somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ ১৬ অক্টোবর, ৩৭তম বিশ্ব খাদ্য দিবসঃ ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও এবারের প্রতিপাদ্য

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ ১৬ অক্টোবর, ৩৭তম বিশ্ব খাদ্য দিবস। একটি দেশের নাগরিকগণের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম। সারা বিশ্বের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্যের নিরাপত্তা, দরিদ্রতা ও পুষ্টিহীনতা দূর করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে ১৯৪৫ সনের ১৬ অক্টোবর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির তৎকালীন খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. প্যাল রোমানী বিশ্বব্যাপী এই দিনটি উদযাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর ১৯৮১ সনে প্রথম আনুষ্ঠানিকতা আর প্রতিপাদ্যভিত্তিক বিশ্ব খাদ্য দিবসের উদযাপন শুরু হয়। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ১৯৮১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ৫০ পয়সা মূল্যমানের একটি ডাকটিকেট অবমুক্ত করে। টিকিটটির নকশাকার ছিলেন আহমেদ এফ করিম। ১৯৮১ সাল থেকে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিষ্ঠার দিনটিতে (১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫) বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি গুরুত্ত্বের সাথে পালিত হয়ে আসছে।


বিশ্ব খাদ্য দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য হলঃ Change the future of migration. Invest in food security and rural development, যার অর্থ দাঁড়ায়, অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও। বিশ্বের চলমান অভিবাসন সমস্যা, এক বিরাট জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এবং গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে বিনিয়োগের স্বল্পতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিলে স্পষ্ট হয় এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ যথার্থ হয়েছে। যুক্তিসঙ্গতভাবে বলা হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বাড়ালে কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি ছাড়াও কৃষিভিত্তিক শিল্পের যথা- পোলট্রি ফার্ম, ডেইরি ফার্ম, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, মৎস্য হিমায়িতকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এতে মানুষের, বিশেষ করে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়বে। বাড়বে খাদ্যনিরাপত্তা। হ্রাস পাবে অভিবাসন।

