somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ দাম্ভিক প্রতিবেশী -নুরুন নাহার লিলিয়ান

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





#গল্পঃদাম্ভিক প্রতিবেশি ।
#নুরুন নাহার লিলিয়ান
সেই সন্ধ্যা থেকে শায়লার মোবাইল ফোন বেজেই যাচ্ছে । কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই ।অফিস থেকে ফিরেই ক্লান্ত শরীর বিছানায় এলিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের দেশে প্রবেশ । আর কোন চারপাশের খবর থাকে না ।সাতাশ বছর বয়সী তরুণী শায়লা । ঢাকার মতিঝিলের একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করে ।
মতিঝিলের খুব কাছেই একটা ফ্ল্যাটে মেস ভাড়া করে চারজন চাকরিজীবী মেয়ে থাকে । সেখানেই ক্ষণস্থায়ী তাদের সাথে শায়লা থাকছে । ঢাকা থেকে শ্রীনগরের ঘণ্টা খানিক দূরত্ব । তাই ছুটির দুই দিন শ্রীনগরেই মা বাবার কাছে চলে যায় ।
চাকরিটা স্থায়ী হলেই ছোট ভাই আর মা বাবা কে ঢাকায় স্থায়ী বাস গড়বে । শায়লার মা বাবা ছোট ভাইকে নিয়ে শ্রীনগরেই নিজের বাড়িতে থাকে ।শায়লার বাবা অবসর প্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবী । অবসরে যাওয়ার পর অসুস্থতার কারনে তেমন কিছু করতে পারে না । প্রতিদিনের প্রার্থনা , বাগান করা , টিভি দেখা আর খবরের কাগজ পড়ে দিন কাটে ।
পেনশনের টাকা দিয়ে শ্রীনগরের হাইওয়ের কাছে একটা ছোট দু'তলা বাড়ি করেছে ।নিচ তলার দু'টো ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে উপর তলায় ছেলে মেয়ে স্ত্রী কে থাকে । বাড়িটার পেছনের দিকে এক শতাংশ জায়গার অন্যায় দাবী নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে অনেক দিন ধরেই ঝামেলা চলছে । গায়ের জোরে দলিল পত্র আর আইন কানুন অস্বীকার করে প্রতিবেশীরা শায়লাদের জায়গায় দাবী করছে ।
সেই কারনে শায়লার সব সময় মন খারাপ থাকে । নিজের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে ।ছোট ভাইটিকে মানুষ করতে হবে । বাবার ভাল চিকিৎসা করাতে হবে । কোন কিছুই যেন ঠিক মতো হচ্ছে না । প্রতিবেশী পরিবারটির মালিক তার শ্যালকের পরিবার , অবিবাহিতা শ্যালিকা আর বিধবা শাশুড়িকে থাকতে দিয়েছে ।
বেকার শ্যালকটির নাম প্রতুল। এক সময় শায়লার সাথেই পড়তো । এলাকায় বখাটে ছেলে হিসেবে বেশ বদনাম ও আছে ।কিন্তু আদম ব্যবসায়ী বোন জামাইদের টাকায় হাল ফ্যাশনটা ভালই করে । নিজেদের অস্তিত্ব আর দৈন্যতা লুকিয়ে রাখার ঢাল বোনের জামাইয়ের আদম ব্যবসার অঢেল টাকা । সেই টাকার ছোঁয়ায় থানা পুলিশ আর সমাজপতিরা সব অন্যায় কে ন্যায় বলে স্বীকৃতি দেয় । এমন চিত্র এখন বাংলাদেশের মফঃস্বল গ্রাম ,শহর সব জায়গায় ।
প্রতুলের মা ভীষণ দাম্ভিক নারী । নিজের অস্তিত্বের পরিচয় যাই থাকুক একটা দাম্ভিকতার ফ্যাশন সব সময় শাড়ির আঁচলে লুকানো থাকে । মহিলার পাঁচ মেয়ে এক ছেলে । বড় তিনটি মেয়ের ভাল সচ্ছল পরিবারে বিয়ে হয়েছে । বাকি দুটো মেয়ের বিয়ে হয়নি । একজন চাকরি করে ।অন্যজন মাস্টার্সে পড়ছে । ছেলেটির পরই ছোট মেয়ের জন্ম ।
কিন্তু বছর দুই হয় বিয়ের উপযুক্ত দুই বোন রেখে সে এক ধনীর মেয়েকে বিয়ে করে । বেকার প্রতুল কিছুদিন শ্বশুরালয়ের এক আত্মিয়ের এক কোম্পানিতে খণ্ডকালীন চাকরি করত ।বেয়াদবি আর অনুপযুক্ত পরিবেশে ধূমপানের অপরাধে তাকে সেখান থেকেও বিতারিত হতে হয়েছে ।কয়েক মাস ধরে বোনদের সহযোগিতা আর বাড়িতে হাঁস মুরগী পালন করে সংসার চলে ।
প্রতুলের মায়ের চরিত্র নিয়েও আছে নানা রকম গল্প । প্রতুলের বাবা নাকি এক সময়ে বিডিআর এর সাধারন সৈনিক ছিল ।অবসরের পর শ্রীনগরের হাইওয়েতে এক বাড়িতে ভাড়া উঠে । বাড়ির মালিক ছিল বিপত্নীক । প্রতুলের মায়ের আদর যত্নে আর কুটবুদ্ধির জোরে ভাড়া বাড়িটি নিজের করে নেয় ।বাড়ির মালিক কে নাকি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে লিখে নিয়েছিল । সেই শোকে বাড়ির মালিক নাকি পড়ে পাগল হয়ে গিয়েছিল ।
বছর পাঁচেক হয় প্রতুলের বাবা ও রাস্তায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন । মৃত্যুকালে তাঁর অবস্থা এতোই খারাপ ছিল যে রাস্তায় পায়খানা প্রস্রাব করে ফেলেছিল । এমন একটি অসহায় মৃত্যুর ঘটনা ও পরিবারটির মধ্যে সামান্য বিবেক বোধ জাগাতে পারেনি । সব সময় আশে পাশের মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা তাঁদের স্বভাব ।
প্রতুল তাঁর বউকে নিয়ে যে রুমে থাকে পাশেই দুটো রুম ভাড়া দিয়েছে । সেই ভাড়াটিয়ার পায়খানাটি উন্মুক্ত । অল্প ভাড়ার বাসায় এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না । কিন্তু সেদিকটায় শায়লাদের রান্না ঘর । অনেক বার তাদের জানানো হলেও তাঁরা উন্মুক্ত পায়খানাটি সরায় না । পৌরসভাকে জানালে ও কেন জানি কোন কাজ হয় না । প্রতুলের দুলা ভাই নুরুল আলম পৌরসভাকে বাঁধা দিয়ে রাখে ।
দিনের পর দিন এমন করেই আশে পাশের সবার দুর্গন্ধে জীবন চলে । সেদিন শায়লার বাবা মুস্তাফিজ মাগরিব নামাজ পড়তে যাচ্ছিল ।পথে প্রতুলের দুলাভাই যে কিনা এই বাড়ির মালিক আদম ব্যবসায়ী নুরুল আলমকে দেখে জিজ্ঞেস করে ," কি মিয়া পায়খানাটা আপনারা ঠিক করছেন না কেন? পৌরসভাকে ও বাঁধা দিতাছেন ?"
আর অমনেই নুরুল আলম চড়ে উঠে ।
" সেই কৈফিয়ত কি আপনার মতো দুই আনার লোকের কাছে দিমু নাকি । ঠিক কইরা কথা কন! পায়খানা যেমন আছে তেমনি থাকব ।"
মুস্তাফিজ উত্তর দেয় ," সমাজের মানুষকে অযথা দুর্গন্ধ দিয়া কষ্ট দিতাছেন ।আবার বাড়ি গাড়ির দাম্ভিকতা দেখান ! "
নুরুল আলম আরও ক্ষেপে যায় বলে ," ওই বুড়া মুখ সামলাইয়া কথা কন । আপনের মতো লোকরে চাইর বার কিনতে পারি ।"
মুস্তাফিজ অতীত কে মনে করিয়ে দেয় ," আরে সেটা জানা আছে । ছিলেন তো নেতার চামচা । এখন ব্যবসা কইরা আঙ্গুর ফুলে কলা গাছ হইছেন । সবার জানা আছে ।"
তখন বাইরের অন্ধকার আকাশে মাগরিব নামাজের আযানের ধ্বনি । আশে পাশের লোকজন এসে ঝগড়া থামিয়ে দেয় । মুস্তাফিজ সাহেব নামাজ পড়তে চলে যায় ।
নামাজ পড়ে ফিরে যাওয়ার সময় প্রতুল পথরোধ করে । তারপর রক্তচক্ষু করে বলে ," আপনের মতো বুড়াকে যদি দুইটা থাপ্পর দেই ।কিছু করতে পারবেন ?"
মুস্তাফিজ সাহেব ও থেমে থাকে না । সে ও প্রতিবাদ করে বলে ," আমারে দুইটা থাপ্পর দিলে তুই চাইরটা খাবি । গায়ের জোরে অন্যায় করবি । আবার আসছিস আমার পথরোধ করে আমাকে হুমকি দিতে।
কিন্তু নুরুল আলমের উদ্ধত আচরনে বৃদ্ধ মানুষটার হৃদস্পন্দনের পথটা কোথাও আটকে গেল ।তার অকথ্য ভাষায় আর কটুবাক্য বানে হতচকিত হয়ে গেল ।এ কেমন অবিচার চারিদিকে !
