somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মায়াময়মিদমখিলম

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা কে কে যে
কজন বা কত
ভুলে হ’য়ে গেছি আমাদের মতো
(মা’র সঙ্গে বাক্যালাপ, শামীম কবীর )

২ অক্টোবর ১৯৯২
ঘরের ভেতর কার্বন পোড়া ঘ্রাণ। বেশ ঝাঁঝাঁলো গন্ধ, নাসিকারন্ধ্র দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিষ্কের নিউরন পর্যন্ত চলে গেছে মনে হয়। দু’কান দপদপ করছে। কারা যে এসব করে অথবা কখন করে টের পাই না । দিনের প্রায় চব্বিশ ঘন্টাইতো ঘরের মধ্যে থাকি। অবশ্য কী বা বুঝতে পারি? গত চারদিন ধরে বাড়িওয়ালা কেন যে বেসিনের কল বন্ধ করে রেখেছে কে বলতে পারে? আর এ বিষয়ে তাকে কিছু বলেও কোনো লাভ আছে বলে মনে হয় না। এরতো অজস্র প্রমাণ আছে। গত এপ্রিলে যখন ফ্রিজের স্ট্যাবিলাইজার কাজ করছিল না তখনই সন্দেহ হয়েছিল এর পিছনে লালগুল্ফবিশিষ্ট চতুর বাড়িওয়ালার হাত আছে। কিন্তু কাউকে কোনো কথা বিশ্বাস করানো এত কঠিন! চাচার ধারণা ফ্রিজের কলকব্জা বিকল করে আমি নিজেই বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি। ঘরের ভেতরের গুমোট আবহাওয়ায় আর থাকা সম্ভব না। বেরোতেই হল। বাইরে ঝিরঝিরে বাতাস, একটু শীত শীত। পুলওভারটা আনা দরকার ছিল। রাস্তায় একদম শুনশান্। রাত আটটা বাজতে না বাজতেই লোকজন সব সটকে পড়েছে নাকি? মোড়ের দোকানে ভিড় নেই। সত্যি কথা বলতে-কী চাইছিলাম কারো সাথে কথা বলতে। গত কিছুদিন ধরে ঝিম ধরা সময়টা একদম ছিবড়ে বানিয়ে ছেড়েছে। সহপাঠিদের সাথে কথা বলতে এমন ক্লান্ত লাগে। ওদের সাথে কদাচিৎ দেখা হলে চোয়ালের মাংস ঝুলে পড়ে, জিভে স্বাদহীন অনুভূতি। মাসরুর একমাত্র বন্ধু যার সাথে তাও কিছু কমিউনিকেট্ করা যায়। ওর সিক্সথ্ সেন্স খালি ভাল না নাইনথ্, টেনথ্ পর্যন্ত সেন্সও আছে। আই অ্যাপ্রেশিয়েট্ হিজ্ থট্ প্রসেস্। যদিও ইউনিভার্সিটি ওকে ছাড়িয়ে দিল অনিয়মের দোহাই তুলে। ডিজগাস্টিং।

৩ ডিসেম্বর

গত কয়েকদিনে যা ঘটল! কী বলব এমনটা ইহজনমে ইম্যাজিন করেছিলাম বা করতাম বলে মনে হয় না। চারপাশে যেমন সব দেখছি একটু সন্দেহ হয় অ্যাসাইলাম্গুলো কি তুলে দেয়া হল নাকি? ঢাকা সিটিতে শুনেছি গবর্নমেন্ট, নন মিলিয়ে গোটা পনেরো অর্গ্যানিজেশন্ এসব জনসেবামূলক কাজ করছে। তাদের কাজকর্মতো রীতিমতো আমাকে থ বানিয়ে দিল। ফার্মগেট ওভারব্রিজ পার হতে গিয়ে জঘন্য। পিছন থেকে এসে একেবারে জাপটে ধরল।
না, কী? টাকা চাই- দু’বেলা না খেয়ে আছে। কোটের কোনা ধরে রেখেছে। টাকা না দেয়া পর্যন্ত নো ছাড়াছাড়ি। ইউনিভার্সিটি এরিয়া হলে অন্য কথা ছিল। মৃণালদা, মিল্টনরা তো বন্ধু, তস্য বন্ধু হলেও কাগজের নোটের ব্যাপারে ফকিরিবাদের চর্চা করে আসছে বহুদিন। আর তাছাড়া উপায় তো নাই। দেড়শো টাকার পি ডি কিনতে হচ্ছে আড়াইশো টাকায়। রেশনিং চলছে সব জায়গায়। সেদিন দেখি বর্ষা-বাদল জুটি পাবলিক লাইব্রেরির চিপার সিড়ি থেকে যেন উড়তে উড়তে এল। বর্ষার গাঢ় কালো চোখদুটো আমাকে দেখে কেমন আন্ইউজুয়্যাল বিহেভিয়ার করতে লাগল যেন বিয়েত্রিচের দান্তে স্বয়ং দাঁড়িয়ে। ঐ পরিস্থিতিতে নিজের পার্সোনালিটি যত গভীর হোক না কেন তা রাবিশ্। তাকে মেন্টেন্ করা যায় না। আমিও সচরাচর যা করি না তাই করলাম বর্ষার হাতদুটো স্পর্শ করলাম। এতে আমার কী দোষ হল বুঝতে পারলাম না। বাদলতো বটেই বর্ষাও এমন ব্যবহার করল আমি যেন লেপ্রসির রোগী। গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা। ছ্যাৎ করে উঠল।
বুঝি না ওরা আমাকে রিড্ করতে ভুল করছে নাকি আমি করছি ভুলটা। এমনিতে এসব নৈতিকতার বালাই আমার নাই কিন্তু রিফ্লেকশন বলতে যা বোঝায় তার ক্ষেত্রে পার্ফেকশন কিছুটা হলেও আছে, মানে তাই তো জানা ছিল। না এখন দেখছি শাহেদের ডজ থিওরিটা সত্যি হয়ে যাচ্ছে। হা.... হা.... হা....

