somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমান লেখক এবং লেখিকা সমাচার -নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



লেখক লেখিকাদের কেচ্ছা কাহিনি দেখেও কিছু গল্প তৈরি হয়ে যায় । সেদিন রাতে এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম । রাজধানীর বিখ্যাত মহিলা ডাক্তার তাই রোগীর ভিড় ও বেশি । প্রায় মধ্য রাত । আমি আমার উনার পাশে বসে সেই হাসপাতালে আগত মানুষ জন , রোগী এবং অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ফুলেল সুরভিত হাসপাতালের দেয়াল জুড়ে রাখা নানা শিল্পকর্ম অবলোকন করছিলাম ।ডাক্তারের চ্যাম্বারের আশে পাশের সব গুলো রুমই মহিলা ডাক্তার । মনে মনে হাসছিলাম ।আমার উনি আই মিন আমার বর হেসে বলছিলেন ” হাসপাতালে ও নারীর অধিকার আর রাজত্ব ” । বাহ ভাল । হঠাৎ একটা রুমের দরজায় চোখ থমকে গেল । পাওয়া গেছে একজন পুরুষ ডাক্তার ! তবে ডাক্তারে সাহেব আবার কবি ও । দরজায় তাঁর নাম এবং কোন কোন দেশ থেকে ডাক্তারি বিদ্যায় উচ্চ ডিগ্রি নিয়েছেন তা লেখা । সেই সাথে কোন কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কখন বসেন । কতো ভিজিট ফি নেন তা লেখা আছে । এসব দেখে কিন্তু চোখ থামেনি । অন্য একটা কারন ।তা হল দরজায় লেখা আছে এখানে লেখকের সাহেবের স্বাক্ষর পাওয়া যায় । না কোন ডাক্তারি বইয়ের লেখক নয় তিনি কবিতার বইয়ের লেখক । কোন কবিতার বই । এখন মনে পরছে না । মনেহয় ” সবুজ জমিনে লাল দু ফোঁটা রক্ত ” এমন টাইপ হবে । আহা! একটা হাসপাতালের দরজার কতো দায়িত্ব ! কতো কতো তাৎপর্য এই দরজার ! শিশু থেকে বৃদ্ধ বনিতা ইদানিং অনেকেই লেখক হতে চায় । অর্থ আকর্ষণ , নাম যশ হতে পারে অনেক কারন । এই অধিকার সবার । আবার সেদিন ফেসবুকের আমার হোম পেজে সদ্য কোন একটা পুরুস্কার প্রাপ্ত একজন লেখকের একটা দুঃখী দুঃখী পোষ্ট পরলাম আর হাসলাম । ভদ্রলোক কয়েকটা গল্প লিখে সেই বইয়ে লক্ষ টাকা পুরষ্কার জিতেছেন । সেই পোষ্ট এ তিনি লিখেছেন তাঁর পুরুস্কার জেতা বইটি নাকি ৩০০/৪০০ কপি ও বিক্রি হয়নি । এমন কি এর মধ্যে তিনিই নাকি অধিকাংশ কিনে নিয়েছেন । বড় কোন বইয়ের দোকানে ও নাকি তাঁর বইটি পাওয়া যায়না । এমন কি ফুটপাতের ফেরিওয়ালার কাছে ও না । নীল ক্ষেতে ও না । যদি ও কথাটা তিনি ঠিক লিখেছেন ।বেঙ্গল বই , দীপন পুরে আমি তার বইটি খুঁজে ছিলাম । কিন্তু একটি সদ্য লক্ষ টাকা পুরুস্কার জেতা বইটি সেখানে পাইনি । কৌতূহল মেটাতে রকমারি অনলাইন শপ থেকে কিনলাম । লেখক কিংবা তাঁর লেখা গল্প গুলো নিয়ে পরে একদিন বলব । কেমন বই পুরষ্কার জিতল কেউ জানল না । নরমাল বিক্রি ও হলনা । অথচ সাহিত্য বোদ্ধারা পুরষ্কার দিয়ে দিল । আজকাল বাংলাদেশে পুরষ্কার জেতা সহজ বরং পাঠকের কাছে যাওয়া অনেক কঠিন ।কোন পত্রিকা বা অনলাইনের সাহিত্য সম্পাদক হয়ে বিভিন্ন সাহিত্য বোদ্ধাদের চাটুকারিতা করলে এমনি কোন মতে একটা পুরস্কার জেতান যায় । তবে আপামর মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে না । আবার কেউ কেউ আছে কতো লক্ষ টাকা খরচ করে নিজের অখাদ্য কুখাদ্য বই প্রকাশ করেছে তা নিয়ে গর্ব ও করে । টাকা তো ! টাকার গরমে একটু গর্ব থাকেই তবে শিল্পী সত্তা টাকা দিয়ে পাওয়া আদৌ সম্ভব কি ? লেখকরা ও জীবন শিল্পী । এই জীবনের তাবৎ অসুন্দর লেখকের কাছে সুন্দর হয়ে ধরা দেয় ।লেখকের জীবন বা দর্শন সবার মত হয়না । তাঁরা পৃথিবীকে অন্য দৃষ্টিতে দেখে । অথচ আজকের বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখক মন নন্দিত না হয়ে নোংরামিতে ভরপুর । আসলে কি লেখক হওয়া এতো সহজ ! প্রকৃত লেখকদের হৃদয় আল্লাহ্‌ প্রদত্ত ঐশ্বরিক ঐশ্বর্যে আভিজাত্যময় থাকে । যার দুত্যি এই ভুবন কে আলোকিত করে । অনলাইনে বাংলা লেখার সুযোগ কোটি কোটি লেখকের জন্ম দিচ্ছে । অনলাইনে ভেসে যাওয়া কিছু কিছু দৃষ্টি গোচর হলে বুঝা যায় কতো ব্যাকরণগত সমস্যা । অতি প্রাঞ্জল নয়ত ভাষার বাহুল্য দোষে দুষ্ট । লেখক হওয়ার চেয়ে পাঠক হওয়া অনেক জরুরি । পাঠক হওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি । লেখকেরা পুরুস্কারের আশায় লিখে না । অনলাইনে লাইক কমেন্ট পাওয়ার আশায় লিখে না । প্রকৃত লেখকেরা তাদের দার্শনিক চিন্তা ধারা কে কলমে শিল্পিত রূপ দেয় । পৃথিবীতে অনেক অনেক কবি সাহিত্যিক কিংবা শিল্পী আছেন যারা সমাজ বিবর্জিত ছিলেন । কেউ কি বলতে পারবেন তবু ও কেন তাদের শিল্প কর্ম গুলো অন্দর থেকে সারা দুনিয়ার হৃদয় হরন করেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
১৮টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×