আবার নামাজ পড়ে ফিরে যাওয়া রাস্তার লোকজন তাদের থামিয়ে দিল । মুস্তাফিজ সাহেব ঘরে ফিরে গেলেন ।
একটা সময়ে শায়লার বাবা ঘরের বড় সন্তান হিসেবে যথেষ্ট সাহসী ছিল । জীবন যুদ্ধে জয়ী শক্ত সামর্থ্যবান সংগ্রামী একজন মানুষ । কিন্তু আজকাল কেন জানি সব সাহস হারিয়ে গেছে । পৃথিবীর সব টুকু অসহায়ত্ব যেন তাকে ঘিরে ধরেছে ।শায়লার বৃদ্ধ বাবা মুস্তাফিজ সাহেব তাকিয়ে দেখে নুরুল আলমের মিথ্যা দাম্ভিকতায় আক্রান্ত অন্যায়ের শক্তি । সততা আর দয়ালু মন গুলো আজকাল ভীষণ অসহায় । চারপাশে মিথ্যা , অসততা আর অন্যায়ের দাম্ভিক বিলাসিতা । তাই মন সংকুচিত হয়ে আসে ।
মাথার উপরে বিয়ে উপযুক্ত অবিবাহিতা মেয়ে । ছোট ছেলেটার পড়াশুনা শেষ হয়নি । প্রতিবাদ কি সব সময় সুন্দর ফলাফল দেয় ? বর্তমান সমাজের চোখ বোধ -বিবেকহীন ।অনেকটাই হুজুগে আর খামখেয়ালী । কয়জন নিজ বিবেক বুদ্ধি দিয়ে ঘটনার চুলচেরা বিচার করে!
সহিংসতা এড়াতে আর সময় নষ্ট মূল্য দিতে সবাইকেই কিছু সময় ভীতু হতে হয় ।সহিংসতাকে ভয় পেলেই আমাদের কিছু সময় বাঁচে । কিছু মানুষ নিজেদের ক্ষমতাবান ভেবে মিথ্যা সুখে অবগাহন করে । কেউ অন্যায় করে আর কেউ বেঁচে থাকার আবদারে অন্যায় মাথা পেতে নেয় । তবুও কখন ও দিনে শেষে প্রকৃতির বিচার আসে । খুব নিখুঁত ভাবে বিধাতা নিয়তি নির্ধারণ করে । সকল অন্যায় ক্ষমতার সঠিক বিচার করে ।
সেই ঘটনার দিন থেকে মুস্তাফিজ সাহেব মানসিক ভাবে ভীষণ রকম ভেঙ্গে পড়েছেন । কাউকে কিছু বলে না । শুধু নামাজে বসে চোখের পানি ফেলে । বৃদ্ধ বয়সের অক্ষমতার প্রতি তাঁর প্রচণ্ড অভিমান হতে থাকে । অসহায় মনটা তাকে বার বার নিঃসঙ্গ করে দেয় ।
শায়লা মোবাইল ধরার পর পরই মা কেঁদে ফেলে । সব ঘটনা খুলে বলে । কি করবে শায়লা বুঝতে পারছে না । বাবার অসহায়ত্ব আর চোখের পানিতে যেন শায়লা ভেসে যাচ্ছে দিক হীন কোন অজানায় । সারা রাত শায়লা ঘুমাতে পারে না । পরের দিন অফিসে মোবাইল করে ছুটি নিয়ে বিক্রমপুরের শ্রীনগরে রওয়ানা করে। গুলিস্তান থেকে ষাট টাকার টিকেট । এক দেড় ঘন্টা পথ আর ধলেশ্বরী নদীটা পার হলেই শায়লাদের শহর । টিকেট কেটে শায়লা বাসে উঠে বসে ।
শায়লার অস্থির অসহায় মন আজ সময়ের হিসেব রাখেনি । কান্নার গভীর সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে ।কখন যে বাস ধলেশ্বরীর মুক্তারপুর সেতুর কাছে চলে এসেছে খেয়াল করেনি । কিছুক্ষন হয় সম্বিত ফিরে আসে । কিন্তু এখন ধলেশ্বরীর আকাশে মেঘের ঘনঘটা। চারিদিকে বৃষ্টিজলের বিলাসিতায় ভিন্ন দৃশ্য । যেখানে কেটেছে শায়লার প্রিয় শৈশবকাল, শৈশবসঙ্গী, শৈশব স্বপ্ন। সমস্ত শৈশবস্মৃতিতে ধলেশ্বরী নদীর ছোয়াঁ লেগে আছে। একদিকে পদ্মা, অন্যদিকে মেঘনা আর আরেকদিকে ধলেশ্বরী ঘিরে রেখেছে দ্বীপ শহর বিক্রমপুরকে।কি অদ্ভুত সৌন্দর্যময়তা।
কিন্তু সেই অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে মানুষের ভেতরটা কেমন হৃদয়হীন হয়ে বেড়ে উঠছে ।আগের মতো প্রকৃতিতে বেড়ে উঠা গ্রাম আর মফস্বলের মানুষ গুলোর মধ্যে মায়া মমতা আর বন্ধন নেই । একটা সময় ছিল পাড়া প্রতিবেশীরা সবাই ছিল আত্মীয়দের মতো । সবাই সবার বিপদে কাছে থাকতো । কাছের মানুষের ভূমিকা পালন করতো । বর্তমান সময়ে সবার ভেতরেই একটা কংক্রিট মন বসবাস করে ।
