ছাত্র ছাত্রীরা যে আন্দোলনে নেমেছে সে আন্দোলনের সাথে প্রায় সবারই একাত্ত্বতা ছিলো। প্রথম ২-৩ দিন তারা যেভাবে তাদের ক্ষোভ, অভিমান এবং তাদের দাবি-দাওয়া পেশ করেছে সে পর্যন্ত ঠিক ছিল। আমার মনে হয় না তারা এখন ঠিক ট্রেকে আছে। উদ্দেশ্যহীন ভাবে চলতে চলতে তারা ভুল পথে চলে যাচ্ছে এখন। যেগুলি হচ্ছে, সেগুলি এখন স্রেফ বাড়াবাড়ি হচ্ছে।
আপনার কি মনে হয় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কারণে তাদের সমর্থন আগের চেয়ে বাড়ছে নাকি কমছে? আমরা দেখেছি এইরকম অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে কিংবা বুদ্ধি না খাটিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য কোটা আন্দোলনের কি হাল হয়েছে! গণজাগরণ মঞ্চের দিকে তাকালে বোঝা যায় সেখানে কি হচ্ছে, আর সেটা কি ছিল। আসলে আমাদের দেশে এমনিতেই দুর্দশার শেষ নেই। প্রথম ২-৩ দিন সবাই এটা নিঃসংকোচে মেনে নিলেও এখন কিন্তু দুর্ভোগের কারণে বিরক্ত হচ্ছে। আন্দোলন শুধু করলেই হবে না, এটাকে কোন জায়গায় নিয়ে শেষ করে দিতে হবে সে হিতাহিত জ্ঞানও থাকতে হবে।
তোমাদেরকে মিসগাইডেড করার জন্য অনেকে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা যদি তোমাদের কন্ট্রোল করে নিতে পারে, তাহলে তারা তোমাদের এই দাবি দাওয়ার পক্ষে আর থাকবে না তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই তোমাদেরকে ব্যবহার করতে থাকবে।
তোমরা যে দাবী নিয়ে আন্দোলন করেছ সে আন্দোলনের প্রায় সবকিছুই সরকারপ্রধান মেনে নিয়েছে। তার কথায় বুঝা যায় তিনি এগুলো বাস্তবায়নে আন্তরিকও। তোমরা উনাকে বিশ্বাস করছো না। না করার কারন থাকতে পারে। তবে তোমরা যে দাবি গুলি করেছ সেগুলির মধ্যে যেগুলো সাথে সাথে করার সম্ভব হয়েছে সেগুলি ইতিমধ্যে করা হয়েছে। তবে বাকি দাবিগুলির জন্য অবশ্যই সময় দরকার আছে সেটুকু সময় তোমাদের দিতে হবে। তোমাদের দাবীগুলি খুব সহজেই তোমরা একেবারে সরকারের প্রধানের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছ। এবার উনাকে সময় দাও উনি কি পদক্ষেপ নেয় সেটা পর্যবেক্ষণ করো। এটাই হবে সর্বপেক্ষা বুদ্ধিমানের কাজ। কোথায় গিয়ে থামিয়ে দিতে হবে সেটা না জানলে এই আন্দোলনের কোন ফলাফলই আসবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২