প্লাটফর্ম মাত্র। যারা গ্রামীণ ব্যাংক কে রক্ষার নাম করে দেশ বিরোধীও ষড়যন্ত্র করছে। পশ্চিমা ক্ষমতাসীন দের দেশের বিপক্ষে লেলিয়ে দিচ্ছে দেশের সার্বোভৌমত্ত ধংস করার জন্য। যার পক্ষে যথেষ্ঠ যুক্তি প্রমাণ রয়েছে।

পরিশেষে বলতে চাই, ড.ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক ধংস করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। পশ্চিমাদের স্বপ্ন পূরণে ড.ইউনুস এর পরবর্তী টার্গেট হলো বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল কী করে করা যায় আর এই জন্য গ্রামীণ ব্যাংক কে বলির পাঠা বানিয়ে সস্তা ইমোশনের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও ড.ইউনুস এর এই পরিকল্পনা কোন দিন বাস্তবায়ন হবে বলে মনে হয় না। আর তাই ড.ইউনুস বিরোধী মনোভাব অব্যাহত থাকবে বাংলাদেশের কল্যাণে এই প্রত্যাশা সকলের কাছে।

ধন্যবাদ।
@সুলতান মির্জা।
৩৬টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×