৮ ডিসেম্বর

ড্রিপ ড্রপ ড্রিপ ড্রপ ড্রপ ড্রপ ড্রপ
বাট দেয়ার ইজ নো ওয়াটার....
মাথার যন্ত্রণাটা আবার বেড়েছে। গত তিনদিন পেন কিলার ট্রাঙ্কুলাইজার সমানে খাচ্ছি। কোনো পরিবর্তন নাই।

১ জানুয়ারি,১৯৯৩

হ্যাপি নিউ ইয়ার টু মি। চিয়ার্স। থ্রি চিয়ার্স।

২৪ জানুয়ারী
আজ কার যেন জন্মদিন! সেঁওতির? কনফিউজড্।
আমার নিজের না তো? অ্যাগেন্ কনফিউজড, বুয়েটের হল থেকে কবে এই ছাপরা মসজিদের গলিতে এলাম? কতদিন? মাস--
এ- কি এই শতাব্দীর ঘটনা? কাল বাসে যেতে যেতে দেখলাম ডেড হোয়াইট স্কিনের এক তরুণীকে। ঝলমলে পোশাক, চোখে-মুখে দুরতিক্রম্য আহ্বান। একি আমার জন্য?
ফাক্ ইট। আজকাল কী সব ট্রাশ পড়ে ধাঁধাই শুধু দেখছি। তবে সবচেয়ে অদ্ভূত ব্যাপার রুমে ফিরে ভাত খাওয়ার সময় দেখি নতুন বুয়া আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। না হে এ দৃষ্টি অপরিচিত নয়। খুব বেশি পরিচিতও নয়। গতকল্য যে তরুণীকে দেখলাম এ তার চোখ। পাণ্ডুবর্ণ, ভাবলেশহীন চোখ। কী আশ্চর্য! এটা কী করে সম্ভব? মেমোরি ক্যান বি ডিসেপ্টিভ্। হ্যাঁ, তাও তো মিথ্যে নয়। কিন্তু নিজের চোখকে কী করে ধুলো দেই? আই থিঙ্ক দেয়ার মাস্ট বি সাম রিলেশনস্ বিটুইন্ দিজ্ টু উওমেন। এক্ষেত্রে শাহেদের ডজ থিওরি বোঝার দরকার হয় না, মিস্ট্রি অব কজমোলজি জানলেই চলে। ক্লোনিং! শুনেছি ক্লোন করা হচ্ছে বা হয়ে গেছে। হ্যাঁ মানুষ। কিন্তু এরা যে এত তাড়াতাড়ি যত্রতত্র শহরগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে মালুম হয় না। যাক এ বিষয়ে গভীর পড়াশোনা ছাড়া সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না।

