somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল
পাঠক ছিলাম, লেখক হলাম। পড়ব বেশী, লিখব কম। পছন্দের বিষয় প্রকৃতি, জীবন ও দর্শন। ভালোলাগে প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয়। প্রতীক্ষায় আছি একদল বিচক্ষণ লেখকের। যারা সমাজের সমস্যাগুলো বুঝবে, তা নিয়ে ভাববে ও লিখবে। যে লেখায় মানুষ হবে সচেতন, দেশের হবে উন্নয়ন।।জয় বাংলা।।

☆☆☆ ঘুড়ি ওড়ানো জেনারেশন, স্যাটালাইটের প্রয়োজনীয়তার কী বুঝবে? (সবাই যেখানে বলে সম্ভব না! আমরা সেখানে দেখি সম্ভাবনা....)

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[বি. দ্রঃ ঘুড়ি ওড়ানো/উড়ানো জেনারেশন বলতে চন্দ্র/চন্দ/চাঁদ গাজী ও তার গিনিপিগ বাহিনীকে বোঝানো হয়েছে। পরের লাইনগুলো মুছে দিলাম। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করতে নেই ;)]

কথা কম, এখন ডাইরেক্ট অ্যকশান/আলোচনা,
গতকাল থেকে ব্লগের দুটি হট/আলোচিত টপিক ঘুড়ি(স্যাটেলাইট) ও মাহাথীর সাহেব। টপিক দুটি আলাদা হলেও মিল কিন্তু কম নয়? কারন নাটাই যদি ঠিকমত ঘুরানো না হয়, ঘুড়ি আকাশে উঠবেও না! উড়বে/ঘুরবেও না! তাই এর জন্য দরকার বাপকা বেটা (বাপের টাকা ও একজন দক্ষ পাইলট)। এত প্যাচাল না পেড়ে চলুন দেখে আসি কোন দেশের ঘুড়ির কেমন হাল!!!

দেশভিত্তিক প্রথম উৎক্ষেপিত কৃত্রিম উপগ্রহঃ আদি থেকে অদ্য পর্যন্ত নানা কাঠখড় পুড়িয়ে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সফল ভাবে ঘুড়ি ওড়াতে পেরেছে হাতেগনা কয়েকটি দেশ!!!

ক্রমিক নং -- দেশ - - - সাল - - - রকেটের নাম -- উপগ্রহের নাম(স্যাটেলাইট)
১। সোভিয়েত ইউনিয়ন, ১৯৫৭, স্পুটনিক, পিএস (রকেট), স্পুটনিক-১
২। যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৫৮, জুনো-১, এক্সপ্লোরার-১
৩। ফ্রান্স, ১৯৬৫, ডায়ামান্ট, এস্ট.রিক্স
৪। জাপান, ১৯৭০, ল্যাম্বডা-৪এস (রকেট), ওসুমি
৫। চীন, ১৯৭০, লং মার্চ-১, ডং ফ্যাং হং-১
৬। যুক্তরাজ্য, ১৯৭১, ব্ল্যাক এ্যারোপ্রোসপেরো, এক্স-৩
৭। ভারত, ১৯৮০, স্যাটেলাইট লাঞ্চ ভিহাইকেল (এসএলভি), রোহিণী
৮। ইসরায়েল, ১৯৮৮, শ্যভিত, ওফেক-১
৯। ইরান, ২০০৯, সাফির-২, ওমিড।
(এছাড়া ইউক্রেন, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া আইসিবিএম এর পরীক্ষা চালিয়েছে।)


চলেন, লাফালাফি না করে পেছনের ইতিহাসটা জেনে নেইঃ
রাশিয়া(সোভিয়েত ইউনিয়ন)ঃ (৫৭- ৩৩= কত?)

২৫শে নভেম্বর,১৯৩৩ঃ রাশিয়ান গ্রুপ অফ স্টাডি
অফ রিঅ্যাক্টিভ মোশন(GIRD) প্রথম তরল-জ্বালানি রকেট উৎক্ষেপণ করে।।
২১শে আগস্ট,১৯৫৭ঃ প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র(আইসিবিএম) চালায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রঃ (৫৮- ৪৫= কত?)
১৯৪৫ সালে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা সফল হয় ১৯৫৮ সালের ৩১ জানুয়ারি।

ভারতঃ (৮০- ৬৫= কত?)
ভারত ঘুড়ির কাজ শুরু হয় ১৯৬৫ সালে, সফলতা লাভ করে ১৯৮০ সালে।

ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণকারী যান (এসএলভি-III)-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন এ. পি. জে. আবদুল কালাম এবং তার পৃষ্ঠপোষক শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। বিস্তারিত জানতে হলে আবুল কালাম সাহেবের "উইংস অব ফায়ার" বইটি পড়তে হবে। ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে তাদের ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে যেই পরিমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে পড়েছিল, ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারতো না!!!!


ব্লগের অনেকে এখন আমাদের আপা, ম্যাডামের ভেতর ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া দেখবেন। কুল ম্যান....
এসব মনে আসা মানে, অরিজিন রাজনীতির দাবায় আমরা সৈন্যই(বোড়ে) আছি, হাতী-ঘোড়া গেল তল, তার উপরে আছে জল। জলের উপর নৌকা ভাসে। মাঝি তার মন্ত্রী, আর নৌকায় বসে মনের সুখে গান গায় রাজা। বোকা রাজা! সাঁতারই জানে না।(এটা একটা ধাঁধা)

আমরা বরাবরই আবেগী জাতী। কিন্তু আবেগ দিয়ে সিনেমা/নাটক হয়, দেশ চলে না!! আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি, কিন্তু সামনে আরো অনেক পথ বাঁকি। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির লিস্ট অনেক লম্বা। দেশগড়ার জন্য, আমাদের রুজভেল্ট মাহাথীর এখনো আসে নি.....
তাহলে এখন করবো কী?? (আমি তো বলব)
জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি!!!;)



*** সারমর্মঃ
★ নিজস্ব প্রযুক্তিতে ঘুড়ি ওড়াতে হলে টেকনোলজি, অর্থনীতি ও বিশ্ব রাজনীতিতে সামনের দিকে থাকতে হবে।

★ মাহাথীর হতে হলে ৯২ বছরের বুড়ো হতে হয় না। তার মত আদর্শ থাকতে হয়। (মাহাথীর সাহেব দলের চেয়ে দেশকে বেশী ভালবাসেন। তিনি দেশের প্রয়োজনে দলের বিরুদ্ধে যান। দেশের প্রয়োজনে বিরোধী দলকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। কিন্তু আমাদের নেতাগণ....??:(? থাক, ওসব ভাল মানুষদের(!!!) কথা নাই বা বললাম?X()

★ মাহাথীরের রাজনৈতিক দর্শনঃ
"ব্যবসা এবং রাজনীতিতে ফুটপাতের লোক থেকে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত দেশের জন্য, নিজের জন্য কাজ করবে।"


তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
(শত্রু-মিত্র সবার কাছে মাফ চাই, দোয়াও চাই, হারাধনের ঘুড়িটা যেন ওড়ে!:()
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
৫০টি মন্তব্য ৪৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×