somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশ কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই ঈদের আগে আমার এক মালোশিয়া প্রবাসী বন্ধুর সাথে ফোনে অনেকক্ষণ কথা বলেছিলাম। বাল্যবন্ধু, সাত বছর ধরে মালোশিয়ায় আছে, কথা শুরু করলে থামতে চায় না, বলতেই থাকে। বন্ধুর কাজ কামের অবস্থা খুব একটা ভালো না। গত একবছর ধরে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি হারিয়েছে তারপরেও পালিয়ে,লুকিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাকে বললাম কাজ কাম কেমন চলছে? সে বলল বড় বিপদ বন্ধু। আমি বললাম কাজ নাই বুঝি? বন্ধু বলে কাজ আছে তবে গত পনের দিন আগে সে দুই তিন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেখানের মালিক তাকে বলে এখানে তুই কাজ করতে আসছিস কেনো, তোদের দেশ তো অনেক উন্নতি করেছে, তোদের সরকারও বলতাছে তোদের দেশে নাকি কাজের অভাব নাই। ১০লাখ রোহিঙ্গাদের নাকি খাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে না! তোদের কাজ করার জন্য এদেশে আসা লাগে নাকি এখন আর!
তার সাথে কথা বলা শেষ হওয়ার পর ভাবলাম আসলেই সরকার তার উন্নয়নের প্রচার দেশ ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে যেভাবে প্রচার করছে তাতে প্রবাসী কর্মজীবীদের এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সরকার দেশে অনেক বড়বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিছু শেষ করেছে, কিছু শেষ হওয়ার পথে আবার কিছু বন্ধ হয়েও আছে। তবে দেশে টেকসই ও সুষম উন্নয়ন বলতে যা বুঝায় তা কিন্তু হচ্ছে না। সরকারী প্রকল্প গুলিতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে! মুষ্টিমেয় কিছু লোক এসব বড় বড় কাজ গুলিতে ইনভেস্ট করে মিলিনিয়োর থেকে বিলিনিয়োর হচ্ছে! শুধু দেশে না, বিদেশেও প্রভাবশালী, সম্পদশালী হিসেবে তাদের নাম উঠে এসেছে!
জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বাড়ছে প্রতিবছরই অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে পতিত হচ্ছে। শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে অনেকেই। কেউ পুরোপুরি না পালিয়ে নিজের পরিবার রেখে আসছে গ্রামের বাড়িতে কারণ পরিবার নিয়ে তারা শহরে থাকার সামর্থ্য দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। আশেপাশে তাকালে বুঝা যায় এই সংখ্যাটা নেহায়েৎ কম নয়!
বিভিন্ন পণ্য,সেবার উপর সরকার ভ্যাট,টেক্স বাড়িয়েছে। সেগুলি নিয়ে বড় বড় কাজে হাত দিচ্ছে সরকার, কিন্তু এই কাজগুলি ঘুরেফিরে সেসব লোকদের হাতেই যায় যারা সরকারের কাছাকাছি থাকে এবং ইতিমধ্যে সরকারী কাজ করে ডলারে বিলিনিয়োর হয়ে গেছে! এসব মেগা প্রজেক্টে সরকার যদি সাধারণ পাবলিককে বিনিয়োগ করার সুযোগ করে দিতো তাহলে নগদ অর্থের সুষম লেনদেন বাড়তো এবং সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের পরিধি বৃদ্ধি পেতো। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন আরো মজবুত হতো।
ছবি:ফেইসবুক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×