ভালোবাসার দিনে ভালোবাসার গল্প গ্রন্থ " অহর্নিশ"
ভালোবাসা দিবস হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের সব দেশেই একটা সংস্কৃতি প্রচলন আছে । এই দিন কে কেন্দ্র করে হাল আমলে তথা ফেসবুক সংস্কৃতিতে দেখা যায় অনেক ধরনের আয়োজন । মানুষের আবেগ অনুভূতিকে পুঁজি করে কর্পোরেট দুনিয়া ও পিছিয়ে নেই । প্রিয় জন কে উপহার দেওয়ার জন্য এখন অনলাইনে অনেক অনেক উপহার সামগ্রী ও পাওয়া যায় । দেশ বিদেশে শপিংমল ,রেস্তোরাঁ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলো ও ব্যস্ত থাকে নানা আয়োজনে । এক সময়ে এই ধরনের আবেগীয় দিবস গুলোতে প্রিয় মানুষকে প্রিয় লেখকের সব চেয়ে ভাল লাগার বই গুলো উপহার দিত ।এখন ও দেয় তবে নির্দিষ্ট এক শ্রেণীর পাঠক । তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে সবাই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হলেও এবারের বইমেলায় অনেক পাঠক সমাগম কিন্তু একটা শুভ বার্তা দিয়ে যাচ্ছে । এবার প্রকাশনা স্টল গুলো ও বেশ প্রানবন্ত । লেখক ,পাঠক আর প্রকাশকদের আড্ডায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বই মেলা । পনের দিন বইমেলার তের দিনই আমি নিয়মিত গিয়েছি ।প্রতিদিনই নতুন নতুন লেখকদের সাথে পরিচয় এবং তাদের লেখা সম্পর্কে জানতে পারছি । খুব ভাল লাগা কাজ করে মনে । কোন কারনে একদিন বই মেলায় না গেলে মনে হয় কি জানি মিস হয়ে গেল । ভালোবাসা দিবস কে কেন্দ্র করে অনেক নামী দামী কিংবা সাধারন লেখকরা বই লিখে থাকেন । সব দেশের লেখকরাই প্রেম আর ভালোবাসা কে উপজীব্য করে বই লিখেন । এবার আমার দুটি একক বই দুই প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে । একটি ভালোবাসার গল্প গ্রন্থ "অহর্নিশ " প্রকাশ করেছে শিখা প্রকাশনী এবং গল্প গ্রন্থ " জাপানি ভূতের গল্প" প্রকাশ করেছে প্রকাশনী সংস্থা এক রঙ্গা এক ঘুড়ি । ভালোবাসা দিবসে " অহর্নিশ" গ্রন্থটা বেশ বিক্রি হয়েছে । বেশির ভাগ পাঠক নারী । সেদিন অনেকটা সময় ধরে আমি শিখা প্রকাশনীর স্টলে ছিলাম । বেশির ভাগ মেয়ে পাঠক বই নিচ্ছে । তবে কি শুধু মেয়েরাই বই পড়ে । না তা কেন হবে ? তবে মেয়েদের আগ্রহটা বেশি দেখা যায় । তবে বই পড়ার মত বুদ্ধি বৃত্তিকচর্চা আমাদের সমাজে খুব জরুরী ।এই চর্চাটা বেশ নান্দনিক ভাবেই সমাজে অব্যাহত ভাবে রাখতে হবে । এমন সব সৃষ্টিতে মুখরিত রাখতে হবে যেন মানুষের ভেতরে সহনশীলতা এবং ভালোবাসার বোধ জাগ্রত হয় ।সমাজে হিংসা ,প্রতিহিংসা , প্রতিশোধ , অত্যাচার আর অহমিকার যে সংস্কৃতি তা প্রতিহত করতে মানবিক বোধের চর্চা আর ভালোবাসার চর্চার বিকল্প কিছু নেই । যাইহোক এমন ভালোবাসার দিনের মতো সবার কাছে ভালোবাসা পৌঁছে যাক । বইয়ের শ্রেষ্ঠ মানবিক চরিত্রের মতো আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবন বোধ কে মহান করে তুলি । নিজেরা ভালোবাসি এবং অন্যকে ভালবাসতে শেখাই । ছড়িয়ে দেই হৃদয়ে লুকিয়ে রাখা ভালোবাসার স্ফুলিঙ্গ ।
কিছু ভাল লাগার মতো আনন্দময় বইমেলার স্মৃতি
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৪