somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নূর মোহাম্মদ নূরু
নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী ফজিলাতুন্নেসা জোহার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী ফজিলতুন্নেসা জোহা। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে মুসলিম মেয়েদের মধ্যে ফজিলতুন্নেসা হলেন প্রথম স্নাতক ডিগ্রীধারী। তাঁর আগে আর কোন মুসলমান মেয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করতে পারেনি। অসম্ভব্ মেধার অধিকারী ফজিলতুন্নেসা শুধু অসামান্য সুন্দরীই ছিলেন না তি্নি ছিলেন অঙ্কের এম এ এবং একজন উচুঁদরের বাক্পটু মেয়ে। ১৯২৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেনিতে প্রথম স্থান লাভ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। বাংলার রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থাকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে অসম সাহস ও উচ্চ শিক্ষা লাভের প্রবল আকাংখায় বোরকা ছাড়া বহুবিধ অত্যাচার সহ্য করে উওরসুরী মুসলিম মেয়েদের জন্য উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করেন ফজিলতুন্নেসা। নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি সম্পর্কে সওগাতসহ অনেক পত্রিকায় তার বিভিন্ন প্রবন্ধ, গল্প প্রকাশিত হয়। আমাদের ব্যার্থতা আমরা এই গুণী নারীকে যথাযোগ্য সম্মান দিতে পারিনি। বর্তমান প্রজন্মও তাকে খুব একটা জানেনা এমনকি বাংলাদেশেও ফজিলতুন্নেসাকে স্মরন করে না। ১৯৭৬ সালের আজকের দিনে ফজিলতুন্নেসা জোহার জীবনের ইতি ঘটে। আজ এই মহিয়সী নারীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী ফজিলতুন্নেসা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


ফজিলাতুন্নেসা ১৯০৫ সালে (জন্মতারিখ জানা যায়নি) ময়মনসিংহ জেলার করটিয়ার ‘নামদার কুমুল্লী’ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ওয়াহেদ আলী খাঁ। করোটিয়ার জমিদার বাড়িতে সামান্য একটি চাকরি করতেন ওয়াহেদ আলী খাঁ। ফজিলতুন্নেসার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে গ্রামে। গ্রামের স্কুলেই তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু। ৬ বছর বয়সে ফজিলতুন্নেসা করটিয়ার প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন। শৈশব হতেই ফজিলাতুন্নেসা লেখাপড়ায় আগ্রহী এবং মেধাবী ছিলেন। তিনি প্রতিটি ক্লাসে প্রথম হতেন। স্কুলের বাৎসরিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল দেখে পারিবারিক অস্বচ্ছলতা থাকা সত্বেও তিনি তাঁর মেয়েকে শিক্ষার পথে এগিয়ে দেন। নিম্ন প্রাইমারি, উচ্চ প্রাইমারি ও মাইনর পাস শেষে সামাজিক ও পারিবারিক বাধা অতিক্রম করে ১৯১৭ সালে তিনি ফজিলতুন্নেসাকে ঢাকা নিয়ে আসেন এবং সে সময়ের একমাএ সরকারী বালিকা বিদ্যালয় 'ইডেন স্কুলে' ভর্তি করে দেন। কঠোর অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের পুরস্কার তিনি পান ১৯২১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন(বর্তমান এসএসসি) পরীক্ষায় ঢাকা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং মাসিক ১৫ টাকা হারে বৃত্তি পান। তখন থেকে লোকের মুখে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ১৯২৩ সালে ইডেন কলেজ থেকে আই.এ পাশ করেন এবং শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন। অতঃপর কলকাতার বেথুন কলেজে বিএ পড়ার জন্য যান। এই কলেজে তখন তিনিই ছিলেন একমাএ মুসলিম ছাএী। ১৯২৫ সালে ডিসটিংশান সহ বিএ পাশ করেন ফজিলাতুন্নেসা। তাঁর আগে কোন মুসলিম মেয়ে এই বিরল সম্মানের অধিকারী হয়নি। বিএ পাশ করে তিনি ঢাকা ফিরে আসেন। এর পরে তাঁর পিতা তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিতে মাস্টার্স ক্লাশে ভর্তি করে দেন। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাএী। কিন্তু এখানে তিনি কঠিন পরীক্ষায় পড়লেন কারন তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহশিক্ষার পরিবেশ ছিলনা। এক্ষেএেও ফজিলতুন্নেসা ছিলেন সফল, তিনি সতীর্থদের সাথে গড়ে তুলেন বন্ধত্বময় সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। ১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কশাস্ত্রে মিশ্র বিভাগে এমএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান দখল করেন। এমএ পাশ করার পর ১৯২৮ সালে কিছুদিন তিনি ঢাকার ইডেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯২৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্টেট স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ফজিালতুন্নেসা ইংল্যান্ড যান। উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে একজন মেয়েকে বিলেত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি নিজ চেষ্টায় 'ষ্টেটস স্কলারশীপ' যোগাড় করেন। এ ব্যাপারে সওগাত সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও খান বাহাদুর আবদুল লতিফ তাঁকে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। ফলে তাঁর বিলেত যাওয়ার পথ সুগম হয়। কিন্তু বাবার অসুখের খবর পেয়ে ১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোর্স শেষ না করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর তাঁর বিলেত যাওয়া হয়নি। লন্ডন থেকে ফিরে ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতায় প্রথমে স্কুল ইন্সপেক্টরের চাকুরিতে যোগদান এবং পরে কলকাতার বেথুন কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি এ কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান এবং একই সঙ্গে কলেজের উপাধ্যক্ষা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি বেথুন কলেজের চাকরি ছেড়ে স্বেচ্ছায় ঢাকা চলে আসেন এবং ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম মহিলা অধ্যক্ষ। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইডেন কলেজের অধ্যক্ষার পদে আসীন ছিলেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছার অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিভাগসহ ইডেন কলেজ ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত হয়। কিন্তু প্রশাসনিক কোন্দলের জের ধরে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই তাঁকে বাধ্যতামূলক আবসর নিতে হয়।


ব্যক্তিগত জীবনে খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ্‌র পুত্র প্রথম বাঙালি সলিসিটর জনাব শামসুজ্জোহার সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন ফজিলাতুন্নেসা। নাম হয় ফজিলাতুন্নেসা জোহা। বিলেতে থাকাকালে তার সাথে জনাব শামসুজ্জোহার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয়। পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁর মধ্যস্থতায় জনাব জোহার সাথে ফজিলতুন্নেসার বিয়ে হয়। এখানে উল্লেখ্য আমাদের জাতীয় কবি, প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলাম বেগম ফজিলাতুন্নেছার কাছে প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হন। ফজিলাতুন্নেসার সঙ্গে নজরুলের পরিচয় ঘটে ১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন বর্ধমান হাউস হোস্টেলের হাউস টিউটর কাজী মোতাহার হোসেনের মাধ্যমে। ওই বছররে ২৫ ফেব্রুয়ারিখে তারিখে বন্ধু মোতাহারকে লেখা চিঠিতে কবি লিখছেন, ' আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভাব ছিল sadness-এর। কিছুতেই sad হতে পারছিলাম না। কেবল ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। কিন্তু আজ ডুবেছি বন্ধু! একেবারে নাগালের অতলতায়।’ কবি তার সমস্ত কবিতা ও গানের সর্বাপেক্ষা উত্তমগুলির সংকলন সঞ্চিতা তার নামে উৎসর্গ করার অনুমতি চেয়েও পান নি। আমরা জানি, সঞ্চিতা শেষাবধি রবীন্দ্রনাথের নামে উৎসর্গীকৃত। অর্থাৎ গণিতের এই ছাত্রীটি নজরুলকে উৎসর্গের অনুমতি দেন নাই। এ কথা সত্য যে কবি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন যা জানা যায় কাজী মোতাহার হোসেনকে লেখা কবির এক পত্রে। প্রত্যাখ্যাত কবি কাজী মোতাহার হোসেনকে লিখেন, "গণিতজ্ঞ লোকেরা বড্ডো কঠোর নিষ্ঠুর হয়… ওদের কেবলই intellect, heart নেই। আমাদের যেমন কেবল heart, intellect নেই। একেবারে যারে বলে ‘সিলি ফুল’। শেষমেশ ফজিলাতুন্নেসাকে নিয়ে তৈরি সমস্ত অভিমান কবি ঝেড়েছেন গণিতের উপর। কবির ভাষায় ‘কোনো নারী–সুন্দরের উপাসিকা নারী–কোনো অঙ্কশাস্ত্রীর কবলে পড়েছে, এ আমি সইতে পারি নে। নারী হবে সুন্দরের অঙ্কলক্ষী, সে অঙ্কশাস্ত্রের ভাঁড়ার রক্ষী হবে কেন?’ অপর একটি চিঠিতে কবির উতলাভাব আরও উতলা হয়ে পড়েছে, ‘আমার এতদিনে ভারী ইচ্ছে করছে অঙ্ক শিখতে।…আমি যদি বিএ-টা পাশ করে রাখতাম, তাহলে দেখিয়ে দিতাম যে, এম. এ-তে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট কবিও হতে পারে ইচ্ছে করলে।’ তার পরেও ফজিলাতুন্নেসার প্রতি তার ভালোবাসা মরে যায়নি। "তাই নজরুল তার বন্ধুকে লিখেছেন. যেদিন আমি ঐ দূর তারার দেশে চলে যাব–সেদিন তাকে বলো এই চিঠি দেখিয়ে–সে যেন দুটি ফোঁটা অশ্রু তর্পণ দেয় শুধু আমার নামে।


সে যাই হোক। ফজিলাতুন্নেসা জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন নিঃসঙ্গ নির্জনে। অতঃপর কালের অমোঘ নিয়মে ১৯৭৬ সালে ২১ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন এই বিদুষী নারী। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৭ সালে ফজিলাতুন্নেছার নামে হল নির্মাণ করা হয়। আজ এই মহিয়সী নারীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী মহীয়সী নারী ফজিলতুন্নেসা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×