সকালবেল খবরটি পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমি বরাবরই পপকর্ন খাওয়া পাবলিক, সকালে খবর পড়ি না। ওয়েবসাইটে ঢুকলেই নানা রকম দুঃসংবাদ(খুন, ধর্ষন, লুটপাট...)। ওসব পড়ে মন খারাপ হয়ে যায়, শেষে দিনটাই মাটি! যদিও প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দু-একজন মারা যাচ্ছে, ওসব খবর এখন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে!! কিন্তু আজকের খবরে, কেন জানি বীরের রক্ত(!) উষ্ণ হয়ে উঠল???
পেছনের কিছু কথাঃ
করুন ইতিহাসটা সবারই জানা। যার শুরু হয় ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণা দিয়ে। সেই ঘোষণার ৩১ বছর পর ১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পৃষ্ঠপোষকতায় জবরদস্তিমূলক ভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আত্মপ্রকাশ করে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। অবৈধভাবে চলতে থাকে ভূমি দখল ও বসতি স্থাপন। নিজ ভূমে পরবাসী হয় হতভাগ্য ফিলিস্তিনীরা।
এরপর জায়গা-জমি নিয়ে ওসুর(ইসরাইল) ও ঢাল-তলোয়ার বাহিনীর মধ্যে চারবার ফাইট হয়েছে। ১৯৪৮, ১৯৫৬, ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালে। ফলাফল তো জানাই আছে!!
চলুন কিছু সার্কাস দেখিঃ
★★★ আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি কিন্তু অবৈধ!!!(সত্যি!)
★★★ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়া আন্তর্জাতিক আইনের বিরাট লঙ্ঘন!!!(সত্যি!)
★ যারা এই জঘন্য মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। (জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ বিন রাদ জেইদ আল হুসেইন!!) (অসারের তর্জন গর্জনই সার!)
★ এটি ইসরায়েলের জন্য একটি 'গৌরবময়' দিন। (বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু) (সৈন্যরা যুদ্ধের প্যাক্টিস করল যে?)
★ এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্য শান্তির ব্যাপারে অনেক আশাবাদী?(জুতা মেরে ডিম দান!)
★ জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। (ফলাফল কমলালেবু!!)
বিশ্বের মানচিত্রে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলঃ
২০১৭ সালে, বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা ১.৮ বিলিয়নের বেশি বা প্রায় ২৪.১%। এর মধ্যে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় ৬২%, মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় ১৫%, ইউরোপে প্রায় ৩% এবং আমেরিকায় ০.৩%। এক হিসাবে দেখা যায় বিশ্বে মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৮৪%।
পরাজয়ে ডরে নাকো বীর, চলুন দেখি আরেকটি ফাইট করা যায় কিনা???
ওআইসিতে ৫৭টি ও আরব লীগের ২২টি দেশ আছে। আমার হিসেব মতে, শুধুমাত্র তুরস্ক ও ইরান মিলে ইসরাইলকে পরাজিত করতে পারে(পরমানু যুদ্ধ বাদে)।
এখন ধরে নেই,
এই বালক বীরকে(শামা আপার মতে) লড়াইয়ের প্রধান সেনাপতি করা হবে!!!! সুতরাং আমি আমার মত করে সবকিছু দেখব...
★ তুরস্কঃ
এরা মুসলিম বিশ্বে সামরিক শক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে। যদিও তুরস্ক যুদ্ধে জড়াবে না। (ন্যাটোর সদস্য হওয়ায়)
★ ইরানঃ
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনীতি চলে ইরানে। এরাও যুদ্ধে রাজী হবে না। (পরমানু চুক্তি ও বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এমনিতেই ঝামেলায় আছে)
★ সৌদি আরবঃ
ওরা পারলে আম্রিকা, ইসরায়েলের পক্ষ নেবে।। (রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হবে না?)
★ পাকিস্তানঃ
মুসলিম বিশ্বে একমাত্র পারমানবিক শক্তিধর দেশ পাকিরা। কিন্তু তারা নিজেরাই জন্ডিস, ক্যান্সার, এইডসে আক্রান্ত। (পাপের ফল)
★ ইরাক, আফগানিস্থান,... ... ... সিরিয়াঃ
ওদের অবস্থা ধ্বজভঙ্গ। (যেসব দেশের সেনারা উগ্রপন্থীদেরই দমন করতে পারে না! তাদের না নেয়াই ভাল)
★ মিশর, নাইজেরিয়া,... .... ...ইয়েমেনঃ
সেইম কেস!!!
★ ইন্দোনেশিয়া,... ... মালয়েশিয়াঃ
ওরা ভাল মানুষ। আচ্ছা? ওদের সেনাবাহিনীর কেমন হাল???
★ ভারতঃ
মুদি খানার দাদা আমাকে একটা সৈন্যও দেবে না!!!
★ বাংলাদেশঃ
এটা একটা গরীব দেশ! নুন আনতে যার পানতা শেষ! আর রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা এমনিতেই বিপদের মধ্যে আছি! তার উপর..,
হাসিনা আপার কাছে সৈন্য চাইলে তিনি বলবেন, "ভাই! রাগ করে দল ত্যাগ করেছিস কেন?? দেশে আয়, তোর খবর আছে!! ঐ সালার বিম্পি, জামাত...... (যদিও বাংলার অফিসারদের দক্ষতা ও সততা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে)
[বি. দ্রঃ আমি সর্বহারা পার্টি]
★ বিভিন্ন উগ্রপন্থীদলঃ (আইএস, বোকো হারাম, আল কায়েদা, তালেবান, হেজবুল্লাহ.........)
ওদের কাছে সেনা চাইলে ওরা বলবে, "ওই ব্যাটা! সকালে তুই নামায পড়েছিস? তোর মুখে দাড়ি কই?? এই কে আছিস! ধর ব্যাটারে...." (আজ সত্যিই নামায পড়া হয়নি!!)
★ বাঁকি রইলাম আমি একাইঃ (বালক বীর!!??
ইয়ে মানে....!
না মানে......??
কাউকেই তো পেলাম না? এখন কি হবে???
আমি বন্দুক চলাতে জানি! গুলিকরে বেলুনও ফাটিয়েছি, কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা পাখিও মারি নি!!
সামনে তো রমজান, ঈদের পর না হয়?..
.....
......
ঈদের পরঃ
আরে ভাই! জানেন'ই তো "অসির চেয়ে মসি বড়"!! যদিও এখন লিখতে কলম লাগে না, কিবোর্ডেই কাজ চলে। আর আমি তো কিবোর্ড ছাড়াই চলি!! (ট্যাবে)
"যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। সবাই মিলে বাঁচতে চাই।।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩১