(ছবিঃ আমি গতকাল মসুর ডালে এই কনা গুলো পেয়ে আমার আই ফোনে তুলেছি । )
মসুর ডালে আর চালের ওজন বাড়াতে পাথর কনা মিশিয়ে দেওয়া নতুন কোন ঘটনা নয় । রমজান মাস সংযমের মাস । অথচ বাংলাদেশে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ভেতরে মহান আল্লাহ্র সামান্য রহমত নেই । সাধারন মানুষরা সবাই টাকা দিয়ে এক প্রকার অসুখ আর মৃত্যু নিত্য দিন কিনে খায় । খাদ্য ব্যবসায়ী গুলো পুরাই সাইলেন্ট কিলার । দুই দিন ধরে পত্রিকা আর টিভি নিউজে দেখছি ভেজাল বিরোধী অভিযানে সুপার সপ স্বপ্নের দশ লক্ষ টাকা আর নিউমার্কেটে কয়েকটি দোকানে জরিমানা করা হয়েছে পচা খাবার কিংবা মেয়াদ শেষ হওয়া খাবার রাখার অপরাধে ।এই দিকে নির্লজ্জের মতো ব্যবসায়ীরা নাকি ভেজাল অভিজানের প্রতিবাদ করে । এই ভেজাল খাবার রাখা নাকি তাদের কোন দাঁয় নেই ! হায় সেলুকাস! আর কতো কি শুনব । ভেজাল অভিযানের কর্মকর্তাদের সাথে অনেকেই খারাপ ব্যবহার করেছে । এই দেশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে সব ধরনের নাজেহাল হতে হয় । মানুষ ব্যবসা করতে নেমে টাকার লোভে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে । টিভি মিডিয়ার সব জায়গায় এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা উচিত । নিয়মিতই আমরা এই ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই । মিল্ক ভিটার মতো একটা নামকরা কোম্পানির খাদ্য গুলোর মধ্যে নিয়মিতই ভেজাল পাওয়া যায় । এই তো সেদিন মিল্ক ভিটা খেতে গিয়ে দেখি থক থকে কি যেন ! ঘৃণায় আর খেতেই পারিনি । এর আগে মিল্ক ভিটার বাটার কেনার পর একবার ব্যবহার করে ফ্রিজে রেখেছিলাম । কিছুদিন পর দেখি সাদা বাটার লালা হয়ে আছে । রোজার প্রথম দিন আলিয়স ফ্রসেসের সামনে থেকে আম কিনলাম । বৃদ্ধ ক্রেতা বার বার পেছন থেকে ডাকছিল । বৃদ্ধ ক্রেতার প্রতি মায়া লাগল । এনে দেখি আমের ভেতরে ক্যামিকেল বা অন্য কিছু । সব কয়টা আমেই একই অবস্থা । একটা দেশের মানুষ গুলোর যদি নিজ থেকে বিবেক না থাকে আইন কানুন আর কতোটুকুই বিবেক তৈরি করে দিতে পারে । আমাদের দেশের খাদ্য বিক্রেতারা এতো খারাপ কেন ?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