১৩ ফেব্রুয়ারি

রোদন ভরা এ বসন্ত সখী কখনো আসেনি বুঝি আগে। এসেছে, হ্যাঁ এসেছিলই তো, কিন্তু কোথায় সে কাদম্বরী, কোথায় সে শকুন্তলা?
এসেছিল মনে। হ্যাঁ মনে মনে এসেছিল , মন তাকে তৈরি করেছিল। ওয়ান মাইন্ড ক্যান মেক অ্যানাদার মাইন্ড। আর স্কেলিটনটা সবার জন্য সাধারণ। আমার মনেও বসন্তের ছোঁয়া লাগল। ভোরবেলা ঘর থেকে বেরিয়ে “পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া.....”.
কলিম শরাফী? - কিছু মনে পড়ছেনা। চারপাশে একেবারে গৈরিক বসন্ত। বিকালে মেলায় গেলাম। বইমেলায় এবার প্রথম। টি.এস. সি থেকে বাংলা একাডেমি-সারি সারি দোকান, বই-পুস্তক, গান, চিৎকার, রঙ, চারিদিকে রঙিন শাড়ি পড়া তরুণী, কিশোরী, প্রৌঢ়া.....
গাঢ় বাসন্তি শাড়িতে ছাইবর্ণ বিমূর্ত জলরঙ, কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, পোড়া কাঠের তৈরি এক মেয়ে হেঁটে গেল সামনে দিয়ে। অবয়বে আফ্রোদিতি’র ছাপ নয় একটা অচেনা দৃষ্টি, কিছুটা বিষণ্ণ উদাসীন। চোখে একটা ঝিলিক কিন্তু তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই মিলিয়ে গেল। তার চোখের দৃষ্টি মাদাম বোভারীর কথা মনে করিয়ে দিল। নিজের মনের মধ্যে যেন ডুবে আছে, চারপাশে কী হচ্ছে দেখছেনা, একটা ধ্যানের মতো. কিন্তু কোথায় যেন একটা বিক্ষিপ্ততা। বিকালের হালকা গোলাপি আলো তার সব শূন্যতাকে শুষে নিচ্ছে কিন্তু এ মেয়ে তো নেশায় একদম চুর। কোনো হুঁশ নাই। আহ! কী সব ভাবছি। অচেনা সব মানুষ দেখলে মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে আর পরিচিতরা মনে বিতৃষ্ণা জাগায়, তাদের কোঁকড়ানো চুলের ভেতর বিষাক্ত কেউটে ওৎ পেতে থাকে। আই হেট্ অল্ দোজ্ ব্লাডি সোয়াইন্স্ । দে ইরিটেট্ মি অল্ওয়েজ্। ব্লা....ব্লা...ব্লা.....ব্লা....ব্লা.....



২৬ ফেব্রুয়ারি
জোসেফের কথা খুব মনে পড়ছে। দ্যাট বাডি। রিয়েলি মাইন্ড ব্লােয়ংি গাই। বড় একটা ভুল হয়ে গেছে। ক্ষমার অতীত ভুল। একটা সড়ক ধরে যাচ্ছিলাম দুজনে, দু’বন্ধু। কবেকার কথা মনে নেই। এইট্টি নাইন....এইট্টি এইট..... এইট্টি সেভেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিকলাঙ্গ মনের যত কথা। সে শুনতো আমার কথা, প্রতিটা শব্দ, বর্ণ, গোগ্রাসে গিলত, এর মধ্যে কোনো ফাঁকি ছিল না। যা ছিল তাকে বলা যায় প্রেম। একই লিঙ্গের প্রেম। না এ প্রেমকে সহজে কেউ ভাল চোখে দেখে না। অথচ এ সম্পর্ক চলে এসেছে সৃষ্টির আদি থেকে। এই ঘনিষ্ঠতা সবসময়ই আছে কিন্তু তা যেন কেউ দেখতে পায় না, দেখতে চায় না। একথা জানাজানি হলে তাদের জন্য অসহনীয় হয়ে ওঠে ঘর ও বাইরের বাতাস। আমার প্রতি জোসেফের এ টান, আমারও তো ছিল কিন্তু তবু তাকে আমি চরমভাবে আঘাত করেছি, পাশ থেকে বন্ধুর লাশ নয় বন্ধুকেই ফেলে দিয়েছি। মোটরবাইকে পিষে মেরেছি যেন তাকে। ধুলোর মতো ছেলেটি ধুলোয় মিশে গেছে আর জানতে পারিনি তার খোঁজ । আসলে জানতে চাইনি, আগ্রহ বোধ করিনি। বলা যায় একপ্রকার ভুলেই থেকেছি। দুহৃর্দর মতো ব্যবহার করেছি। এটা ভাবলে আশ্চর্য লাগে যারা আমাকে সত্যিকারের বন্ধু ভেবেছে, অনুভব করেছে, সহযাত্রী হয়ে চলেছে বন্ধুর পথ ঠিক তাদের প্রতিই বিকর্ষণ। অথচ যেখানে অনেক ছলচাতুরী, ভুলুক-ভালুক অসারতা, লঙ ডিস্ট্যান্স- সেইসব মানুষ, কথার দিকে বারবার ছুটে গেছি। এ হয়তো মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। লাকা সাহেব ভালো বলতে পারতেন, সলিমুল্লাহ্ সাহেবও ফুটনোটসহ মুগ্ধ করে রাখতে পারবেন মনে হয়। কিন্তু তাদের থেকে ভাল তো আমি জানি, বিশেষত এই বিষয়ে। জোসেফের স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত আধুনিক অবয়বের সামনে গেলে নিজেকে আয়নার ভেতর দেখতে পেতাম। ও ছিল আবলুস কাঠ দিয়ে বাঁধানো স্বচ্ছ এক মিরর। ওর চোখের দিকে তাকালে বুঝতে পারতাম দ্যাট্ মিরর আমাকে দেখছে, আমি দেখছি তাকে। এ লিভিং মিরর। কিন্তু আয়নায় নিজের আক্ষরিক প্রতিচ্ছবি দেখতে ভাল লাগত না। জোসেফের কাছে লুকানোর কিছু ছিল না। ও বুঝে নিত স¦াভাবিক নিয়মে। নিজের ত্রিশঙ্কু দশাটি দেখতে চাইতাম না ওর আরশিতে। সেজন্য ওকে এক পর্যায়ে অসহ্য লাগত। ইচ্ছে করতো ঢিল মেরে চৌচির করে দেই আয়নাটি। সাতসকালে ঘুম থেকে উঠেই তিতুমির হলে এসে হাজির হত জোসেফ। কায়েৎটুলি থেকে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসতো প্রায় প্রতিদিন। আমার তখন ঘুমে দিশেহারা অবস্থা। প্রজেক্টের কাজে পুরো রাত জেগে চারটা পাঁচটার দিকে ঘুমাতে যেতাম। ভোর আটটার মধ্যে জোসেফর উপস্থিতি। মাঝে মাঝে মনে হত জোসেফ কেউ নয়। হু ইজ্ দ্যাট গাই? আমারই মনের ভুল নাতো। দিনরাত কার সাথে যেন কথা বলতাম। হলের ছেলেরা বলত আমার স্ত্রু ঢিলা হয়ে গেছে চাঁনখারপুলে গিয়ে টাইট দিয়া আনতে হবে। হা.......হা.....হা.....



১৯ এপ্রিল
এপ্রিল ইজ দ্য ক্রুয়েলেস্ট মানথ্। উনিশ সংখ্যাটা বরাবরই বেশ জটিল লাগতো। মৌলিক সংখ্যাগুলোর মধ্যে উনিশ সংখ্যাটি অনেক ভাবিয়েছে গণিতবিদদের আমি ঠিক সেজন্য এ তারিখটি নিয়ে ভাবতাম না। এ অন্য বিষয়। বাবার অন্তর্ধান দিবস। শৈশব থেকেই দেখে আসছি এ দিনে বাড়িতে মিলাদ, কোরান-তেলওয়াৎ। কনা ফুপু আসতো রংপুর থেকে। সারাদিন বাড়িতে ফকির খাওয়া...দান-খয়রাত এসব চলত। দাদীর কাছে শুনেছি রেডিও পাকিস্তান থেকে যেক’জন অফিসারকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারা অনেকেই ফিরে এসেছে। নিখোঁজ হওয়ার দিনটিতে সন্ধ্যায় কী করে যেন বাবা রাস্তায় পাকিস্তানি মিলিটারিদের সামনে পড়ে যায়, সঙ্গে আই ডি কার্ড ছিলনা তখন । বাসার সবাই বহুরাত পর্যন্ত বাবার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করেছিল কিন্তু ভোর রাতের দিকে খবর আসে লালবাগ মোড় থেকে যাদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল তারা কেউ আর বেঁচে নেই। তাদের ডেডবডি কামরাঙ্গি চরের দিকে পাওয়া যাচ্ছে । একজনের বাসা থেকে চাক্ষুষ ডেডবডি দেখার খবরও পেীঁছে যায় বাসায়। মা কখনো বিশ্বাস করতে পারেনি বাবা ফিরে আসবে না। সে সবসময় বাবার জন্য অপেক্ষা করত , এখন পর্যন্ত করে। মা’র এই ওয়েটিং ফর গোডো থিমটা আমার মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছিল। উই টু আর ওয়েটিং ফর গোডো, ওয়েটিং ফর নাথিং। হ্যাঁ এই অপেক্ষা, এ গোডোর জন্য অধীর ব্যাকুলতা, নাথিং এর জন্য দিন গোনা হয়তো আমার ব্যক্তিত্বকে শূন্যবাদী করে তুলেছিল। জানতাম পিতা ফিরে আসবে পুত্রের কাছে। স্বপ্ন, স্বপ্ন, তা হয়ে গেছে দু:স্বপ্ন। বিধ্বস্ত ওয়ারশ শহরে লোকজন সব পালাচ্ছে, চিমনি থেকে ধোঁয়া উড়ছে, শীতে কুঁকড়ে যাওয়া বৃদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ভারী লটবহর। ছোট গ্রাহাম নগ্ন পায়ে এলোমেলো ঘুরছে, গেটোর ভেতরে এঁটো গন্ধ, লাশ পঁচা গন্ধ । গ্রাহাম সার্চিং হিজ্ ফাদার । নাতাশা সার্চিং হিজ্ ফাদার। জাফর পানাহি, শিবব্রত, রোকেয়া.....সবাই তাদের বাবাকে খুঁজছে.....ফাস্ট ফরওয়ার্ড.....সেভেনটি ওয়ান, সেভেনটি ভাইভ, এইট্টি ভাইভ ,নাইনটি, নাইনটি টু.....। না মাথাতো সদর-ঘাট হয়ে গেল। জট খুলি কী করে?
মাথার ভিতর
স্বপ্ন নয়- প্রেম নয়- ভালোবাসা নয় কোনো এক বোধ কাজ করে।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি
বলি আমি এই হৃদয়েরে:
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়।
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবেনা? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে নাকি পাবেনা আহলাদ...........
জীবনানন্দ দাস এমন সব সময়ে এসে উপস্থিত হয়। ইচ্ছে করে আবার তাকে ট্রামের নিচে ফেলে দিয়ে আসি। এবার সুইসাইড নয় শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট কিলিং ।

মে ডে ১৯৯৩

ইভা ব্রাউন, ইভা ব্রাউন মাথার ভেতর ঘুরছে। ব্রেডের স্বাদও কেমন তিতকুটে। ময়দার বদলে শুনেছি ভুসি দিয়ে ব্রেড তৈরি হচ্ছে, পচা ডিমের গন্ধ, উৎকট। সকালের নাস্তাটা মাটি হয়ে গেল। রুমমেট তপনও নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। স্ট্যুপিড্ গাইজ সব। বাট দে অলওয়েজ্ কলড মি ব্লাডি ফুল। হাউ ডু দে টক লাইক দ্যাট। তপনের শরীর থেকে শোল মাছের গন্ধ আসছে এবং ওর শরীরের নীচের অংশ মাছের মতো লাগছে। অদ্ভূত ব্যাপার কোমরের নিচ থেকে পুরোটা আঁশ দিয়ে গাঁথা। ভেরি স্ট্রেঞ্জ! ভুল দেখছি না তো? এরকম সব সিনেমায় দেখা যায়। শাহেদের ডজ থিওরি মনে হয় কাজ করছে। মানুষের পূর্ব-পুরুষ জল থেকে ডাঙায় এসেছে আবার জলে ফিরে যাবে। এ তো হিন্দু মাইথলজিতেও আছে। চুরাশি লক্ষ যোনি পথ ঘুরে পরমাত্মায় মিশে যাওয়া। এখন কোন্ স্তরে আছি কে জানে? আরও কয় লক্ষ বছর ঘুরতে হবে কে জানে? হু নোজ? গড নোজ? নাউ হু ইজ দ্য গড দেন্? হা।
এমন মানব জনম আর কি হবে?
মন যা চায় ত্বরায় কর এই ভবে।
মন কিছু চায় না। এই কিছু চায় না যে সেটা চায় বটে। হা....হা....হা.....


২৫ অগাস্ট্

অগাস্টাস দ্য গ্রেট এম্পার্রা। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি । মেয়েটির কথা মনে পড়ছে। হাসপাতালের বেডে ছোট মুক্তোর মতো, রেশম কোমল মেয়েটি। কে তুমি কালো রাতে এসেছো আলো হাতে বালিকা? ফোঁটা ফোঁটা স্যালাইন হয়ে ঝরে পড়ছি ওর-ই শরীরে। না এ তৃষ্ণা জলের না। মনটা খুব অস্থির লাগছে, হাসপাতালের মেয়েটি, কেবিন নম্বর ১২০। কার কন্যা এটি, কার জানি না। কিন্তু নিজের আত্মজার মতো লেগেছিল হাসপাতালের চকিত দর্শনে। কেমন হয় সে অনুভ’তি? অনেক অনুভ’তি বাস্তবে এক্সপিরিয়েন্স্ না করেই ফিল করা যায়। অনেকটা তেমন। ভবিষ্যৎ বা সম্ভাব্য অনুভ’তি বর্তমানে অনুভব বা যা কখনোই ঘটবে না । কোনোদিন যাইনি নবগ্রাম, কোনোদিন! এমন অচেনা মানুষদের জন্য অজানা কারণে মন ইদানিং উচাটন হয়ে ওঠে। পোয়েটিক হয়ে যাচ্ছিনাতো?
হা হরতন হো ক্যুইট।




