আমি নিজেকে একবার আম ব্যবসায়ী হিসেবে চিন্তা করলাম আর ভাবলাম আমার আম গুলি যেন নষ্ট না হয় তাই একটু ফরমালিন মিশানো যাক! সত্যি বলতে এটা ভাবার সাথেসাথে আমার মাথার ভিতর কেমন জানি একটা মোচড় দিয়ে উঠলো! এরপর আবার ভাবলাম আমি একজন মিষ্টি ব্যবসায়ী, মিষ্টি গুলো কে হরেকরকম কালার করার জন্য ফুড কালার না দিয়ে সস্তা ডায়িং কালার দি! এতটুকু ভাবার পর নিজেকে একজন খুনির চেয়েও বেশি অপরাধী মনে হলো! যাইহোক আমার মনে হয় ব্লগে এই পোষ্ট যারা পড়ছেন তারাও এমন চিন্তা করলে এইরকমই অনুভূতি হবে।
আমার এক পরিচিত ফল ব্যবসায়ীকে (বাদামতলী) আঙ্গুর ফল কিসে চুবাতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম এটা কি? উনি একগাল হেঁসে বললেন আরে এটা সামান্য পরিমানে দিতে হয়, এতে তেমন ক্ষতি হয় না! ফল পাকানোর জন্য সম্ভবত ক্যালসিয়াম কার্বাইড দেওয়া হয়। রঙ ধরানোর জন্য আরো কিছু একটা দেয়, তরল দুধেও নাকি ক্যালসিয়াম কার্বাইড মেশায়, মিষ্টি কালার করতে ডাইয়িং এর রঙ, মুড়ি ধবধবে সাদা করতে ইউরিয়া ব্যবহার করে, ছয় মাসের আনারস ৪৫ দিনে বড় করে ফেলে কি এক হরমোন দিয়ে! আরেকটা ব্যাপার কাল নিউজে দেখলাম, বিরিয়ানির দোকান গুলিতে বিরিয়ানিতে নাকি মেটানিল ইয়োলো (সিসা থেকে তৈরি) নামক একটা রাসায়নিক মেশায়। এটা দেওয়ার কারন হচ্ছে বিরিয়ানি বারবার গরম করলেও তার কালার আর স্বাদের পরিবর্তন হয় না!
ওহ্ আর লিখতে ধৈর্য কুলাচ্ছে না!
এই খাবার ভেজালকারীদের বিরুদ্ধেও একটা বড়সড় অভিজান চালানো দরকার। এখানে সরকারের সফল হওয়ার সম্ভাবনার চান্স বেশি, কেননা এইসব দুষ্টকাজে সরকারের উপরস্থদের জড়িত থাকার কথা খুব একটা শুনা যায়না। সাধারণ, অতিমুনাফালোভী পাবলিকই এসব কাজ করে থাকে!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২০