ইউএস বাংলা সারা বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিবে বাংলাদেশের সাথে এমনটিই বলেছিল এই প্রতিষ্ঠান যাত্রার শুরুর দিন!
কাঠমন্ডুতে তাদের যে এয়ারক্রাফটটি বিধ্বস্ত হয়ে এতগুলো প্রাণ গেলো তাদের এবং সেইসব পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা (এছাড়া আর কিবা করার আছে)। তবে এখানে ইউএস বাংলার সার্ভিস নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। এদের এমডি বলেছে সব দোষ নাকি নেপাল এয়ারপোর্ট ট্রাফিক কন্ট্রোলারের! এদেশের মানুষের বিমান সম্পর্কে খুব একটা ধারনা নেই, তারপরেও তাদের এই শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকা একেবারে বেমানান! দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী বলেছে বিমানটি ল্যান্ড করার আগ মুহূর্তে খুব জোরে বাম্প করছিলো আর বিকট আওয়াজ করিছিলো! এই থেকে স্পষ্ট বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিলো নাহলে এমন করার প্রশ্নই আসে না। এয়ারপোর্ট ট্রাফিক যদি রানওয়ে ক্লিয়ার করতে দেরী করে তা হলে পাইলট তাকে তাড়াতাড়ি করতে বলে আকাশে চক্কর দিতে থাকবে এবং ক্লিয়ার হলে ল্যান্ড করবে। কিন্তু রানওয়ে ক্লিয়ার না হওয়ায় পাইলট সমতলে ল্যান্ড করার চেষ্টা করে, আকাশে কোনো চক্কর দেয়নি এ থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।
আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করুন ইউএস বাংলার এয়ারক্রাফট BS211 এর পাইলট আবিদ সাহেবের আজকের সিডিউল সকাল ০৭.৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফ্লাই করে ৯.৩০ মিনিটে ঢাকা ফিরে এসেছেন।
আধা ঘন্টা পর আবার সকাল ১০.০০ টায় চট্টগ্রাম ফ্লাই করে ১২টায় ঢাকা ফিরে এসেছে্ন।
আবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটে কাঠমন্ডুর উদ্দেশ্য ফ্লাই করতে হয়েছে।
ইউএস বাংলা তাদের ওয়েবসাইট ডাউন করে রেখেছে এজন্য জানা যাচ্ছে না কাঠমন্ডু থেকে এসে উনি আর কই কই যেতেন!মজার ব্যাপার হলো এয়ারক্রাফটও ৪ বার একই ছিল, সকালে দুইবার চট্রগ্রাম গিয়ে ফেরত এসে আবার নেপাল গেছে। গতকাল এই একই প্লেন ৮ বার ফ্লাই করেছে!
দুঃখ পাইলাম দেখে। একটা লোকাল বাসের ড্রাইভারও মনে হয় এত জার্নি করে না যতটা না প্রাইভেট প্লেনের পাইলটরা করেন। তার উপরে চালান ১৭ বছরের পুরাতন এয়ারক্রাফট! মানুষ এত টাকা দিয়ে এয়ার ট্রাভেল করে লোকাল বাসে চড়ার জন্য? একটা প্লেন আর একজন পাইলট সর্বোচ্চ কতক্ষন আকাশে থাকতে পারে এর কোন নিয়ম কি নাই? থাকলে কেউ দেখে না কেন? আজকে এত মানুষ মারা গেল কালকে কতজন মারা যাবে এর কোন ঠিক আছে? কে দেখবে এসব?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৪৬