ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্কুল ছাত্র বিষয়ক একটা পদ আছে, এটা আমি জানতাম। তবে এই পদের কি কাজ সেটা জানা ছিলো না! যাক উনাকে একটা কাজ দেওয়া হলো উনি সারা দেশে স্কুল গুলিতে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কাজ করবেন! ছাত্রদের মাঝে রাজনীতি, প্রতিবাদ, দেশাত্মবোধ আরো অনেক কিছু জাগ্রত করবেন! অবশ্য উনাদের আগে ধর্মের দোহাই দিয়ে এই কাজগুলি করে আসছে আরেক দল যদিও তারা এখন নিষ্ক্রিয় তাদের জায়গা পূরন করতে উনারা এগিয়ে এসেছেন!
আসলে ছাত্ররাজনীতি বলতে এখন মানুষ কি বুঝে? এর অর্থ কি?
একটা শব্দ গৌরবময় ইতিহাসের পাতায়, বা অভিধানে কী অর্থ বহন করে, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঐ শব্দের ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠির মনে শব্দটির অর্থ কী। “ছাত্ররাজনীতি” শব্দটার অর্থ কী দাঁড়িয়েছে সেই জরিপ কি করা হয়েছে সাম্প্রতি? আমরা কি জানি, এ সময়ের বেশিরভাগ মানুষ “ছাত্ররাজনীতি” শব্দটা শুনলেই কেন আঁতকে ওঠে? কী কী ছবি ভেসে ওঠে তাদের মনে? এই চিত্র পরিবর্তনের জন্য কোনো পদক্ষেপ কি নেওয়া হচ্ছে? তা না করে, স্কুল পড়ুয়া কোনো কিশোরকে রাজনীতির ময়দানে ছেড়ে দেওয়া কি তাকে স্রেফ শিকার অথবা শিকারীতে পরিণত করা নয়?
এই বয়সে সে বই,খাতা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে নাকি পদ পদবী নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে সেই ভাবনা কাজ করছে না কারো! সমাজবিজ্ঞানী বলে একটা শ্রেণি থাকে প্রত্যেক দেশে আমি দুঃখিত আমাদের দেশে এমন কোন শ্রেণী আছে কিনা আমার অন্তত জানা নেই! সমাজবিজ্ঞানীর কাজ হচ্ছে সমাজের জন্য কোনটা ভালো কোনটা মন্দ সেটা ঠিক করে সমাজে জানান দেওয়া। এখন আমরা দেখছি আমাদের সমাজের নিয়মকানুন গুলি আমাদের রাজনীতিবিদগন আমাদের উপর প্রয়োগ করেন তাহলে কি আমাদের রাজনীতিবিদগনই একেকজন সমাজবিজ্ঞানী?
(বিঃদ্রঃ আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত, সেখানে আমরা স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শিক্ষামূলক কার্যক্রম করে থাকি। এই ১৬ ডিসেম্বরও গনিত অলিম্পিয়াড হবে, তখন কি আমাদের সেই স্কুলের ভাতিজা বয়সি সভাপতি, সেক্রেটারিকে স্পেশাল নিমন্ত্রণ করতে হবে? না হলে কি তারা রাগ করবে?)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