Recived from. Md. .... c/o Late ...
H.F./F.F. No. NIL the following arms/weapnss/Ammunition.
Rifle.. Mark 4 _ No - 191223
Granade...
SBBL gun...
DBBL gun...
Revolver....
Pistol....
Ammunitions.... 20 round
সাক্ষর (ডানপাশে) 22/1/72
Subdivisional Officer
জেলা, বিভাগ
22/1
এটি নিয়ে গতদিন একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যদিও সেখানে গঠনমূলক আলোচনার পরিবর্তে মামুলি একটা বিষয় নিয়ে ক্যাচাল শুরু হয়েছিল।
সে যাই হোক!
আজকে "বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংঘ" এর একটা শাখা থেকে নিশ্চিত হলাম, এটা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাস্ত্র জমা দেবার কাগজ।
এখন আমার মেজাজ গরম! কারণ এটা যার কাগজ উনি এখনো গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা নন! ভাতা বা স্বীকৃতি কোনটাই উনি পান নি!(উনি মারা গিয়েছেন) কেন পান নি, তার অনেক হিসাব, কয়টা বলবো?
লোকগুলো নিরক্ষর,
আমাদের বস্তাপচা সিস্টেম,
প্রশাসনিক জটিলতা, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য..
★★★ আসুন সবাই মিলে কিছু গোয়েন্দাগিরি করিঃ
১। মূল কাগটি আমি দেখেছি। তেল চিটচিটে! দেখেই বোঝা যায় অনেক পুরাতন! লেখা অনুযায়ী সেটি যদি ১৯৭২সালের হয়! তবে কার্বন টেস্টেই ধরা যাবে!!
২। কাগজে থাকা রাইফেল নাম্বারের একটা অংশ ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। হস্ত লেখা(রেখা নয়) বিষারদ দিয়ে এটা ১০০% নির্ভূলভাবে বের করা যাবে! ফিঙ্গারপ্রিন্টও মাথায় রাখা যায়! যদিও এত বছর পর সেটা বের করা কঠিন!
২। কাগজটি যেই সময়ই করা হোক! সেই সময়ে একসাথে অনেক জনকেই এমন কাগজ দেয়া হয়েছে! রাইফেল নাম্বার এবং সিগনেচার দেখে কাগজের সত্যতা নিশ্চিত করা কোন ব্যাপারই না!
৩। ঐ এলাকার লোকের সাথে কথা বলে এটা নিশ্চিত, যুদ্ধের মধ্যে কয়েক মাস তিনি হারিয়ে ছিলেন! তবে তিনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে সেটা তারা বলতে পারে নি! লোকটি যেহেতু মারা গিয়েছেন, তাই সেটা জানাও সম্ভব নয়! তবে তার সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে তথ্যগুলো জানা যাবে! (ঐ এলাকাতে কয়েকটা কান কাটা রমজান, ভূয়া পরিচয়ে ভাতা পায়! তাদের সাথে ভাব/ক্যাচাল কোনটাই আমি করি নি!)
৪। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পরে, কাগজ থাকার পরও তিনি তালিকা ভূক্ত হন নি কেন??!!
অবাক হবার কিছু নেই, মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই তখন এসব কাগজের গুরুত্ব বোঝেনি! সুতরাং অযত্নে, অবহেলায় কাগজটি হারিয়ে যায় এবং প্রয়োজনের সময় সেটা পাওয়া যায় নি! কিছুদিন আগে ওরা কাগজ পত্র সব জমা দিয়েছে! এখন দেখা যাক কতদুর কি হয়!!! (কাগজটি এক বাক্সের ভেতর চাপা পড়ে ছিল, ইংরেজী না জানায় তারা বুঝতে পারে নি এটা কীসের কাগজ!)
এখানে আমি শুধু একজনের কথা বললাম, কিন্তু এমন হাজারো পরিবার আছে যাদের কাছে কোন কাগজ নেই অথচ তারা সম্মুখ যুদ্ধ করেছে! যদিও তারা কোটা বা ভাতা পাবার আশায় যুদ্ধ করে নি। তাই বলে আমাদের কাছ থেকে তারা কি সামান্য স্বীকৃতিটুকুও পাবে না?
এসব নিয়ে লিখতাম না, কিন্তু মাঝে মাঝে ভাবিঃ নষ্টদের ভীড়ে আগামী প্রজন্ম না ভেবে বসে, এই মানুষটিই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা(!), তা না হলে ভাতা পায় না কেন??
আচ্ছা?
এক পাতার কাগজই কি সব?
নয় মাসের ত্যাগ-তিতিক্ষার সবটুকু কি এক পাতাতে লেখা সম্ভব??
ইদানিং মুক্তিযোদ্ধা কথাটি শুনলে প্রথমেই মনে প্রশ্ন জাগে, লোকটি কি আসলেই যুদ্ধ করেছিল? উপরের লোকটিকেও আমি সন্দেহ করেছিলাম! যাদের জন্য স্বাধীন এক দেশ পেলাম তাকেই করলাম সন্দেহ?? লজ্জা! লজ্জা!!!
আহা!!
ঐ পরিবারের লোকগুলোর চোখে-মুখে কি আকুতিটাই না সেদিন দেখেছি! সেটা কি লিখে প্রকাশ করা সম্ভব??
আমারা কাছে যোদ্ধা/মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গাটা একটু ভিন্নঃ (ব্যাপক অর্থে)
★ যেই ছেলেটা "জয় বাংলা" বলার জন্য প্রাণ দিয়েছিল, সে একজন যোদ্ধা!
★ পাকিদের শত টর্চারের মধ্যেও যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য দেয় নি, তারাও যোদ্ধা!
★ মুক্তিযোদ্ধাদের যারা থাকতে দিয়েছে, খেতে দিয়েছে, নানাভাবে সাহায্য করেছে, তারাও এক ধরণের যোদ্ধা!
★ জালিমের অন্যায়ে বিরুদ্ধে মজলুমদের মুক্তির জন্য যারা প্রতিবাদ/সংগ্রাম/যুদ্ধ করে তারাই মুক্তিযোদ্ধা। শুধু ৭১সাল দিয়ে সময়ের ফ্রেমে এদের বেঁধে রাখা যায় না! সময়ের প্রয়োজনে যোদ্ধাদের জন্ম হয়! ওরা অদম্য, ওরা নির্ভীক, ওরা বীর, ওরা বিল্পবী, ওরা বিদ্রোহী, ওরা চির অমর!!
★ ৭১এর স্বাধীনতা যুদ্ধ! এটা ছিল জালিমদের হাত থেকে মা, মাটি ও মানুষকে মুক্ত করার যুদ্ধ! সুতরাং এটা সবচেয়ে বড় মুক্তিযুদ্ধ! কিন্তু যুদ্ধ কি শেষ?
না শেষ নি, এখনো অনেক বাঁকি.....
দেশকে গড়ে তোলার যুদ্ধ!
মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যুদ্ধ!
অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার যুদ্ধ!
বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর যুদ্ধ!
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সুফল প্রতিটি ঘরে পৌছে দেয়ার যুদ্ধ!
নতুন প্রজন্মের কাছে এক সুন্দর আগামী রেখে যাবার যুদ্ধ!!
এই যুদ্ধের কি শেষ আছে???
.........
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১