somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জানার পর যেগুলো আমি মেনে চলি। মানা না মানা আপনার ব্যাপার।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ লেখার বিভিন্ন তথ্যেরই সোর্স মনে নেই। বিভিন্ন সময় পেপার-পত্রিকা থেকে পাওয়া। কিংবা কারো মুখে শোনা। আবার কিছু নিজ অভিজ্ঞতা থেকে অর্জন করা।
জেনে রাখুন কাজে লাগবে।
১. আপনি যখন মোবাইলে কোন নাম্বার ডায়াল করেন তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যাবহার করে। অর্থাৎ এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয়। তাই এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরেই রাখাই ভালো। ( আমার কাকার কাছ থেকে শোনা )
২. চা পানের পর পর পানি না পান করা উচিত। এতে দাতেঁর মধ্যকার ফাঁক বেড়ে যায়। ( এক বন্ধুর কাছ থেকে শোনা)
৩. দরজার পাশে দাড়িয়ে কান খুচাবেননা। কারণটা আশা করি বলা লাগবেনা। ( একটা ফান ম্যাগাজিন থেকে পাওয়া, যদিও ব্যাপরটা মোটেও ফানি নয়।)
৪. আপনার টুথব্রাশ প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বদলান। (পেপার থেকে পাওয়া)
৫. খালি পেটে কলা খাওয়া অনুচিত। (ম্যাগাজিন থেকে)
৬. এক মেয়ের সামনে কখনো সমবয়সী অপর মেয়ের প্রশংসা করবেননা। এমনকি আপনার নানুর সামনে আপনার দাদুর প্রশংসা করবেন না। ;) ( ঠেকে শেখা)
৭. টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেননা। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে। (ম্যাগাজিন)
৮. অনেকেই রুম ঠান্ডা রাখার জন্য ফ্যান চালু রাখেন। এটা একটা ভুল ধারণা। আপনার রুমের তাপমাত্রা সবসময় বাইরের সাথে তাপ বিনিময় করে। তাপ সবসময় উচ্চ তাপমাত্রা হতে নিম্ন তাপমাত্রায় প্রবাহিত হয়। ফলে আপনার রুমের তাপমাত্রা কখনোই একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে নামেনা।
৯. গুরুজনরা তোতলা কাউকে ভ্যাংচাতে নিয়েধ করেন। এতে নাকি যে ভ্যাংচায় তারও তোতলামি হতে পারে। কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু এই কুসংস্কারটা আমি মেনে চলি। জানি অনুচিত, তারপর ও .............
১০. পোড়া স্হানে কখনো বেশিক্ষন বরফ ধরে রাখবেন না। বরফ থেকেও একপ্রকার ইনফেকশান হয়। ঠান্ডা পানি ঢালুন। ( পেপার থেকে পাওয়া)
১১. যত্র-তত্র টয়লেট ব্যবহার থেকে সাবধান থাকুন। কারণ অনেক যৌন রোগ অসাস্হ্যকর টয়লেট থেকে ছড়ায়। (ম্যাগাজিন কিংবা পেপার)
১২. মনিটরের দিকে টানা আধা ঘন্টার বেশি তাকিয়ে থাকবেননা। কিছুক্ষণের জন্য চোখ ব›ধ রেখে চোখকে রেষ্ট দিন। (ম্যাগাজিন থেকে)
১৩. ছোট ভাই-বোনের মতামতকে গুরুত্ব দিন। তাকে নিয়ে তার বন্ধুদের সামনে কখনো হাসাহাসি করবেন না। তার ব্যাক্তিত্ব বিকাশে সমস্যা হতে পারে। ( নিজ অভিজ্ঞতা থেকে শেখা। বাড়িতে আমি যে গ্রুপে চলতাম সে গ্রুপে প্রায় আমার সমবয়সী আমার কাকাও থাকতো। ফলে আমার ডিসিশান গুলো কাকাই নিতো। যার ফলে আমার সমবয়সী একটা ছেলের কথা ওখানে যতটা গুরুত্ব পেতো, আমার ততটা পেতো না। কারণ কাকার কারণে আমি সবার ভাতিজা - ছোট মানুষ।)
১৪. আপনি যত বড় ক্যাডারই হোন চলন্ত গাড়ির সাথে কখনো ত্যাড়ামি করতে যাবেননা। ঐ বাণীটা শুনেননি, ” চলন্ত গাড়ি এবং নারী হতে সাবধান।”
ব্যাস্ত রাস্তার মাঝখানে গিয়ে সামনে পিছে ছোটা-ছুটি করবেননা। হয় সামনে যাবেন নয়তো থেমে যাবেন। পেছনের দিকে যাবেননা।
১৫. বাসে চলা-চলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো নামার সময় অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই বাম পা প্রথমে দিয়ে নামবেন। বাস যত দ্রুত চলুক শরীরের কন্ট্রোল রাখতে পারবেন।
১৬. হাঁটার সময় দ্রুত হাঁটুন। শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে। (পত্রিকা থেকে)


১৭. সাতার জানেন না? সাতারটা অবশ্যই শিখে রাখবেন। দেরী করবেন না। কাল থেকেই শুরু করুন। বড়জোর সপ্তাহ তিনেক লাগবে। ( ছোট বেলায় দু’বার ডুবতে বসছিলাম। একবার একা-একা গোসল করতে গিয়ে। দ্বিতীয় বার ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে, যদিও নিজেই সাতার জানতাম না। )
১৮. ভাত খাওয়ার মাঝে পানি খাবেননা। খাওয়ার পরিপাকের জন্য মুথে থাকা এনজাইমগুলো চলে যায়। ( কোথায় যেন পেয়েছিলাম)
১৯. দ্রব্য কেনার সময় এক্সপায়েরি ডেট দেখে কিনুন। বাসায় থাকা কোন দ্রব্যেও এক্সপায়েরি ডেট পার হয়ে গেলে তা ফেলে দিন। কিপ্টামী করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

২০. আহার, নিদ্রা, ভয়। যত বাড়াও তত হয়। এটি কাগজে লিখে তাবিজ বানিয়ে বুকে রাখুন। কাজে দেবে। ( ভূতের ভয় তাড়ানোর জন্য ছোট বেলায় এই মন্ত্রটা খুব কাজে দিতো। রাতের বেলায় অন্ধকার কোন জায়গা দেখলে ভয় লাগতো তখন এই মন্ত্রটা আওড়ে ঐ অন্ধকার জায়গায় চলে যেতাম। যদিও প্রথম দুটোর এখনো কোন ব্যবস্হা করতে পারিনি।)
২১. এতোদিন জানতাম ভারি খাওয়ার পর ফল খাওয়া উচিত। কিন্তু সেদিন জানলাম ব্যাপারটা ঠিক তার বিপরীত। যেহেতু ফল সহজপাচ্য তাই আগে খেলে এটি পরিপাক হয়ে পরের গুরু খাওয়ার পরিপাকের পথ ছেড়ে দেয়। (নেট থেকে। এ ব্যাপারে আমার কিছুটা কনফিউশন আছে।)
২২. বাম হাতে কাউকে কিছু দেবেন না। আপনার কাছে হয়ত ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু আরেকজনের কাছে তা চরম বেয়াদবি হতে পারে। বিশেষ করে মুরুব্বিদের কাছে। কি দরকার ঝামেলার। (ঠেকে শেখা)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩
২৬টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×