মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন কখন দেওয়া হয়? আপনি, আমি যখন পুরোপুরি সুস্থ থাকি তখন আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যে রোগের ভ্যাকসিন সে রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে সেই ভ্যাকসিন দিলে কোন লাভ হয় না। একটি দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন হল এই ভ্যাকসিনের মত, দলের দুঃসময়ে পাইপলাইনে যত বেশি ভালো এবং বিকল্প খেলোয়াড় থাকবে সমস্যা তত দ্রুত সে দল কাটিয়ে উঠতে পারবে।
আমাদের দল যখন খারাপ করে, হযবরল থাকে আমরা প্রায়ই একটা কথা বলি নতুনদেরকে সুযোগ দাও, নতুনদেরকে সুযোগ দাও। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টও এই কাজটি অহরহ করে। আসলে নতুনদেরকে সুযোগ দেওয়ার উপযুক্ত এই সময়টা নয়, যেমনটি আপনার অসুস্থ শরীরে সেই রোগের প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা!
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত এসব দলের দিকে তাকালে আপনি দেখতে পাবেন এই দলগুলির জয়ের গ্রাফ যখন নিচের দিকে থাকে তখন এরা নতুন, তরুণ খেলোয়াড়দের অভিষেক ঘটায় না। অভিজ্ঞ, পুরনো যারা আছে তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে। তাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করে। এদের দল যখন সুসংগঠিত থাকে, জয়ের ধারায় থাকে তখন পাইপলাইন থেকে একজন, দুইজন করে নতুন খেলোয়াড়দের একাদশে পুশ করে। যার ফলে দল সুসংগঠিত থাকায় এরা দলের সাথে খুব সহজে নিজেদের মানিয়ে নেয় এবং পারফর্ম করার তাগিদ অনুভব করে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি। এই সময় যদি তারা প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে নাও পারে দলের উপর সেভাবে প্রভাব পড়েনা।
আমার পয়েন্টই হয়তো পাঠক ধরতে পেরেছেন।
আমাদের পাইপলাইন কিভাবে শক্তিশালী করা যাবে এই ব্যাপারে ক্রিকেটপ্রেমীদের ধারণা আছে তাই এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আর বলার কিছু নেই। তারপরেও বিসিবি'র প্রশাসনে এমন অথর্বদের না রেখে বাহির থেকে প্রশাসক আনা উচিত সরকারের।
এখন শেখ হাসিনার শুভবুদ্ধির উদয় হলে আমাদের ক্রিকেট বাঁচে, বাঁচে ১৬কোটি মানুষের আবেগ, ভালোবাসা❣️।
শেষকথা, এখন যারা আমাদের প্লেয়ারদের এরকম পারফরম্যান্স দেখে তাদের গালি দিচ্ছেন, খেলা আর দেখবেন না, বাংলাদেশের ক্রিকেট মরে গেছে বলছেন। তারাই আগামী টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবার আগে টিভি অন করে খেলা দেখতে বসবেন, মোবাইলে স্কোর দেখবেন এবং কানে হেডফোন লাগিয়ে এফএম রেডিও'তে চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফতের ধারাভাষ্য শুনবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