৭ জানুয়ারি ১৯৯৪

তিনদিন ধরে কানাওলার মতো ঘুরছি। সাথে জুয়েল, র‌্যানিভাই, আদিত্য, নবী। নবীর গানের দরাজ গলা কিন্তু তাল, লয় কিছু নাই। তাই গেয়ে আসর জমায়। আর ওদের সাথে থাকতে হলে একই জলে পা না ডুবিয়ে উপায় নাই। জলে না ডুবেও উপায় নাই। আর নিজের যে ইচ্ছা নাই তাও নয়। লালবাগের খান সাহেবের আস্তানা! আজিমপুর এতিমখানা ছাড়িয়ে সোজা চলে গিয়ে ডানে মোড় নিতে হল। কিছুটা যাওয়ার পর বামে সরু গলি। কালো থকথকে ময়লা দিয়ে ড্রেনগুলি পূর্ণ। কিছু ময়লা গলির উপরেও রাখা। এসব ডিঙিয়ে কাঠের দরজায় নক্ করতেই বেশ তাগড়া এক ছেলে এসে দরজা খুলে দিল। খান সাহেবকা কাস্টমার? মাথা নাড়তেই ছেলেটি আমাদেওর চার-পাঁচটা ঘরের ভেতর দিয়ে নিয়ে গেল আখড়ায়। ঘরটিতে সাদা রং এর বেতের চেয়ার পাতা. মাঝে গোল টেবিল, কেমন একটা বোটকা গন্ধ। প্রথমে গা গুলিযে এল,তবে কিছুক্ষণ যেতেই সহনীয় হয়ে গেল গন্ধটা। খান সাহেব নিজে এলেন আমাদের সাথে কথা বলতে। উঁচু, লম্বা, ধবধবে সাদা, মুখে লাল চাপ দাড়ি, শরীর থেকে বেশ একটা সুবাস আসছিল জর্দার সম্ভবত। রোগা পটকা এক ছেলে সবুজ রঙ্গের কাঁচের বোতলে করে দেশি দিয়ে গেল। জুয়েল সাথে করে কমলা নিয়ে এসেছিল তাই চিপে দিল খানিকটা। খান সাহেব বহুৎ আচ্ছা লোক, ওনার চোখের সুর্মাটাও ভাল লাগলো । ফেরার পথে হল ঝক্কি। উঠতে পারছিলাম না। পা যেন একেবারে গেঁথে দিয়েছে কেউ মেঝের সাথে। উঠতে পারিনা। সবাই মহা খাপ্পা, ওরা নিজেরাই কিছুটা বেসামাল তার উপরে এই বিপত্তি শেষে দুজনে মিলে ঘাড়ে করে রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে এল। তারপর কিছু মনে নেই। মাঝ রাতে রুমের ফ্লোরে নিজেকে আবিষ্কার করে অবাক হযে গেলাম। এরা কি আজকাল মিথাইল এর বদলে ইথাইল এলকোহল দিচ্ছে নাকি? সারা শরীর ব্যথা। মুখে বিস্বাদ। পাশের বিছানায় সেঁওতি শুয়ে আছে। ওর চোখে-মুখে রক্তের মতো কী যেন লেগে আছে। মেঝে থেকে উঠে ওর পাশে বসলাম। সেঁওতি পাশ ফিরে শুলো। ঠোঁট স্পর্শ করতেই কেঁপে উঠলো মেয়েটি। খুব কাছে থাকতে ইচ্ছে করে ওর কিন্তু কাছে গেলেই তীর্ব বিকর্ষণ। না, আজ সেঁওতিকে ভীষণ আদর করলাম। প্রায় পিষে ফেলার দশা। মাঝে মাঝে ওকে হাত-পা বেঁধে আদর করতে ইচ্ছে করে। রক্তিম হয়ে উঠলো আমার হারানো দেসদিমনা । এ কী এতো সেঁওতি নয়, পথে দেখা সে মেয়েটি। না, সেও না। কেউ না। কেউ-ই নাই ঘরে। ফাঁকা ঘরে ফ্যানের খটখট শব্দ বেজে চলেছে শুধু।

