মোশাররফ করিম জাগো বাংলাদেশের সেই অনুষ্ঠানে পোষাক, ধর্ষণ, মানসিকতা নিয়ে করা সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ক্ষমা চেয়ে উনি বলেছেন উনি শালীনতায় বিশ্বাসী। ভদ্র সমাজে শালীনতার যে সংজ্ঞা আছে সে শালীনতা মেয়েদের অবশ্যিই বজায় রাখা উচিত। উনি যখন পোষাকের জন্য নয়, মনের কুপ্রবৃত্তির জন্যই ধর্ষণ হচ্ছে বলেছেন তখন একপক্ষ ধরে নিয়েছে উনি বলতে চাচ্ছেন মেয়েরা অশালীন হয়ে চলাফেরা করতে পারবে তিনি আমাদের প্রবৃত্তিকে কন্ট্রোল করতে বলেছেন! আরেকপক্ষ ভেবেছে উনি মেয়েদের যেকোন পোষাক পড়ার স্বাধীনতার পক্ষে বলেছেন এবং এটাকে তারা যথার্থ ভেবেছে। এক পক্ষ উনাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছে আরেকপক্ষ কেন ক্ষমা চাইছে তাই উনাকে কাপুরুষ, ভীতু আখ্যা দিচ্ছে! আসলে উনি কিসের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন? আমার মনে হচ্ছে উনি আমাদের জ্ঞানহীনতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন! উনি উনার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি।
অনুষ্ঠান প্রচার হওয়ার পর এত হাউকাউ দেখে উনি বুঝতে পেরেছেন আমাদের আইকিউ লেভেল অনেক নিছে নেমে গেছে, তাই উনি ক্ষমা চেয়েছেন খুব দ্রুতই। এবং ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যেকোন ভদ্র সমাজের ন্যায় উনিও শালীনতায় বিশ্বাসী।
এখন ক্ষমা চাওয়ার পর যেপক্ষ তাকে ভীতু, কাপুরুষ বলছে তারা কি ধরেই নিয়েছে মোশাররফ করিম পোষাক বলতে অশালীন পোষাকই বলেছেন এখন ভয় পেয়ে শালীন পোষাক বলছে? মূলকথা উনার ক্ষমা চাওয়ার কথাগুলি শুনে বুঝতে পেরেছি উনি উনার কথায় এখনো অটল আছেন, উনি ক্ষমা চেয়েছেন আমাদের জ্ঞানহীনতার কাছে এবং আমাদের না বুঝতে পারা প্রতিক্রিয়ার কাছে!
পোষাক একটি আপেক্ষিক বিষয় কিন্তু ধর্ষণ কোন আপেক্ষিক বিষয় নয় এটা মনের ভিতরের পশুত্ব আর এই পশুত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সবচেয়ে বড় জিহাদ বলেছে ইসলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০