somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপন্যাস"মারিজুয়ানা " পর্ব-২৯ -নুরুন নাহার লিলিয়ান

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



#উপন্যাস" মারিজুয়ানা" পর্ব ২৯
#নুরুন নাহার লিলিয়ান

গুঞ্জন এবং নেশামের দুটি ফুটফুটে জমজ ছেলে হয়েছে ।ছেলে দুটোর কয়েক মাস বয়স চলছে । সন্তান জন্মদানের পর গুঞ্জন মাতৃত্ব কে বেশ উপভোগ করছে । কিন্তু তারপর ও মাঝে মাঝে কিছু সমস্যা ও অনুভব করছে ।বিষয় গুলো নিয়ে নেশাম কে ও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ।

সন্তান জন্মদানের পর সব মায়েদের শারীরিক এবং মানসিক দিকে থেকে নানা রকম পরিবর্তন হয় । এর ফলে কিছু কিছু সমস্যা ও দেখা দেয় । যে সমস্যা গুলোর অনেক কিছুই প্রকাশ যোগ্য না । সব মা সমান ভাবে সমস্যা গুলোর মুখোমুখি হয় না । সন্তান জন্মদানের পর কিছু শারীরিক সমস্যার সাথে মানসিক সমস্যা ও দেখা দেয় ।

অনেকের যে সব সাধারন বিষয় লক্ষন গুলো দেখা যায় তা হল খাওয়ার সমস্যা , ঘুমের সমস্যা , কথা বলতে না চাওয়া , মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকা , বাচ্চা কে অবহেলা করা , আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া , বাচ্চার যত্ন না নেওয়া , অকারনে কান্না পাওয়া , স্বামীর প্রতি অসহনশীল হয়ে উঠা,আত্মহত্যা করার প্রবনতা , এমন কি নিজের সন্তান মেরে ফেলার মতো ঘটনার কথা ও শোনা যায় ।

প্রায়ই চারিদিকে গর্ভধারণ করা পরবর্তী সময়ের মায়েদের দ্বারা নানা রকম হতাহতের ঘটনা শুনতে ও পাওয়া যায় । যদি ও এই বিষয় গুলো নিয়ে আমাদের সমাজ তেমন সচেতন না ।
গর্ভধারণ এবং সন্তান জন্মদানের সাথে বেশ কিছু হরমোন সরাসরি জড়িত থাকে । ধারনা করা হয় এই সব হরমোনের তারতম্যের কারনে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকতে পারে । তবে এমন ধারনা এখনও বৈজ্ঞানিক ভাবে স্বীকৃত না ।

যদিও ডাক্তাররা মনে করে মায়েদের এমন সমস্যার পেছনে হয়তো তাদের আগের কোন মানসিক কিংবা শারীরিক সমস্যার কারনে হয়েছে । এছাড়া ও বংশগত কারন ও থাকতে পারে । তাই বৈজ্ঞানিক ভাবে এই সমস্যা গুলোর নির্দিষ্ট কারন এখন ও পর্যন্ত কেউই ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ।

তাই বাচ্চা হওয়ার পর ডঃ নেশাম অনেকটা সময় গুঞ্জন আর বাচ্চাদের দেয় । একটা ট্রিপিক্যাল সুখি পরিবারের সুখের সাথেই তাদের জীবন চলছে । কিন্তু হঠাৎ করেই গুঞ্জনের ভেতরে কিছু সমস্যা দেখা যায় । প্রায়ই বাচ্চাদের বুকে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে । তাঁর প্রায়ই মরে যেতে ইচ্ছে করে ।
নেশামের সুখের সংসারে হঠাৎ যেন নিকষ অন্ধকার । অনেক অপেক্ষার পর যে সুখটুকু এসেছিল সংসারে সেই সুখ যেন জীবনটাকে অভিশপ্ত করে তুলেছে ।