৩ মার্চ

কিছুদিন ধরে কানের ভেতর সারাক্ষণ খুটখুট শব্দ হচ্ছে । ভেতরের ইঞ্জিনের শব্দ বাইরে চলে আসছে কেন বুঝি না। কোনো কুয়োর ভেতর টু শব্দ করলে যেমন প্রতিধ্বনি হয়
টু-উ-উ-উ-উ-উ তেমন শব্দটা। সারাক্ষণ দু’কান চাপা দিয়ে থাকি। ক্রমাগত বাড়তে থাকে টু শব্দ। না, অসহ্য যন্ত্রণা। রাস্তায় বেরোলে গাড়ির শব্দের সাথে কানের ভেতরের শব্দ মিলে ভো সাউন্ড তৈরি করে। ফার্মগেটে ই. এন. টি স্পেশালিস্টের কাছে গেলাম। কানে বিভিন্ন মাত্রার কম্পনাঙ্ক মেপে দেখল। একেক গ্রেডের সাউন্ড্ মাথার মধ্যে দিয়ে ঢুকে সাঁ করে বেরিয়ে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় নার্ভে প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়ে যাচ্ছে। তবে হিয়ারিং টেস্টের রেজাল্ট নরমাল এল।

২৭ জুন

আজ একটা স্পেশাল ডে। আজ আমার আর সেঁওতির তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী। সেঁওতির সাথে বিয়ের তিন বছর হয়ে গেল, এটা অতিরিক্ত। এতদিনেও আমার সাথে তার স্বাভাবিক সম্পর্ক হল না। খুব কম দেখা হয়। কোর্ট ম্যারেজ করেছি না যেন খুনের আসামী।। ওদের বাসায় গেলে দরজা খুলতে চায় না। খুব হৈ চৈ করলে ড্রইং রুমে বসতে দেয়। বাজখাঁই গলার মা’টা চোখে-মুখে চরম বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। সেঁওতির কথা জিজ্ঞেস করলে বলে বাসায় নাই অথচ আমি জানি ও বেডরুমে আছে। আমার জন্য অপেক্ষা করছে। সেঁওতি এমন একটা মেয়ে যার অস্তিত্বের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে আমি। হলে থাকতে ওর সাথে প্রতিদিন দেখা হত। এ মেয়েতো মারাত্মক ধরনের। ওকে যদি এভাবে ঘরে আটকে রাখে তাহলে নিশ্চিত সেঁওতি একদিন ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়বে। সেঁওতি কি সত্যি সেদিন পড়েছিল রাস্তায়? অনেক কাক একসঙ্গে উড়ে গিযেছিল মাথার উপর দিয়ে। মাঝ রাস্তায় থকথকে একখণ্ড মাংসপিন্ড। ছড়ানো ছিটানো রক্তের ছোপ। না এতো সত্যি নয় , আমার কল্পনা। সেঁওতি নয় ও ছিল নাসরিন । নাসরিন লাফিয়ে পড়েছিল পাঁচতলার ছাদ থেকে। ক্যারাটে জানতো, ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছিল। কালো ছিপছিপে মেয়েটি , চোখগুলো খুব শার্প। উচ্ছল, প্রাণবন্ত- তবু কোথায় যেন একটা মেল্যান্কলি। অথচ আমার সাথে দেখা হলে খুব প্রগলভ হয়ে উঠতো। বলতো ইউ আর দ্য ম্যান, যার জন্য পৃথিবীও তার পায়ের চাকা বদলে নিতে পারে।

২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫

রেজাল্ট বেরিয়েছে শুনলাম। গােল্রায় যাক। প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী দিয়ে ভাত হয়তো জুটবে। বাট আই রিয়্যালি হেট্ দ্যাট ব্লাডি প্রসেস। ভাত রিকশা চালালেও জুটবে, বিড়ি বান্ধলেও জুটবে। তবে সব ভাতের স্বাদ হয়তো এক নয় যেমন সব হিউম্যান মাইন্ড আলাদা। বুঝি না আমাকে কেন বার বার মনোজগতে নিয়ে যাওয়া হয়। সমস্যাটা কী? লোকজনের আর কাজ-কাম নাই ধরে ধরে সবাইকে অ্যাসাইলামে ভরে রাখছে। আমারতো মনে হয় ফুকোর থিওরি সঠিক। দেয়ালের কোন পাশে যে কারা আছে তা কে বলতে পারে! মানে তা বলার অধিকার কে কাকে দিয়েছে? র্নম্যালিটির সীমা কোথায় শেষ আর অ্যাব্নরম্যালিটির সীমা কোথায় শুরু কে বলতে পারে? সায়কিয়াট্রিস্ট। হা। হু মেড দেম? দ্য সিস্টেম?

