somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল
পাঠক ছিলাম, লেখক হলাম। পড়ব বেশী, লিখব কম। পছন্দের বিষয় প্রকৃতি, জীবন ও দর্শন। ভালোলাগে প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয়। প্রতীক্ষায় আছি একদল বিচক্ষণ লেখকের। যারা সমাজের সমস্যাগুলো বুঝবে, তা নিয়ে ভাববে ও লিখবে। যে লেখায় মানুষ হবে সচেতন, দেশের হবে উন্নয়ন।।জয় বাংলা।।

ও মাইয়া ও মাইয়া রে তুই অপরাধী রে। আমার যত্নে গড়া ভালোবাসা দে ফিরায়া দে......:P

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজব প্রেমের বাঁশ খাওয়া কাহিনীঃ:P (স্বল্প দৈর্ঘ্যের প্রেম কাহিনী);)

আমার স্মৃতিশক্তির মতবাদ অনুসারেঃ যবে থেকে আমার জ্ঞান-বুদ্ধি হয়েছে, তবে থেকেই আমি প্রেমে পড়া শুরু করেছি।।:P আপনারা আবার এটাকে কোন ছোঁয়াচে রোগ ভেবে ভুল করবেন না। এসব নিয়ে সত্যকথা বলার মত সৎ সাহস ক-জনের থাকে? বলুন??;)

যাক্ সে কথা, গল্প শুরু করি:
তখন হাইস্কুলে পড়ি। সুন্দরী তমা(ছদ্মনাম) পড়ে আমার দু-ক্লাস নীচে। সুন্দরীর সাথে পরিচয় ক্লাসের এক খচ্চর বন্ধুর মাধ্যমে। বালিকাকে দেখে আমি তো অবাক, "আমার চক্ষু ফাঁকি দিয়া, সুন্দরীটা এতদিন লুকাইয়া ছিল কীভাবে??:P পরে খোঁজ নিয়ে জানলুম অনেকেই তাঁকে পছন্দ করে, আমার আগেই দুজন দরখাস্ত দাখিল করে বসে আছে। যদিও সেগুলো মঞ্জুর করা হয় নি।:P

এতএত প্রেমিকদের ভীড়ে, বালিকাকে পাবার জন্য বালক-বীর বিদ্রোহী হয়ে উঠলো।:P কিন্তু উপায় আর খুঁজে পাই না। অবশেষে, মোকসেদুল মোমেনিন নামক এক বইয়ে পেয়ে গেলাম "প্রেমিকাকে পাবার উপায়" সম্পর্কে একটা তদবীর। কি সব হাবিজাবি নক্সা আঁকা। নিয়ম দেয়া আছে, "মেয়ের নাম ও তাঁহার পিতার নাম, এই নক্সার সাহিত কাগজে লিখিয়া সুতায় বাঁধিয়া বৃক্ষের ডালে ঝুলাইয়া দিতে হইবে। বাতাসে কাগজ দুলিবে আর প্রেমিকা পাগলের মত ছুটিয়া আসিবে" :P:D

এক বুক আশা নিয়ে কোন এক পড়ন্ত বিকেলে ছাদের উপর লুকিয়ে, পঞ্চানন কর্মকারের মত খাতায় সেই নক্সা আঁকা শুরু করলাম। প্রথমে কালিছাড়া কলম ব্যাবহার করলাম, যাতে কপি করাটা কেউ বুঝতে না পারে। কিন্তু বইয়ের অপর পৃষ্ঠায় যে দাগ পড়ে রইলো সেটা বেমালুম ভুলে গেলাম।:( এরপর সেটা আমগাছের ডালে ঝুলিয়ে দিলাম। কাগজটা বাতাসে দুলতেই আমার চোখ চকচক করে উঠলো, হার্টবিটও গেল বেড়ে। তখন ভাবখানা এমন, "আমার প্রেম এবার ঠেকায় কোন সালা?";)

শালা বাবুরা না ঠেকালেও, মেয়ের বড় ভাই এবং তার পাষন্ড পিতা মিলে মেয়েটার বিয়ে ঠিক করে ফেলল। বিয়ের কথা শুনে, স্কুলের দেবদাসদের মাথায় পড়ল বাড়ী। আমি সুবোধ, মনের কষ্ট মনেই চেপে(বন্ধুরা তখনো জানেনা আমার প্রেমিকাদের লিস্টে তার নামও আছে:P) দেবদাস গণনায় মন দিলাম। শেষে কয়েক হালি দেবদাসের মন ভেঙে বালিকা পার্বতী বিদায় হল। সময়ের স্রোতে সব কিছু ভুলে গেলাম।

কয়েক মাস পর, হঠ্যাৎ একদিন "মোকসেদুল মোমেনিন" বইটা চোখে পড়লো। বুকটা ধক্ করে উঠলো। দৌড়ে গেলাম সেই গাছ তলায়। কিন্তু কোথায় সেই কাগজ? কোথায় সেই সুতো? সব তো দেখি হাওয়া!!B:-)
হায়! হায়! এখন কি হবে??
আচ্ছ?
মেয়েটা যদি সত্যি সত্যি পাগল হয়ে আমাদের বাসায় চলে আসে? তখন??
একরাশ প্রশ্ন মাথায় এসে ভীড় করলো।
এসব চিন্তায় আমি না পারি খেতে, আর না পারি ঠিকমত ঘুমাতে। শেষে প্ল্যান করলাম, প্রেমের গুষ্টি কিলাই, আগে নিজের প্রাণ বাঁচাই। বালিকা যদি কাগজের গুনে বাসায় এসেই পড়ে, একা পালিয়ে যাব;)। টাকা-পয়সাও রেডি করে রাখলাম। ভয়ে ডরে আমি তো ভালোমানুষ হয়ে গেলাম। প্রতিদিন নামায পড়ি আর বালিকাকে তাড়ানোর দোয়া করি। একবার ভাবলাম আমার লাভগুরু, জবা আপাকে(কাজিন) এসব বলি। শেষে ঠ্যাঙানির ভয়ে, কাউকে আর বলা হয় নি।

পুনশ্চঃ
গতকাল অপরাধী গান শুনে ঘটনাটা মনে পড়লো। ঝাঁড় ফুঁকে কাজ না হলেও মানুষ যে খুশি হয়, আমি তার জ্বলোজ্যান্ত প্রমাণ।:P
ভাগ্যিস, সেদিন কাগজটা কাজ করে নি!!:D
তা না হলে কী যে হতো???:P



ছবিঃ সায়েম সাদাত, নেট।
উৎসর্গঃ

যার ছায়া পড়েছে, মনের আয়নাতে
সে তো তুমি নও, ও গো তুমি নও...:P
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
৪১টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×