প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেল শাহবাগের আন্দোলন। আমি যতটুকু বুজতে পারলাম তা হচ্ছে এই প্রজন্ম একটা হতাশ প্রজন্ম - যাদের ভেতর কোন যুক্তিবাদিতা নেই, নেই ধর্মের প্রতি কোন ভালবাসা।
সভ্যতার একটা বৈশিষ্ট হচ্ছে যুক্তিশীলতা।
শাহবাগ আন্দোলনের যুক্তি কি?
১. যুদ্ধাপরাধির বিচার
২. ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করা
এক.
যুদ্ধাপরাধীরা এখন সব দলেই আছে। এক সময় আওয়ামী লীগ জামাতের মিলে আন্দোলন করল (১৯৯৬)। তখন আওয়ামী লীগ বলল পিছনে যা হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। যুদ্ধাপরাধিরা তখন মাফ কারন কি তারা আওয়ামী লীগকে সাহায্য করছে। আর আজকে তারা শত্রু কারন তারা বিএনপি সাথে।
শাহবাগের আন্দোলন হচ্ছে ভারতীয় র আর ইসরাইলের মুশাদেরই একটা পরিকল্পিত প্রজেক্ট। যারা যাচ্ছে আবেগ ঢেলে দিচ্ছে দেশের জন্য কিন্তু বুজতে কি পারছে এর ফলাফল কি?
শাহবাগ থেকে আওয়ামী লীগ তার পুরা ফায়দা নিয়ে গেছে । এখন শাহবাগে যতই চেচাঁমেচি করা হয়না কেন তার পুরাটাই যাবে সরকারের পকেটে।
সরকার চাইছিল এমন একটা কিছু। তোমাদের কি ধারনা কিছু লোক ব্লগে লেখালেখি করে শাহবাগে কি একটা আন্দোলনের ডাক দিল আর সবাই গিয়া আন্দোলনে ঝাপাইয়া পড়ল।
যুদ্ধাপরাধের বিচার আওয়ামী লীশগের রাজনৈতিক হাতিয়ার। বিগত দিনগুলোর ব্যর্থতাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য একটা শাহবাগ আন্দোলন দরকার ছিল।
শাহবাগ সেদিক দিয়ে সফল একটি আন্দোলন।
দুই.
সকল মতের মানুষের অধিকার আছে রাজনীতি করার। চাই সে সমকামী হোক, গনতান্ত্রিক হোক, সমাজতান্ত্রিত বা ইসলামিক। সেই হিসাবে জামাতে ইসলামী সহ সকল ইসলামি গোষ্টির রাজনীতির করার অধিকার আছে বাংলাদেশে। আর যেহেতু বাংলাদেশ একটা মুসলিম সংখ্যাধিক্য দেশ, জামাতের রাজনীতির অধিকার যুক্তিসংগত।
আর ইসলাম একটি পরিপুর্ন জীবন ব্যবস্থা তাই কেউ যদি ইসলামি শরিয়া চালু করতে চায় আর দেশের মানুষ তাতে যদি সারা দেয় তাহলে তাতে সমস্যা কি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩০