somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপন্যাস " মারিজুয়ানা" পর্ব ১৭ -নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নেশামের খুব ক্ষুধা লেগেছে । তাই সে কার ও জন্য অপেক্ষা না করে খেয়ে নিল । নেশামের খাওয়ার পর নাতালি আর গুঞ্জন খাওয়া শুরু করল । এমন সময় মারিজুয়ানা বিমর্ষ মন নিয়ে এল খেতে ।মারিজুয়ানাকে দেখে একটু সরে জায়গা করে দিয়ে গুঞ্জন বলল ,"ভাবি খেতে বসেন । সব এর মধ্যে ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে । শফিক ভাইয়া মনে হয় খাবেন না নেশামকে মোবাইল করে বলেছে ।"
মারিজুয়ানা চুপচাপ চেয়ারে বসল । বাইরের অন্ধকার আকাশের দিকে তাকাল । দূর থেকে রূপসা নদী বয়ে যাচ্ছে । বাতাসে নদীর বয়ে চলার একটা হীম শীতল শোঁ শোঁ আওয়াজ কেমন ভেসে বেড়াচ্ছে ।মারিজুয়ানা একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস সে বাতাসে ছেড়ে দিল । অদৃশ্য বাতাস ছাড়া মারিজুয়ানার দুঃখ দেখার কেউ নেই ।
মারিজুয়ানার ক্লান্ত শরীর । কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না । গুঞ্জন লক্ষ্য করল । তারপর বলল ," ভাবি শুরু করেন । নান গুলো শক্ত হয়ে গেছে। "
মারিজুয়ানা বলল ," না । আমার কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না । "
পাশেই নাতালি আরাম করে খাচ্ছে ।মারিজুয়ানা বিরক্ত অভিব্যক্তি নিয়ে আড় চোখে তাকাল । তারপর জিজ্ঞেস করল ," তোমার পাপা কোথাও খেতে নিয়ে যায়নি ? নাকি শুধুই ড্রেস কিনেছো ?"
নাতালি খাবার মুখে নিয়ে বলল ," ভাল রেস্তরাঁ ছিল না । তাই শুধু ড্রেস কিনে চলে এসেছি ?"
মারিজুয়ানা আবার জিজ্ঞেস করল ," তোমার মায়ের কথা মনে পড়ে না ?এখানে বেশি দিন থাকলে চিন্তা করবে না ?"
নাতালি লাজুক হাসি নিয়ে বলল ," না ।মনে পড়ে না । মাম্মা তো ওর বয় ফ্রেন্ড নিয়ে ব্যস্ত । "
গুঞ্জন কৌতূহলী হয়ে উঠল ।তারপর জিজ্ঞেস করল ," তোমার মাম্মার বয় ফ্রেন্ড আছে ?"
নাতালি সহজ ভাবে বলল ,"হুম । আমি তাকে পছন্দ করি না । সে নিয়মিত মাম্মার কাছে আসে ।আমি মানতে পারি না তাই পাপার কাছে চলে এসেছি । "
গুঞ্জন বলল ," তাহলে তুমি এখানে থেকে যাও ।"
নাতালি বলল ," আসলে আমার গ্রাজুয়েশন শেষ হয়নি । আমাকে অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে যেতে হবে ।"
গুঞ্জন লক্ষ্য করল মারজান একদমই কিছু খাচ্ছে না । বিরক্ত অভিব্যক্তি নিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে । আর কিছুক্ষন পর পর রাগী চোখ দিয়ে নাতালি কে দেখছে । নাতালি হয়ত বুঝতে পারেনি মারজানের ভেতরে কি চলে । অদ্ভুত একটা বিষয় মারিজুয়ানা কথা ও বলছে না আবার খাচ্ছে ও না ।
গুঞ্জন এবার অন্য প্রসঙ্গে মারিজুয়ানাকে জিজ্ঞেস করল ," বাদল লোকটা কি চলে গিয়েছে ?"
মারিজুয়ানা উত্তর দিল ,"জানি না ।এই লোকটা কে আমার একদম সহ্য হয় না । সে নিজেকে অনেক বড় মনেকরে । জাপান এম্বাসিতে নাকি এক সময়ে বড় পদে চাকরি করতো । "
এমন সময় নেশাম বারান্দায় এল । তারপর জিজ্ঞেস করল ," কে জাপান এম্বাসিতে চাকরি করত ?"
মারিজুয়ানা বলল ," ওই যে বাদল নামের লোকটা ।"
নেশাম উত্তর দিল ," আরে না কে বলেছে ! সে সময় সরকারি দলের লোক হওয়ায় কিছু সুবিধা ভোগ করতো । তার পড়াশুনা বেশি না । "
গুঞ্জন বলল ," সে যে একটা স্টুপিড লোক তার চালচলন কথাবার্তায়ই বুঝা যায় । "
মারিজুয়ানা এবার কথা শুরু করল ," জানেন ভাই এতো বেয়াদব লোকটা । সব সময় সংসারে আগুন লাগায় ।"
নেশাম বলল ," পাত্তা দিবেন না । বুঝিনা শফিক সাহেব উনাকে নিয়ে কি করে ।আপনি ডিনার করেছেন?"
গুঞ্জন বলল ," না । ভাবি কিছুই খায়নি । "
নেশাম বলল ," আরে বাদ দিন ভাবি । উনি তো আপনাদের পরিবারের কেউ না ।সুতরাং উনাকে নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করবেন না । এখানে ঘুরতে এসেছেন । সময়টা উপভোগ করুন ।"
গুঞ্জন বলল ," অযথা বিরক্তিকর মানুষের কথা ভেবে সময় নষ্ট বোকামি । কাল সকালে আমরা চলে যাব ।তারপর সব কিছু ভুলেও যাব । মানুষকে না চাইলে ও অনেক কিছু ভুলে যেতে হয় । "
মারিজুয়ানা খেতে লাগল । এর মধ্যে নাতালির খাওয়া শেষ । মনে হচ্ছে তার বেশ ঝাল লেগেছে । মুখে সুখী হাসি । এদিকে নেশাম বারান্দার বাম দিকে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াল । রাতের খুলনা শহর বেশ নিস্তব্ধ নান্দনিক ।

দূরে কোথাও কোন এক মসজিদ থেকে আযান ভেসে এল । গুঞ্জন ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকল ।গুঞ্জনের মাথায় কাপড় দিতে দেখে মারিজুয়ানা ও ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকতে ঢাকতে বলল ," চারপাশে এতো মানুষের এতো কিছু হয় । তবুও এসব মানুষের কোন বোধ তৈরি হয়না । "
গুঞ্জন বলল ," কিছু মানুষ কখনও পাল্টায় না । এসব ভেবে নিজের শক্তি নষ্ট করার মানে নেই । খেয়ে রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিন।"
নেশাম ঘাড় ঘুড়িয়ে সবার উদ্দেশ্যেই বলল ," কাল খুব সকালে বের হতে হবে । বাগেরহাট এবং গোপালগঞ্জ তারপর ঢাকা ফিরে যেতে হবে ।"
মারিজুয়ানা খুব অল্প খেল । তারপর নাতালি এবং মারিজুয়ানা দুজনেই যে যার রুমে চলে গেল । নেশাম আর গুঞ্জন সব গুছিয়ে রুমে ঘুমের প্রস্তুতি নিল ।
এমন সময় গুঞ্জন একটু বিমর্ষ হয়ে বলল ," শফিক লোকটা ভীষণ রকম বাজে । জানো উনার কয়টা বউ?"
নেশাম কৌতূহলী হয়ে ফের জিজ্ঞেস করে ," কয়টা বউ ?"
গুঞ্জন উত্তেজিত অভিব্যক্তি নিয়ে বলল ,"তিন তিনটা ।প্রথম দুই ঘরে দুই ছেলে এবং মেয়ে ।এরপর এই মহিলা কে বিয়ে করেছে । লোকটার নীতি বোধে কিছু ঘাটতি আছে । সাবধানে থাকবে । "
নেশাম কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল ," আরে বাদ । উনি আমার কি ক্ষতি করতে পারবে । এখন ঘুমাও তো !"
গুঞ্জন বিছানা থেকে উঠে গিয়ে লাইট অফ করল ।

সকালে সবাই হোটেলেই বাংলাদেশি সকালের সাধারন খাবার ডিম, পরাটা , ডাল সবজি ,চা, কফি নাস্তা করল ।শফিক মেয়েকে পাশে বসিয়ে সব খাবার গুলো সম্পর্কে জাপানি ভাষায় বুঝাল । তারপর সবাই রওয়ানা করল । বাগেরহাট ঢুকতেই লেখা " ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা ।"
গুঞ্জনের চোখে পড়াতে সবাইকে সাইন বোর্ডটা দেখাল । অথচ গাড়ি কোথাও জ্যামে থামলেই ভিক্ষুকের উপদ্রব ।এদিকে এমন বিপরীত পরিস্থিতিতে এমন সাইন বোর্ড দেখে সবাই হেসে দিল ।সবাই যখন হাসাহাসি আর কথা বলছিল স্টাফ টনির কণ্ঠস্বরটা গুঞ্জনের কেমন কানে লাগল ।টনির কণ্ঠস্বরটা কিছুটা মেয়েলি আর বাচ্চাদের মতো । না চাইলেও গুঞ্জনের ভীষণ হাসি পেল ।সবাই হাসি থামিয়ে দিলে ও গুঞ্জন কিছুক্ষন পর পর হেসে উঠছিল । মারিজুয়ানা বিষয়টা কিছুটা বুঝতে পারল । তারপর ফিস ফিস করে বলল ," কিছুটা মেয়েদের মতো কণ্ঠস্বর আর বাচ্চাদের মতো আচরন হলেও ছেলেটা খুব সহজ সরল ।"
গুঞ্জন ও ক্ষীণ কন্ঠে বলল ," আমি বুঝতে পেরেছি । কিছু মানুষের সারল্য ভীষণ সহজাত ।"
বাগের হাটের ষাট গম্বুজের ভেতরে ঢুকে নাতালিকে বাংলায় কথা বলতে হল । কারন বিদেশী চিহ্নিত হলে পাসপোর্ট দেখাতে হবে । প্রবেশ মুল্য ও বেশি চাইবে । এতো সব ঝামেলা এড়াতে তাকে বাঙালি সেজেই থাকতে হল । তাছাড়া তাঁর শরীরে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও আছে । অন্য ভাবে তাকে পুরোপুরি বিদেশী বলা যায় না ।
হঠাৎ নাতালির ওয়াস রুমে যেতে হবে । শফিক এবং নেশাম সবাইকে বলল ফ্রেস হতে চাইলে এখনই করে নিতে ।এমন একটি বিখ্যাত পর্যটন এলাকার টয়লেট এতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি যে নাতালি যেতে চাইল না । টয়লেট এরিয়ার চারিদিকে খুবই বিশ্রী গন্ধ । অনেক বার বলার পর ও নাতালি সেখানে গেলনা । গুঞ্জন এবং মারিজুয়ানা ফ্রেস হয়ে এল । ষাট গম্বুজ একটি ঐতিহ্যবাহী নান্দনিক স্থাপত্য । আর ও অনেক বেশি সুস্থ পরিবেশ প্রয়োজন । অল্প কিছু সময় ঘুরাঘুরির পর খান জাহান আলীর মাজার দেখতে গেল ।
অনেক মানুষ মাজারের মেইন গেইট থেকে একটু ভেতরে নামাজ পরছে । কেউ খুব কান্না কাটি করছে । মাজারের সামনেই একটা সুন্দর দিঘী । একটা রহস্যময় দীঘি । যাকে ঘিরে হাজার ও গল্প । দীঘির সামনে দাড়িয়ে কেউ চোখ বন্ধ করে নিজের ইচ্ছে আকাংক্ষা অদৃশ্য কারও কাছে বলছে । আবার এই দীঘির পানি অনেকেই কলসে করে নিয়ে যাচ্ছে । সে পানি পান করে মনে মনে কেউ কোন ইচ্ছে বা সমস্যার সমাধান চাইলে তা পূর্ণ হয় । আশে পাশের তাই বলছে । অনেক জায়গা থেকে অনেক ধরনের মানুষের আনাগোনা ।
দীঘিটার সামনে গুঞ্জন আর মারিজুয়ানা কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইল । গুঞ্জন বলল ," ভাবি এই দীঘির পানি নিবেন নাকি ?নিজের একান্ত ইচ্ছে পূরণের উদ্দেশ্য সবাই নিচ্ছে ।
নেশাম কথাটা শুনে এগিয়ে এসে বলল ," দেখেছ দীঘিটা কি ময়লা ।আর সবাই গোসল ও করছে ।এই পানি খেলে যদি মনের ইচ্ছে সত্যি পূরণ হতো ।তাহলে রাজনৈতিক নেতারা সবাই এখানেই চলে আসতো ।"
মারিজুয়ানা বলল ," না ভাই ! বিশ্বাস বিষয়টা যার যার নিজের ! শুধু পানি খেলেই হয় না । মানুষের সততা , মনের ভেতর থেকে আসা শক্ত বিশ্বাস ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আর কার ও কার ও ইচ্ছে হয়তো পূর্ণ হয়েছে বা হয় বলেই এতো মানুষ আসে ।"
পাশেই একটা লোক কলসিতে করে দীঘির পানি নিয়ে যাচ্ছিল । নেশাম থামাল ।তারপর জিজ্ঞেস করল ," এই ময়লা পানি খাওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন ?"
খুব সহজ ভঙ্গিতে স্থানীয় ভাষায় বলল ," স্যার পানি ফুটাইয়া এবং ফিটকিরি দিয়া বিশুদ্ধ কইরা খাওয়া হইব । বাপ দাদার আমল থিকা সবাই দীঘির কল্যানে উপকার পাইছে ।"
লোকটার কথা শুনে নেশাম হাসে ।মনে মনে ভাবে মানুষ পৃথিবীতে এখন ও কতো সহজ সরল আছে ।অন্য দিকে শফিক পুরো এলাকা দেখিয়ে নাতালি কে জাপানি ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছিল । সবাইকে দিনের মধ্যেই ঢাকা ফিরতে হবে । সবার অল্প অল্প ক্ষুধা ও লাগছে ।

শফিক জানাল গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া গিয়ে দুপুরের খাবার খাওয়া হবে । আবার সবাই তৈরি হল গোপালগঞ্জের পথে । যেখানে আছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার । টুঙ্গিপাড়া ঢুকে সবাই খুব অবাক হল ভাল কোন রেস্তরাঁ নেই । অনেক দিকে অনেকের সাথে যোগাযোগ করে একটা রেস্টহাউজ পাওয়া গেল । কিন্তু সেখানে কোন কারনে সেদিন দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা নেই ।আবার গাড়ি ঘুরাতে হল । অনেক খুঁজাখুঁজির পর দুই একটা খুব নিম্ন মানের ভাতের হোটেল পাওয়া গেল । সেখান থেকে সবাই মাজার দেখতে গেল । খুব ছিমছাম নিরিবিলি পরিবেশে চির শয্যাশায়ী হয়ে আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ।

দেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য এসব জায়গা ভীষণ দুর্ভোগের ।ভ্রমন পিয়াসীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব । তারপর ও মানুষতো তাদের কৌতূহল দমাতে পারে না । মানুষকে সকল ভাল মন্দের মধ্যেই পৃথিবী দেখতে হয় ।
আবার সেই মারিজুয়ানা কে পাশে বসিয়ে তাঁর জীবনের গল্প শুনতে শুনতেই গুঞ্জনরা ঢাকার দিকে রওয়ানা করল । মারিজুয়ানার পাশেই নাতালি ঘুমাচ্ছে । সামনের সিটে নেশাম আর শফিক । আর একদম পেছনে স্টাফ টনি গভীর বিস্ময়ে বাইরের পরিবেশ দেখছে । গুঞ্জন সবার অবস্থা একবার দেখে নিল । তারপর আবার মারিজুয়ানার সাথে ফিস ফিস করে তাদের গোপন গল্পে মেতে উঠল ।
গাড়ি শোঁ শোঁ করে ঢাকার পথে চলতে লাগল ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×