জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে হ্যাপি। হ্যাপির অভিযোগ দিনের পর দিন রুবেল তাঁকে ভোগ করেছে আর এখন বিয়ে করতে চাচ্ছে না। তার মানে দাঁড়ালো রুবেল যদি বিয়ে করতো তাহলে এটা কোন অপরাধ হতো না, আর বিয়ে না করতে চাওয়ার ফলে এখন এটা ধর্ষণ হয়েছে। ধর্ষণ সাধারণত একবার/দুইবার বা একদিন/দুইদিন লাগাতার হতে পারে, এরপর ধর্ষিতা মুক্ত হলে সাথে সাথে পুলিশকে না জানালেও পরিবারকে অন্তত জানায়। কিন্তু দিনের পর দিন কারো বাসায় স্বেচ্ছায় যেয়ে ধর্ষিত হয় ধর্ষিতা এ আমি কখনোই শুনি নি।
রুবেলের নামে ধর্ষণের অভিযোগ কখনোই হতে পারে না বড়োজোর প্রতারণার মামলা হতে পারে। কিন্তু নারী নির্যাতনের মামলায় রুবেলের নামে ধর্ষণ অভিযোগ কিভাবে করে হ্যাপি? হ্যা রুবেল প্রতারণা করেছে, মেয়েটিকে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে তার সাথে সেক্স করেছে যদিও রুবেল তাঁকে বিয়ে করার কথা ভাবে নি। কিন্তু মেয়েটি কি লোভী নয়? একজন সেলিব্রেটির বউ হবার জন্য সে কি না করেছে এবং এখনো নির্লজ্জের মতো করতেছে। মেয়ে তোমার যদি বিয়ে বহির্ভূত সেক্স অপরাধ বা পাপ মনে হয় তাহলে তা করো কেন?
সমরেশ মজুমদার “মেয়েরা যেমন হয়” গ্রন্থে একটি উল্লেখযোগ্য কথা বলেছিলেন তা হলো, “আধুনিক নারীরাও নিজেকে ফার্নিচারের মতো মনে করে। বিবাহ ছাড়া স্বেচ্ছায় যৌন সংসর্গে আসার পর যখন দুজনার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয় তখন একটি মেয়ে তার প্রেমিককে দোষারোপ করে তাঁকে ভোগ করেছে বলে।” ভোগের কথা এখানে যদি এসেই থাকে তাহলে প্রশ্ন জাগে ভোগ কি শুধু একা পুরুষরাই করে?