একসময় দেশে এসিড নিক্ষেপ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিলো। সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলো, জনগনের মাঝে একটা মেসেজ দিতে সক্ষম হয়েছে এসিড নিক্ষেপ করলে তার নিস্তার নাই। এসিড নিক্ষেপ নিয়ে অনেক প্রচারণা হয়েছিলো এবং এসিড নিক্ষেপকে বলা যায় সরকার কঠোর হাতে দমন করতে পেরেছে।
তবে দেশে গত ৪/৫ বছর ধর্ষণের রেকর্ড অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে! কিন্তু রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় ধর্ষণ ইস্যুতে অনেকটা নিরবতায় আছে! আমার কাছে মনে হয় ধর্ষণের বিচার দ্রুত করার ব্যাপারে রাষ্ট্র আগ্রহী নয়! সত্যি কথা বলতে আমাদের উপর শ্রেণীর ক্ষমতাবান,প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সমাজের সব অপরাধ নিয়ে বক্তৃতা, বিবৃতি দিলেও এই ধর্ষণ নিয়ে তাদের এতটা উদ্বিগ্ন দেখা যায় না! আসলে ক্ষমতা আছে, টাকা আছে এমন ৯০ ভাগ চরিত্রই কোন না কোনভাবে ধর্ষক! তাই এটা নিয়ে এত কঠোর হলে, দ্রুত বিচার হলে তাদেরও হয়তো কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে তাই এটা নিয়ে তারা কোন উচ্চবাচ্য করেনা।
তাই বলা যায় ধর্ষণের এই মহামারীর জন্য আমাদের উঁচু শ্রেণীর প্রভাবশালীরা দায়ী, আইন দায়ী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত ব্যবস্থা দায়ী, বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা দায়ী। সর্বোপরি সরকার দায়ী, আই রিপিট সরকার দায়ী আই কন্টেনিউ রিপিটিং সরকারই দায়ী। কু-প্রবৃত্তি, মস্তিষ্ক বিকৃতি এগুলি কয়েকটি কারনের একটি কিন্তু প্রধান কারন আমাদের রাষ্ট্র, প্রশাসনের বিচার ব্যবস্থার!
আমাদের এতএত উন্নয়ন দিয়ে কি হবে যদি আমাদের মেয়ে, আমাদের বোনরা বাসা থেকে বের হলে আমরা টেনশনে থাকি, তাদের নিরাপত্তা না দিতে পারি? এই জায়গায় সরকারের সেরেন্ডার করা উচিত, মাপ চাওয়া উচিত।
অবিলম্বে ধর্ষণের বিচার করার জন্য প্রতি জেলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করা উচিত। অপরাধ প্রমাণ হলেই ১৫ দিনের ভিতর তা কার্যকর করা উচিত।
না হলে এদেশ থেকে একদিন সন্তানাদি নিয়ে পালাতে হবে!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০