২৮ ডিসেম্বর
লাস্ট ডেজ্ অফ পম্পেই। দিন শেষ হয়ে আসছে। আলো নিভে আসছে। টাইম মেশিনে চড়ে একদম পৃথিবীর শেষ দিনে পেীঁছে গেছি যেন। প্রকান্ড সূর্য মাথার খুব কাছাকাছি। এইচ.জি.ওয়েলস, টাইম মেশিন। না এতো সায়েন্স। পৃথিবীর নিজ কক্ষপথে ঘোরাটা ধীরে ধীরে কমে আসবে। এত আস্তে ঘুরবে পৃথিবী যে রাত পেরিয়ে দিন শুরু হতে কয়েক লক্ষ বছর লেগে যাবে। আবার ম্যামথ্দের যুগ শুরু হবে, হিম যুগ। বড় বড় সব প্রাণী কিন্তু গায়ে শক্তি নাই। ঘুম আসছে গভীর ঘুম। বেলাল একবার হিপনোটাইজ করেছিল, একটা চেনওয়ালা ক্রশ মুখের উপর ঘোরাতে ঘোরাতে আধ-ঘুম আধ- জাগরণ দশা। চলে গেলাম সাব্কন্শাস্ স্টেজে। কথা বলছি, বেলালের সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি কিন্তু হাত-পা অসাড় । কোনো শক্তি নাই, ভরশূন্য অনুভ’তি, গ্রাভিটেশনহীন দশা। আব্বাকেও দেখতাম এম. ইউ আহমেদের কাছে যেতে। ওনার অনেক রোগী সম্পূর্ণ কোমা থেকে ফিরে এসেছে। তারা এসে বর্ণনা করতো মৃত্যুর আগের অবস্থা- দেহ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। অসহ্য যন্ত্রণা, শ্বাস-কষ্ট, শূন্যে ভেসে বেড়ানো, আগুনের হল্কার অনুভ’তি, লাল-নীল আলো। একটা জার্নি। তারপর আবার ফিরে আসা। মেডিক্যাল সায়েন্সের ক্লিনিক্যাল ডেথের বিষয়টা আমার কাছে পাজ্লিং, কন্ফিউজিং লাগে। বিশেষ করে সুস্থ হওয়ার পর রোগীদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা- ওসব হয়তো মৃত্যু সম্পর্কিত তাদের পূর্ব ধারণাজাত জ্ঞান থেকে তৈরি হয়। ঐ অবস্থায় সে মৃত্যুভীতি থেকে মৃত্যু-সম্পর্কিত নলেজগুলোকেই এক্সপিরিয়েন্স করে হয়তো । আর এসব ঘটে তার অবচেতন মনে। কিন্তু আমি হাসপাতালের বেডে কেন? সারা শরীর সাদা চাদর জড়ানো। গায়ে জেলখানার মতো ডোরাকাটা পোষাক। কে পরালো? কিছু বুঝতে পারছি না। দূরে সাদা পোষাকের নার্স। এরা কি জানে না হাসপাতালে এলে আর সকলেই ফিরে যেতে পারে না। অথবা সেই অন্ধক’প যেখানে ঝাঁপ দিলে আর ফেরা হয় না। বেশ কয়েকজন নার্স মাথার কাছে জড়ো হয়েছে। একজন টিকালো নাকের নার্স বাম হাতটা চেপে ধরলো। সিডাটিভ কিছু? প্যাথেডিন হলে ভাল হয়। পা থেকে মাথা পর্যন্ত ইলেকট্রিক শক্। এসব কবেকার লেখা?
মনে করতে পারছি না। এখন কি ঘুমাচ্ছি না লিখছি? আমার না একটা কবিতার বই ছিল? গায়ত্রী সন্ধ্যা? বিনয় মজুমদার, সে-ই মাথায় ঢুকিয়েছিল। গায়ত্রী, গায়ত্রী। গায়ত্রী সন্ধ্যা। কী মানে হয় এ নামের?
তৎ সবিতুবরেণ্যং ভার্গো দেবস্য ধীমহি। ধিয়ো যে ন: প্রচোদয়াৎ- কী অর্থ এই সন্ধ্যাহ্নিক মন্ত্রের? আলো নিভে গিয়ে অন্ধকারে পরিভ্রমণ না মহাশূন্যে ...... মহা....মহাগহবরে?




সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:২৯
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×