সারাদিন ল্যাবে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যখন বাসায় ফিরে । ভাবে বউ আর বাচ্চাদের সাথে সুন্দর কিছু সময় কাটাবে ।কিন্তু সব কিছু কেমন এলো মেলো হয়ে গেছে ।ব্যক্তিগত কষ্টকর জীবনের কারনে নিজের গবেষণাগারে ও মনোযোগ দিতে পারছে না ।
গুঞ্জনের এই সমস্যার কারন খুঁজতে তিনি নিজেই কিছু পড়াশুনা শুরু করে । এই ধরনের সমস্যার উপর যতো রিসার্চ হয়েছে খোঁজ নিতে থাকে । এই রিলেটেড আন্তজাতিক জার্নাল গুলো পড়ে ।
দেশে বিদেশে তাঁর পরিচিত ডাক্তার গবেষকদের সাথে ও আলোচনা করে । কোন কিছুতেই যেন গুঞ্জনের এই মানসিক সমস্যা দূর করার স্থায়ী কিছু পাওয়া যায় না ।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডঃ নেশামের এক বন্ধু মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ হাসিবুল আহমেদ । ডঃ নেশাম তাকে ও গুঞ্জনের সমস্যা নিয়ে জানাল । সেদিন ডাঃ হাসিবুল খুব মনোযোগ সহকারে গুঞ্জনের সব কেস স্টাডি করে। তারপর এই রোগের যে তিন ধরণের প্রকাশ রূপ আছে তা জানায় । সন্তান জন্মের পর যে মায়েদের যেসব মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তা তিন ভাগে ভাগ করা হয় ।

১। মেটার্নিটি ব্লু বা পোস্টপার্টাম ব্লু
২। পিউরপেরাল ডিপ্রেশান বা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন (পোস্টপার্টাম মুড ডিজঅর্ডারও বলা হয়)
৩। পিউরপেরাল সাইকোসিস বা পোস্টপার্টাম সাইকোসিস

এই ধরনের রোগ গুলো আমাদের দেশে এখন ও অবহেলিত । অনেক শিক্ষিত মানুষ ও এই মানসিক সমস্যা গুলো সম্পর্কে অবগত না । কিংবা চিকিৎসা দুনিয়ায় ও এই বিষয় গুলো নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণার ঘাটতি আছে ।

ডাঃ হাসিবুল শুধু নেশাম কে বলে বউ বাচ্চাদের প্রচুর সময় দিতে । নিয়মিত ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশনের ওষুধ সেবন সহ তাদের সাথে বেশি করে ভাব ভালোবাসা বিনিময় করতে ।মায়া ,মমতার আর ভালোবাসার প্রকাশ আরও বাড়িয়ে দিতে । পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধনটাকে আরও মজবুত করতে।
গুঞ্জন আর বাচ্চাদের দেখার জন্য বাসায় দুজন কাজের লোক নিয়মিত আছে । সেই সাথে গুঞ্জন আর নেশামের মা বাবা ভাই বোন সবাই সচেতন হয় । সবার সহানুভূতি আর ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দেয় ।

এমন জটিল জীবনের মাঝে ডঃ নেশামের ক্যামিক্যাল গবেষণাগারে কিছু ঝামেলা তৈরি হয় ।বিজ্ঞানীদের এবং প্রশাসনিক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্কের টানাপড়েন । বিজ্ঞানীদের কাজ নিয়ন্ত্রণের এবং তদারকির জন্য উচ্চ পর্যায়ের যে কর্মকর্তারা আছে তাদের অনেকেরই বিজ্ঞান গবেষণা সম্পর্কে এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড নেই । গবেষণা সম্পর্কিত জ্ঞান না থাকায় দফতর গুলোতে ব্যাপক অরাজকতা শুরু হয় ।

যে কারনের বিজ্ঞান গবেষণার মতো বিশাল কাজের মুল্যায়ন নেই । বিজ্ঞানীদের কর্ম পরিধি সংকুচিত হতে থাকে ।কারন গবেষণা করার জন্য ল্যাব গুলোতে যে পরিমান মেশিনারিজ , কেমিক্যাল , আর লোকবল দরকার তা এখানে নেই । প্রতিটি জায়গায় অসুস্থ অযৌক্তিক প্রতিযোগিতা ।অযোগ্য চাটুকারদের প্রভাবে যোগ্যদের অমুল্যায়ন ।কোনভাবেই গবেষণায় মন দেওয়ার মতো পরিবেশ নেই ।

কাজের পরিবেশে অর্থহীন সমস্যা তৈরি হওয়ায় ডঃ নেশাম ভীষণ ভাবে মনের দিক থেকে ভেঙ্গে পড়েন । ব্যক্তিগত জীবনে আসে ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ । এক মুহূর্ত আর এই দেশে থাকতে ইচ্ছে করে না । হীনমন্যদের হিংসার লেলিহানে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ।সেখানে প্রতিভানদের প্রতিবাদের ভাষা গুলো সত্যি অসহায় । পৃথিবীর কোন এক কোনায় সন্তানদের নিয়ে নিরাপদ আর ভাল থাকার স্বপ্ন খুঁজতে থাকে ।

