আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে মোটামুটি বিপাকে ফেলে দিতে যা যা করা সম্ভব সবই করে ফেলেছে আওমীলীগ। অক্টোবরে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হবে কিন্তু বিএনপি এখনো বেগম জিয়ার মুক্তি ও অসুস্থতার মধ্যে আটকে আছে। মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল পুরোপুরি ব্যর্থ এটা বলা একেবারে অযৌক্তিক হবে না। এই ভদ্রলোকটি বিটিভিতে ধারাবাহিক নাটকে ঘর জামাইয়ের অভিনয় করলে ভালো করতেন নিশ্চিত। বিএনপির কিছু লোক ইদানিং উনাকে আওমীলীগের মুখপাত্রও বলে থাকেন। তবে এখন আওমীলীগ নির্বাচন নিয়ে যেটা করছে সেটা শুধুই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে গিয়ে তার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ পাচ্ছে জাতি।
বিএনপিকে কোনঠাসা করতে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক বেঠিক, নামে বেনামে অনেক মামলা দিয়েছে সরকার। এক মীর্জা ফখরুলের নামেই আছে ৮৭টি মামলা তার মধ্যে ৪২টিতে চার্জশিট জমা হয়েছে ৪৪টি তদন্তাধীন আছে। সর্বশেষ গত ৬ আগষ্ট উনার নামে রাষ্ট্রদ্রোহে আরেকটি মামলা দেওয়া হয়েছে। ২১শে আগষ্ট মামলার রায়ও যেকোন সময় এসে যাবে এবং মামলায় যে বড় ধরনের রায় আসতে যাচ্ছে তা বুঝা যাচ্ছে খুব সহজেই। আপাতত আওমীলীগ সরকার বিএনপি নেতাদের নির্বাচনের আগে মামলা গুলি দিয়েই ঘায়েল করে যাবে তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের চেয়ারপারসন সাজা পেয়ে কারাগারে আছে দীর্ঘ তিন মাস। আপিলে তার সাজা বহাল থাকলে উনি নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনেরও একই অবস্থা। স্থায়ী কমিটি সদস্যদের মধ্যে ১২ জনেরই মামলার রায় নিষ্পত্তি হওয়ার বেশ কাছাকাছি।
তবে এই ব্যাপারে সরকারের চেয়ে দুদকই বেশি লম্পজম্প করছে। এই লম্পজম্প যদি সরকারের ভিতরে দুর্নীতিগ্রস্তদের জন্যও সমানভাবে হতো তাহলে এটা জাতির জন্য আশার ব্যাপার হতো। সেই যাই হোক, এখন দেখার বিষয় বিএনপি কি এসব মামলা মোকাবেলা করতে করতে নির্বাচনের ট্রেন মিস করে নাকি ট্রেনের দরজার হাতল দরে কোনমতে ঝুলেটুলে ট্রেনে উঠে পড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