somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মবার্ষিকেতে ফুলেল শুভেচ্ছা

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কনিষ্ঠ ভ্রাতা শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ঘাতকদের নির্মম বুলেট মাত্র দশ বছর বয়সী এই শিশুটির প্রাণও কেড়ে নেয়। কোনো কাকুতি-মিনতি কিংবা নিষ্পাপ মুখশ্রী নিষ্ঠুর দুর্বৃত্তদের মন টলাতে পারেনি। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাসেলের ছোট্ট বুক বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। ঘাতকের বুলেটে শহীদ হওয়ার সময় রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ইতিহাসের ঘৃণিত ঘাতকদের নিষ্ঠুরতার শিকার শহীদ শেখ রাসেল। তাঁকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় তাদের অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাত্পদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনা সম্পন্ন মানুষরা শেখ রাসেলের বিয়োগ দুঃখ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফুটাতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।আজ শহীদ শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৬৪ সালের আজকের দিনে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকেতে ফুলেল শুভেচ্ছা।


শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমণ্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করে। শেখ রাসেলের বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর মা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব। মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বই পড়তে ভালবাসতেন এবং বৃটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের খুব ভক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে বেগম মুজিব বার্ট্রান্ড রাসেলের অনেক বিবরণ শুনেছেন। বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে শেখ রাসেলের নামকরণ করা হয়। রাসেলের ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং শেখ রেহানা। রাসেলের ছোটকাল কেটেছে বাবাকে ছাড়াই। কারণ তার বাবা রাজনৈতিক বন্দী হয়ে কারাগারে ছিলেন দীর্ঘদিন। বাবাকে দেখতে না পেয়ে মা ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে আব্বা বলে সম্বোধন করতেন রাসেল। ‘কারাগারে রোজনামচা’ বইয়ে শেখ মুজিব অসংখ্যবার রাসেলের কথা তুলে ধরেছেন এবং তার নিকট যে ছোট্ট সন্তান খুব প্রিয় ছিল সেটিও ফুটিয়ে তুলেছেন। রাসেল, ছোট মানুষটা এসেছিলো এক গভীর রাতে, চলে গেলো আরো একটি গভীর রাতে। একটি দীর্ঘতম কুৎসিত নিকশ কালো বিবশ অন্ধকারময় অবশ সে রাত। যে রাতে একটি ছেলে চলে যাওয়ার আগে জানতেও পারলো না কি ছিল তার অপরাধ! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে তাঁকেও হত্যা করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনের আলো ফোটার মুহূর্তে একদল তরুণ বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা ট্যাংক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তাঁর পরিবার এবং তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারীদের হত্যা করে। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য শিশু রাসেল মৃত্যুর আগে প্রত্যক্ষ করতে বাধ্য হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ও বিশ্বস্ত কর্মচারীরা রাসেলকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও অভ্যুত্থানকারীদের চোখে ধরা পড়ে যায়। আতঙ্কিত শিশু রাসেল ভয়ে কর্মচারী রমার পেছনে পালিয়ে নিজেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। চারদিকের ভয়াবহ পরিবেশে ভীত রাসেল জানতে চেয়েছিল ওরা কি আমাকেও মেরে ফেলবে? রমা আশ্বস্ত করেছিলেন-না, ওরা তোমাকে কিছু করবে না। হয়তো রমা নিজেও বিশ্বাস করেছিলেন যে, এরকম একটি নিষ্পাপ শিশুর শরীরে কোনো জঘণ্যতম পাপীও আঘাত করতে পারে না। কিন্তু রমার সেই বিশ্বাস ভাঙতে সময় লাগেনি। রাসেল মায়ের কাছে যেতে চাইলে ঘাতকদেরই একজন তাকে সেখানে নিয়ে যায়। রাসেল সেখানে তার মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিল, আমি হাসু আপার (আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) কাছে যাব। কিন্তু ইতিহাসের ঘৃণিত ঘাতকদের মন এতে গলেনি। ঘাতকদের একজন এই সময় শিশু রাসেলকে গুলি করে হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে জাতি যখন এই নির্মম কাহিনী জানতে পারে তখন কারো পক্ষে চোখের পানি রাখা সম্ভব হয়নি। কোনো মানুষের পক্ষে এ ধরনের অপকাণ্ড করা সম্ভব তা যেন সবার কাছে বিশ্বাসেরও অতীত।