একদম চুপ হয়ে যায় নেশাম । শফিকের সাথে যে প্রজেক্ট সেটা ও বন্ধ করে দিতে হয় ।সব বিজ্ঞানীদের গবেষণা এবং আবিস্কারের কিছু নীতিগত সততা থাকতে হয় । কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা অধিকাংশ সময়ে বুঝতে চায় না। অসৎ ব্যবসায়ীদের নীতিবোধ থাকে না ।ব্যবসায়ীরা পৃথিবীতে বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কার ভুল ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থে । কখনও ব্যবসায়ীদের ভেতরের লোভ লালসার কাছে বলি হয় বিজ্ঞানীদের অভিনব আবিস্কার ।অথচ যা বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করে পৃথিবীর কল্যানের উদ্দ্যেশ্যে । টাকার কাছে হেরে যায় সৃষ্টির মহাত্ম আর সৌন্দর্য ।

পিএইচডি শেষে নেশাম যখন দেশে ফিরছিল অনেক বন্ধুরাই তাকে বাঁধা দিয়েছিল । অনেক কাছের বন্ধুরাই মেধার মুল্যায়ন না হওয়ার কথা বলেছিল । কিন্তু নেশাম নিজের দেশকে ভীষণ ভালোবাসে । নিজের দেশের মানুষদের ভালোবাসে । সব খারাপের মাঝে ও কিছু ভাল জীবন কে অনেক বেশি ভাল রাখে । অনেক বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে কিছু প্রাপ্তির মধ্যে ও জীবনের আলাদা তাৎপর্য আছে ।তবুও সব কিছুর মাঝে নিজের এবং পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সবাইকে ভাবতে হয় । নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারলেই তখন জীবনের ভাল কিংবা মন্দ বিচারের বিষয় আসে । তাই নিজ অস্তিত্বের প্রশ্নে কোন কিছুরই কম্প্রোমাইজ করা ঠিক না ।

কিন্তু কঠিন বাস্তবতার কাছে নেশামের সব ভাবনা ,চিন্তা আর স্বপ্ন ম্লান হয়ে যায় । এখন যেন নিজের অস্তিত্ব আর মর্যাদার বিষয়টি তাকে অনেক চিন্তিত করে তোলে ।পৃথিবীর পথে নতুন করে খুঁজতে থাকে তাঁর নতুন ঠিকানা । যেখানে নিজের সততার সাথে রিলাক্স মন নিয়ে কাজ করতে পারবে । যেখানে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে ।
পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর ভাল মানের গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোর প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকে ।

এমন করেই কিছু অপ্রত্যাশিত সময়ের ভেতর দিয়ে ডঃ নেশাম কে যেতে হয় । সেদিন ভোর বেলা গুঞ্জন বাচ্চা দুটোকে নিয়ে ক্লান্তির ঘুমে বিভোর । ঘুম থেকে জেগেই বাচ্চা দুটোকে একটু আদর করে গুঞ্জনের কপালে চুমু খায় । এরপর নিজ হাতে এক মগ ব্লাক কফি তৈরি করে ল্যাপটপে ইমেইল চেক করতে বসে ।প্রথম ইমেইলটাই যেন স্বর্গ থেকে পাঠানো হয়েছে নেশামের সব দুঃখ মুছে দিতে ।ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বারকলির কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে পোষ্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে জয়েন করার চিঠি । সেই সাথে অনেক সুযোগ সুবিধার প্রত্যাশা আর বেঁচে থাকার স্বপ্ন এই পবিত্র ভোরকে আর ও মোহনীয় করে তুলেছে ।

নেশাম কফিটা শেষ করে ঘুমন্ত গুঞ্জন আর বাচ্চাদের দেখে । মন ভরে দেখে । বাচ্চা দুটো জেগে হাত পা নেড়ে হেসে হেসে খেলা করছে । পাশেই তাদের মা পৃথিবীর প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাসে ঘুমিয়ে আছে । কি অপূর্ব এই দৃশ্য । একজন স্বামীর কাছে । একজন পিতার কাছে । গবেষণাগারের আবাসিক এলাকাটায় তখনও সকালের ব্যস্ততায় তেমন কেউ জেগে উঠেনি । কোন একটা টুঁ শব্দ নেই কোথাও ।

নেশামের দুই বাচ্চার শুয়ে শুয়ে খেলার আর হাসির শব্দ যেন সুখের সমুদ্রের ঢেউ হয়ে বার বার নেশামের হৃদয় স্পর্শ করে যাচ্ছে । নেশাম বিছানায় এসে বসে । বাচ্চা দুটোকে কোলে তুলে নেয় । তারপর বুকে জড়িয়ে ধরে। কখন যেন দু'ফোটা অশ্রু নেশামের চোখ দুটোকে গভীর কোন সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×