শায়লা কে এগিয়ে নিতে ছোট ভাই সাব্বির এসে বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে পথে সাব্বিরের মুখে সব শুনে । বাবা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না । পুলিশের কাছে যাবে । চেয়ারম্যানের কাছে যাবে । এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে নাকি প্রকৃতির কাছে বিচার কে সমর্পণ করবে ! আজকাল সমাজপতিরা সততার চেয়ে অসততার জন্যই বেশি পরিচিত । কারও উপর আস্থা রাখা যায় না ।
মেয়েকে দেখে বাবা মুস্তাফিজ যেন নতুন জীবন ফিরে পেল । শায়লা পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল । কিন্তু মুস্তাফিজ সাহেব ছেলে মেয়েদের বুঝালেন ।
জীবনে চলার পথে অনেক ভেবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় । সামনে সাব্বিরের মাস্টার্স পরিক্ষা । শায়লার চাকরি স্থায়ী হবে । অনেক স্বপ্ন একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে । কোন একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তা নিমিষেই শেষ হয়ে যেতে পারে ।
সারাটা রাত পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল কখনও বৃহৎ স্বপ্ন পূরণ করতে পথের অনেক বড় পাথর ও বুকে চেপে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয় ।
প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে শায়লা পরের দিন সকালে ঢাকায় কর্মক্ষেত্রের উদ্দ্যেশে আবার রওয়ানা করে । অসহায় বাবা মুস্তাফিজকে এমন বিধ্বস্ত মানসিক অবস্থায় রেখে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিল । বাবার প্রতি অন্যায় করার প্রতিবাদ করতে না পারার অক্ষমতা কেমন ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছিল বার বার । কি করা উচিত সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্যি ভীষণ কঠিন। তবু ও জীবনের প্রয়োজন।সময় তার আপন নিয়মেই সব অনুভূতি সাথে নিয়ে চলে ।
চোখের পানি আর বুকের ভেতরে ভেঙ্গে যাওয়া আকাশটা দেখতে দেখতে আরও এক সপ্তাহ চলে গেল।গভীর কষ্টের নদীও কখনও নিত্যদিনের কর্মচাপে শুকিয়ে যায় । নামাজে বসা বাবার চোখের কোনায় অসহায় কান্নার জল । এই দৃশ্য যেন কোন ভাবেই শায়লার ভেতর থেকে দূর হয় না । চোখের সামনে কেমন করে ভাসতে থাকে ।
দুই সপ্তাহ পর । কোন এক ছুটির দিন বিকেলে ।মায়ের কল এল । এবার যেন শায়লার কাছেই ছিল মোবাইল ফোনটা । মা জানাল শায়লাদের দাম্ভিক প্রতিবেশীর ছেলে প্রতুল মোটর বাইক দুর্ঘটনায় আইসিওতে আছে । শায়লা শুধু স্থির হয়ে মা কে জিজ্ঞেস করল , " কখন ঘটেছে ?"
ওপাশের মা জানাল ,' গতকাল রাতে ।এলাকার সবাই কানাঘুষা করছে । দুই একজন খুশী ও হইছে । দেখছ বেয়াদবদের আল্লাহ্‌ কেমন বিচার করে ! এতো সীমা অতিক্রম করা দাম্ভিকতা আল্লাহ্‌ ও সহ্য করে না । "
কথাটা বলেই শায়লার মায়ের কান্না । হয়তো বুকের ভেতরে আটকে থাকা পাথরটার সরে যাওয়ার আনন্দের কান্না ।
মানুষের মন চিরন্তনই বিচার খুঁজে । আর কখনও নিঃস্বার্থ ক্ষমা গুলো এমন করেই বিচারের বানী হয়ে আসে ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×