আজ থেকে তেপ্পান্ন বছর আগে শিশু রাসেলের মৃত্যু হলেও শেখ রাসেল আছে এদেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরে। রাসেল বেশ অনুভূতিপ্রবণ ছিলেন। গল্প শুনতে ভীষণ ভাল লাগত তার। বাড়ির লাইব্রেরি থেকে বই এনে রাসেলকে গল্প পড়ে শোনাত বোনেরা৷ মজার ব্যাপার হল, একই গল্প কদিন পর রিপিট করতে গিয়ে দুই এক লাইন বাদ পড়লেই রাসেল ধরে ফেলত, বলত – সেই লাইনটা পড়লে না কেন? রাসেলের নিজস্ব মানবিকবোধ ছিল। বাড়িতে কবুতর পালা হত। হাঁটতে শেখার পর থেকেই রাসেল কবুতরের পেছনে ছুটত, ওতেই সে আনন্দ পেত। কিন্তু দেখা গেল বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে কবুতরের মাংস রান্না হয়৷ সেই মাংস রাসেলকে দেয়া হলে সে মুখ ফিরিয়ে নিত। কারণ, পালিত কবুতরের মাংস সে খাবে না। টমি নামে রাসেলের এক পোষা কুকুর ছিল। যাকে সে নিজের খাবারের ভাগ থেকে খাবার দিত। একদিন কুকুরটাকে জোরে জোরে ঘেউ ঘেউ করে উঠায় রাসেল ভেবেছে কুকুরটা বুঝি তাকে বকা দিচ্ছে। আভিজাত্যের ছোঁয়া ছিল, গাম্ভীর্যতাও লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি এবং সময়ের দাবি মিটিয়ে রাসেল তাল মিলিয়ে চলেছেন। বাড়িতে দুষ্টুমি করত সবসময়, কিন্তু রাষ্ট্রীয় সফরে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন সর্বদাই। অনুষ্ঠান এবং পরিস্থিতির সাথে মিল রেখেই পোশাক পরিধান করতেন ছোট্ট শিশু রাসেল। সচরাচর প্রিন্স কোট, সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী ও মুজিবকোট পরত রাসেল। বঙ্গবন্ধুর পোশাক পরিধানেও মাঝে মধ্যেও নজরদারি করতেন ছোট্ট শেখ রাসেল। শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য ১৯৮৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন যাতে করে এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রিয়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বন্ধবন্ধুর আদর্শ ধারন করে এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠা করা হয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। এটি বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ক্লাব। ১৯৯৫ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি। শেখ রাসেল যদি আজ বেঁচে থাকতেন, হয়ত দেশটাকে আগলে রাখতেন, যেমনটা রেখেছিলেন তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হয়ত, এখন তিনি বুঝতেন দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করলে ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকে না, হয়ত পিতার আদর সান্নিধ্য কম পেয়েছেন বলে যে চেপে রাখা অভিমানটুকু তার ছিল, সেসবের কিছুই থাকত না। বর্তমান সরকার রাসেলের খুনিদের ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েকজনের ফাঁসিও হয়েছে বাকি কয়েকজন বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় রয়েছে। আজ শহীদ শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকেতে দেশবাসীর আজ একটাই দাবি বঙ্গবন্ধু ও শিশু রাসেল হত্যাকারীদের যেসব ঘাতক এখনো বিদেশের মাটিতে পালিয়ে আছে তাদের দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকেতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মাদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×