খাদ্য নিরাপত্তা বলতে জমিতে বীজ বপন ও পর্যাপ্ত ফসল ফলাতে বিশ্বব্যাপী কৃষকদের ক্ষমতায়ন, পশুসম্পদের কার্যকর পরিচর্যা ও মৎস্য আহরণপূর্বক তাদের উৎপাদিত এ খাদ্য যেসব মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা। বিশ্ব খাদ্য সম্মেলন (১৯৯৬) অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তা তখনই আছে বলে মনে করা হয় যখন সকল নাগরিকের সব সময়ের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ ও অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা থাকে যা তাঁদের সক্রিয় ও সুস্থ জীবন নিশ্চিতকরণের জন্যে সঠিক পরিমাণ খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, সব মানুষের কর্মক্ষম ও সুস্থ জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য চাহিদার বিপরীতে পছন্দমতো পর্যাপ্ত নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির বাস্তব ও আর্থিক ক্রয় ক্ষমতা থাকাই হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা৷ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে কিনা বোঝার উপায় হচ্ছে- জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ থাকবে, সময় ও অঞ্চলভেদে সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে ৷ অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তার মূল বিষয় তিনটি যথাঃ (১) খাদ্যের সহজ প্রাপ্যতা (২) খাদ্যের সহজলভ্যতা (৩) স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য। অথচ বিশ্বে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নেই। তারা দিন কাটায় অর্ধাহার-অনাহারে। এক জরিপে দেখা যায়, ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে খাদ্য নিয়ে দাঙ্গা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ পৃথিবীর ৬ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে এখন ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যের অভাবে দরিদ্রতার কষাঘাতে ধুঁকে মরছে।
বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বর্তমানে পৃথিবীর ২২টি দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট খরা ও বন্যায় অনেক দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে। বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। খাদ্যনিরাপত্তায় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ দুর্বল। এমনকি পিছিয়ে রয়েছে নেপাল ও মিয়ানমারের চেয়ে। খাদ্যনিরাপত্তায় বাংলাদেশের এ অবস্থান উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সম্প্রতি প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি ইনডেক্স ২০১৪;তে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খাদ্যনিরাপত্তায় ১০৯ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম। ১০০-এর মধ্যে স্কোর ৩৬ দশমিক ৩। গত বছর ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১ আর স্কোর ৩৭ দশমিক ৩। অর্থাৎ সূচকে অবস্থান পেছানোর পাশাপাশি স্কোরও কমেছে। এছাড়া এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২১তম। এমনকি নিম্ন আয়ের দেশগুলোর তুলনায়ও খাদ্যনিরাপত্তায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। গত বছর নিম্ন আয়ের ২৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল চতুর্থ। কিন্তু এবার সপ্তম স্থানে নেমে গেছে। খাদ্যনিরাপত্তায় উগান্ডা, কেনিয়া, তাজিকিস্তান, বেনিন, নেপাল ও মিয়ানমারেরও পরে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে চালের ঘাটতি নেই। তবে অন্য সব খাদ্যশস্যই কমবেশি আমদানি করতে হয়। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তার অন্যান্য বিষয় যেমন সার্বজনীন খাদ্যসরবরাহ, পুষ্টিগুণ, ভেজালসহ সব সূচকেই অবস্থান বেশ খারাপ। এজন্য খাদ্যনিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। খাদ্যশস্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও ক্রমে কমছে। এটাও এর অন্যতম কারণ।বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৫,৫৭০ ব.কি. (৫৬,৯৭৭ ব.মা.) এবং বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৫.৮৫ কোটিরও বেশি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১০৭৪.৫৪ জন! মাথাপিছু আয় মাত্র ৬৩৮ ডলার। মানব উন্নয়ন সূচক ০.৪৬৯ (HDI )। দেশের ৪০% মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করছে এবং ৪৬% শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে । অর্থাৎ পরিমিত এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহে আমরা চরমভাবে ব্যার্থ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ২০০৯ সালে পরিচালিত 'বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি' শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে ২ হাজার ২২২ ক্যালরি গ্রহণ করতে হয়। এর চেয়ে কম গ্রহণ করে জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দেশে ৬ কোটি ১ লাখ। ১ হাজার ৮০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে এমন 'হতদরিদ্র'র (আলট্রাপুওর) সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। এমনকি ১ হাজার ৬০০ ক্যালরির কম গ্রহণ করে এমন চরম দরিদ্রর (হার্ডকোর পুওর) সংখ্যা ৩ কোটি ১০ লাখ। এর বিপরীতে আছে আরেক চিত্র। কোন কোন ক্ষেত্রে দারিদ্র্য সামান্য কমলেও বাড়ছে শ্রেণী ও অঞ্চল বৈষম্য। সেখানে লাখ লাখ টন খাদ্য অপচয় করা হয়। সাগরে ফেলে দেয়া হয় উদ্বৃত্ত খাদ্য। কুকুর বিড়াল বানর শূকরের জন্য সরবরাহ করা হয় উন্নতমানের খাবার। দারিদ্র্য হ্রাসের কথাটি খুব জোরেসোরে বলা হলেও আসল সত্যি হলো, দিন দিন দারিদ্র্যে হার বাড়ছে বৈ কমছে না। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে FAO প্রাণান্তর চেষ্টা চালাচ্ছে ২০১৫ সালের মধ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা। এই নীতিগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো- যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্যের স্থায়ী সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি ও খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণ, সবার জন্যে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫% দারিদ্র্য হ্রাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষি সেক্টর উন্নয়নে বিশেষভাবে নজর দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং কৃষি বিষয়ে কৃষকদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে; এক ফসলি জমিকে দুই-তিন ফসলি জমিতে পরিণত করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে; দেশীয় উদ্যোগে খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের ধানের প্রসার ঘটিয়ে খরাপ্রবণ এবং উপকূলীয় এলাকায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে; কৃষি ভূর্তকি বৃদ্ধি করে কৃষকদেরকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে; কৃষকদের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদিত পণ্যের সর্বনিম্ম বাজারমূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে; সরকারি উদ্যোগে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে; কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন- সার, কীটনাশক, তৈল, উন্নত বীজ ও কৃষি যন্ত্রাংশ সহজলভ্য করতে হবে। সেই সাথে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গ্রামীণ নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে অভিবাসন একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংঘাত ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অভিবাসী হতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও জলবায়ুর পরিবর্তনে সৃষ্ট চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া মানুষকে অভিবাসী হতে বাধ্য করছে। অভিবাসন সাধারণত দু ভাবে ঘটে থাকে। এক. দেশের ভেতরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন ও বসতি স্থাপন। গ্রামের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরির খোঁজে শহরে চলে আসে এবং পরে শহরেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পছন্দ করে। শহরে সব সুবিধার কারণে গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তারা শহরে এসে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। কর্মসংস্থানের অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে গরিব মানুষ তাদের বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে শহরে পাড়ি জমায়। তাছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার মানুষ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পাড়ি জমায় ও বসতি গড়ে তোলে। তবে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন নিয়ে। গরিব দেশগুলোর ভাগ্যাণ্বেষীরা যারা বৈধ ও অবৈধ উপায়ে সাময়িকভাবে অভিবাসী হন ধনী দেশগুলোয়- তাদের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। মানব পাচারকারী দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে গমনকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেল খাটাসহ নানা দুর্ভোগের শিকার হয় এবং সশ্লিষ্ট দেশের সরকার তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠায়। তারা সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। যারা নিজ দেশে সংঘাত, গৃহযুদ্ধ বা সরকারের অত্যাচারে অন্য দেশে অভিবাসী হতে বাধ্য হন, তাদের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় সমস্যা। গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও ওই অঞ্চলের দেশগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তা ও উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় জীবন বাজি রেখে সহায়সম্বলহীন অবস্থায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আসার সময় অগণিত অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকেই এ পথে পা বাড়িয়েছে। জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ এসব অভিবাসীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করলেও ইউরোপের অনেক দেশে তারা কষ্টে আছেন। কিন্তু অভিবাসী সমস্যা কেবল ইউরোপের নয়। এ সংকট আরও অনেক দেশের তথা সারা বিশ্বের। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের হাতে অত্যাচারিত ও নিপীড়িত লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের বাংলাদেশে প্রবেশ একটি উদাহরণ। সম্প্রতি এবং এর আগে মিয়ানমারে অত্যাচারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখের ওপরে, যা জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সমস্যা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের চলতি ধারা রুখে দেয়া বা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়বে। বাড়বে খাদ্যনিরাপত্তা। হ্রাস পাবে অভিবাসন।অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দিলে, খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×