পুরুন একটা বাংলা সিনেমায় দেখেছিলাম শেষ দৃশ্যটা এরকম ছিল,
" নায়ক ভিলেন এর টুঁটি চেপে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল " ২০ বছর ধরে আমি আমার আম্মাজান রে কথা বলতে শুনি না, ২০ বছর ধরে আমি আমার আম্মাজানরে আম্মাজান বলে ডাকতে পারি না। ২০ বছর রে শুহুরের বাচ্চা , ২০ বছর... ২০ বছর" ...
আমিও মৃত্যু কে ডান হাতের ওপর রেখে মাথা উঁচু করে এই সময়ে বলতেই পারি, এই মুহূর্তে হাসিনা খালেদা সাধারণ মানুষের মত বের হয়ে আসুক রাস্তায় কোন প্রোটকল ছাড়া । একেবারে রাস্তার সস্তায় দেহ বিক্রি করা ছেঁড়া নোংরা কাপড় পরা মেয়েটা কিংবা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ভিখেরিও ওদের মুখের ওপর থু থু ফেলতে ফেলতে মুখে রক্ত নিয়ে আসবে।ভাসিয়ে দেবে ওদের থু থু রক্ত দিয়ে। আর বলবে , ২০ বছর আর ৪৪ বছরের পুরুস্কার দিলাম তোদের- শুহুরের বাচ্চা । ২০ বছর রে শুহুরের বাচ্চা , ৪৪ বছর রে শুহুরের বাচ্চা... ৪৪ বছর...
এখনো দেশের মানুষ কেন বসে আছে ঘরে। কেন? এভাবে বেঁচে থাকার কি অর্থ আছে। এই দুইটারে ঘাড় ধরে ধাক্কা মেরে বর্জন করা উচিত। বর্জন করা উচিত সেই ভাবে যেভাবে জালিওলান বাগ হত্যাকাণ্ডে বিদেশি পণ্য বর্জন করা হয়ে ছিল। সেই সাথে যারা এদের সাথে আশটে পিষ্টে জড়িয়ে আছে তাদের রাজনীতি চিরদিনের জন্যে বন্ধ করা উচিত। আর তা না হলে নেক্সট টার্গেট আপনিই হবেন অথবা আমি । চুপ করে ঘরে চাদর মুড়িয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনার দিন শেষ।
যে দেশে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম স্বাধীনতা দিতে পারেনা , একটি দেশ পরিচালনা করা সরকার। তাদের সমষ্টিগত দরকার ফুরিয়ে আসছেই বলে আমার মনে হয়।
ভাল থেক... অভিজিৎ ভাই।