কানাডার হর্স শু ফলস ।এই ফলসটা ঘোড়ার পায়ের খুঁড়ের মতো দেখতে তাই এটা হর্স শু ফলস হিসেবে পরিচিত ।
রেইন কোর্ট পড়ে শিপে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে দর্শনার্থীরা ।
পর্যটকদের ছবি তোলার ব্যস্ততা । এমন এক জায়গা যে কোন সাধারন মানুষের মন ও আনন্দে আর বিস্ময়ে উন্মাদ হয়ে যাবে । কোন মানুষ স্থির থাকতে পারবে না । অসাধারন সৌন্দর্যে সবার ইচ্ছে হবে জল প্রপাতের সাথে প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরায় রাখি । সবাই যাওয়ার সময় সাথে ক্যামেরা নিতে ভুলে না ।
আমেরিকার সাইডের জলপ্রপাতের খুব কাছাকাছি যখন জাহাজটা যায় তখন খুব ধাক্কা লাগে । কয়েকটা ঢেউ বারবার মৃত্যুকে মনে করিয়ে দেয় । চারিদিকে শুধু চিৎকার শোনা যায় । হতে পারে সে চিৎকার অধিক আনন্দের হাসি অথবা অধিক আনন্দের কান্না । এখনও গা শিউরে উঠে । আহা । মহান আল্লাহ্ পৃথিবীকে কতো বেশি সৌন্দর্য দিয়েছেন ।
জলপ্রপাতের কাছে গেলে মানুষ মনের অজান্তে কতোটুকু শিহরিত এবং আনন্দিত হয় হয়তো তারা নিজেরাও জানে না । প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি আর চোখে অপার বিস্ময় থাকে ।
শিপ থেকে নামার পর যখন পর্যটকরা রেইন কোর্ট খুলে ফেরত রাখে তখন সবার মধ্যে এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি থাকে । মানুষ যেন ভাসিয়ে দিয়ে আসে তার শত জনমের দুঃখ গুলো । একান্ত না বলা যন্ত্রণা গুলো । এক আলাদা প্রশান্তিময় মানুষকে অন্যরকম করে তুলে । সবার মধ্যেই একটা নিরব ভাষা থাকে । যে ভাষা গুলো মানুষের মন আর প্রকৃতির মধ্যেই থাকে ।
গাছের ফাঁকে দিয়ে আমেরিকা দিকের জল প্রপাত । এতো এতো বিস্ময় ঘেরা জল প্রপাত গুলো । একেক জায়গা থেকে এর এক চেহারার বিভিন্ন রূপ ।
স্থলপথের কোন এক জায়গা থেকে গাছের ফাঁকে দেখা কানাডার হর্স শু জল প্রপাত । কতো বিচিত্রতা ধারন করে আছে পৃথিবী তার নিজের নিয়মে ।
কানাডার জল প্রপাত দেখার এটি একটি খুব সুন্দর স্পট । ডানদিকে আমেরিকা এবং বামদিকে কানাডা । সব পর্যটকের কাছেই এখানে নিজেকে দেখার মধ্যে আলাদা অনুভূতি কাজ করে । পৃথিবীর দুইটি ক্ষমতাধর দেশের সুন্দর দুটি দৃশ্যের মাঝে নিজের উপস্থিতি সব মানুষের জন্য একটি সুখকর মুহূর্ত ।
জল প্রপাতের খুব কাছে আমি ।
জল প্রপাতের জলে ভিজে আমরা একাকার । মনে হচ্ছিল তাবৎ পৃথিবীর শান্তি হয়তো চোখ ধাঁধানো সেই বিস্ময়কর জল প্রপাতে।
সব ছবি আমার নিজের আই ফোনে তোলা । সবাইকে ছবি গুলো উপভোগ করার জন্য ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