somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেখকদের লেখার ন্যায্য মূল্য দেওয়া হোক ।

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শব্দের শক্তি মহাকাল অতিক্রম করে । সেই শব্দ প্রকাশের আছে নানাবিধ মাধ্যম । সেই মাধ্যমের মধ্যে লেখার মাধ্যম অন্যতম । যা সাধারন মানুষ প্রকাশ করতে পারে না ।লেখকেরা তাদের লেখার শক্তি দিয়ে আবেগিয় সকল শব্দ প্রকাশ করতে পারে অবলীলায় । তাই হয়তো লেখকেরা ঠিক সাধারনের চেয়ে একটু আলাদা । তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে লেখার সুযোগ অনেক মানুষের মধ্যেই লেখার অভ্যাসকে বাড়িয়ে দিয়েছে । কিন্তু অনেকে মনে করেন প্রিন্ট মিডিয়ার আকর্ষণ কমে গিয়েছে । এটা সত্যি একটা সময়ে মানুষের বিনোদনের কিংবা জ্ঞান চর্চার অন্যতম মাধ্যম ছিল বই পড়া এবং সিনেমা দেখা ।
সময়ের দাবী পূরণে এখন চারিদিকে আনন্দ উৎযাপনের অনেক উপকরন আছে । তাই কিছুটা হলেও বই পড়ার আকর্ষণ থেকে মানুষের মন বিচ্যুত ।
বাংলাদেশে একুশে বই মেলা একটি অন্যতম আকর্ষণীয় আয়োজন । যে মেলায় শত শত লেখকের বই প্রকাশ হয় । বই মেলায় বই প্রকাশের জন্য সারা বছর লেখক এবং প্রকাশকদের ব্যস্ততা থাকে ।
বই লেখা এবং প্রকাশ করা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে অনেক অনেক প্রকাশনা সংস্থা ।
বই মেলায় সত্যিকারের পাঠক কয়জন আছে সেই পরিসংখ্যান কার ও কাছে নেই । তবে বই মেলায় ঘুরতে প্রচুর মানুষ যায় । যদি ও বই মেলার প্রয়োজনটা প্রকাশনা সংস্থা গুলোর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । কারন অন্য আর দশটা প্রতিষ্ঠানের মতো প্রকাশনা সংস্থা গুলো ও বই নিয়ে ব্যবসা করেন । বই বিক্রির উপর নির্ভর করে তাদের ব্যবসায়িক অস্তিত্ব । অন্যদিকে যারা দিনের পর দিন লিখে চলেছে তারা শুধু একটু নামের জন্য লিখেন । কারন এখন ও লেখকদের জন্য প্রফেশনাল স্পেস বাংলাদেশে তৈরি হয়নি । যদি ও দুই একজন লেখক নিজ তাগিদে নিজেদের ব্রান্ডে পরিনত করে তাদের লেখা বইয়ের বিশাল পাঠক শ্রেণী করতে পেরেছেন ।

ব্যক্তিগত পরিচিতি যাদের ভাল ।তাদের লেখা বই ও ভাল বিক্রি হয় । কিন্তু নানা রকম সমস্যা থাকে লেখকদের । সব লেখকের পক্ষে সম্ভব না নিজের লেখা বই সব শ্রেণীর পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া ।যদি ও এই বাজারজাতকরনের দায়িত্বটা প্রকাশনা সংস্থার । কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকাশনা সংস্থা গুলো জানেই না কিভাবে বই নামক প্রোডাক্টটি কিভাবে বাজারজাত করতে হয় । যে কারনে তারা সমাজে যারা যে কোন প্রফেশনে প্রতিষ্ঠিত কিংবা সমাজে সুপরিচিত তাদের দিকেই ঝুকে পড়ে । যারা সত্যিকার অর্থেই সাহিত্য চর্চা করে । সাহিত্য সাধনা করে তাদের অনেকেই যারা সমাজে খুব একটা প্রতিষ্ঠিত না তাদের প্রকাশিত বইয়ের বাজার তেমন একটা থাকে না ।
এই সুযোগে কিছু প্রকাশনা সংস্থা লেখকের সাথে প্রতারনা করতেও দ্বিধা করে না । প্রকাশক সমাজে শিক্ষিত ব্যক্তির অভাব ও এই শিল্পের পিছিয়ে যাওয়ার আর ও একটি কারন । সরকারের উচিত যথাযথ ভাবে প্রকাশকদের ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করা ।
পৃথিবীতে অনেক অনেক বিখ্যাত লেখক আছেন যারা নিজেরা ব্যক্তিগত ভাবে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন । কিন্তু তাদের লেখা বই পৃথিবীর কাছে নিজেদের পরিচিত করে তুলেছে ।
অথচ এই দেশে লেখকদের শ্রমিকদের মতোই খাটতে হয় । অনেক খেটে ও প্রকাশকদের কাছ থেকে শুনতে হয় বই তেমন বিক্রি হয়নি । বরাবরের মতো লেখক তাদের লেখার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় ।প্রকাশনা শিল্প জগতে যোগ্য ,সৎ আর শিক্ষিত মানুষের প্রয়োজন । কতো কপি বই প্রকাশ হল , কতো খরচ হয় , কতোটা বিক্রি হল সেই হিসেব প্রকাশকরা লেখকদের দেয় না ।কিংবা এই হিসেব নিকেশের বিষয়টি তারা বরাবর এড়িয়ে যায় । এমনকি কখন ও কোন লেখকদের সৌজন্য কপি ও দেওয়া না ।
আমার মনেকরি এই ডিজিটাল পৃথিবীতে এখন সময় এসেছে প্রকাশনা শিল্পের হিসেব নিকাশের স্বচ্ছতা কিংবা জবাব্দিহিতার ।প্রকাশনা শিল্পের আর ও বেশি ডিজিটালাইজেশন করা । প্রকাশনা শিল্পের উন্নয়নে সকলের এগিয়ে আসা । স্কুল ,কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত বই মেলার আয়োজন থাকা । সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে বইয়ের বিকল্প কিছু নেই । তাই প্রকাশক এবং লেখকের উৎকর্ষতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ।
যারা প্রফেশনালি লিখছেন সেই সব কলম শ্রমিকদের মানে লেখকদের লেখার ন্যায্য মূল্য দেওয়া হোক ।

#কলম শ্রমিক বা লেখকদের লেখার মুল্যায়ন হোক
# নুরুন নাহার লিলিয়ান
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×