somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপন্যাস"মারিজুয়ানা " পর্ব-৩০ (শেষ পর্ব) -নুরুন নাহার লিলিয়ান

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



#উপন্যাস" মারিজুয়ানা" পর্ব ৩০( শেষ পর্ব)
#নুরুন নাহার লিলিয়ান

ক্লিনিক থেকে ফেরার পর থেকেই শফিক কৌশলে মারিজুয়ানা কে এড়িয়ে চলে । সে কিছুতেই সিমেন টেস্ট করাবে না । মারিজুয়ানা ও এই বিষয়টা নিয়ে আর নিচু হতে রাজি নয় ।তাছাড়া মাস খানিক ধরে শফিক ব্যবসার কাজে ঢাকার বাইরেই থাকছে ।একটা মানুষকে আর কতোটাই জোর করা যায় । যদি সে মানুষটা নিজ থেকে না চায়।

দিনের পর দিন শফিকের অবহেলা মারিজুয়ানা কে মনের দিক থেকে অনেক শক্ত করে তুলেছে ।ভেতরে বয়ে চলা কষ্টের সমুদ্র কে ভীষণ আপন করে নিয়েছে মারিজুয়ানা ।কখনও প্রতিবাদের অনুচ্চ স্বর গুলো কষ্টের সমুদ্রের নৈশব্দে লীন হয় । ধাবমান সময়ের স্রোতে ভাসমান সম্মুখের ব্যস্ত পৃথিবীও মুখ ফিরিয়ে নেয় পার্থিব নিয়মে ।নিষ্ঠুরতার প্রাচুর্যতায় বেঁচে থাকাটাই যেন একমাত্র স্বপ্ন হয়ে যায় ।তাই শফিকের প্রতি সব অভিযোগই আজ ক্লান্ত । একজন বিবেকহীন মাতালের কাছে পৃথিবীর ন্যায় অন্যায় এক । তাঁর কাছে একটা মেয়ের জীবন সব সময়ই তুচ্ছ । তাই আজকাল মারিজুয়ানার আর কোন অভিমান হয় না কারও প্রতি ।

মন্থর বাতাসে উড়ে যায় সুখ গুলো ভীষণ রকম তাচ্ছিল্যতায় । চোখের কোনায় জমে থাকা কষ্টের জলরাশি নির্বাক মাটিতে শুকায় । খুব নিরবে । খুব গোপনে । মারিজুয়ানার আর কোন কষ্ট হয় না কষ্টের প্রাচুর্যতায় । এমন একাকি এক সাথে থেকে ও যোগাযোগ হীন থেকে যায় । স্বামী স্ত্রীর একান্ত সম্পর্কটা কেমন নিশ্চুপ বিলীন হয়ে যায় ।

এমন করে চলে গেল দুইটা মাস । ব্যস্ততার অজুহাতে শফিক মারিজুয়ানার কাছেই আসে না । মাঝে মাঝে দুই এক দিন বাসায় ফিরলে ও অফিস রুমে বাদলের সাথে ড্রিংক করেছে । এক বেলা রাতে ডিনার করে সকালেই ব্যবসার কাজের কথা বলে চলে গিয়েছে । মারিজুয়ানার আর আগের মতো রাগ হয় না । কোন কষ্টের দহনে চোখে পানি ও আসে না । প্রচণ্ড মানসিক চাপে সে নির্বাক হয়ে যায় ।

দুই সপ্তাহ ধরে মারিজুয়ানা ভীষণ অসুস্থ । প্রচুর বমি আর মাথা ব্যথা । কিছুই খেতে পারে না । সেদিন রাতে শফিক বারান্দায় বাদল কে নিয়ে ড্রিংক করছিল । আর মারিজুয়ানা শারীরিক অসুস্থতায় বিছানায় কাতরাচ্ছিল । কোন দায়িত্ববোধ কিংবা মানবিকতা বোধ শফিককে মানুষ হিসেবে মারিজুয়ানার কাছে টানে না । তাই মারিজুয়ানা ও আর জোর করে কাছে যেতে চায় না । মানুষ হিসেবে তারও কিছু ব্যক্তিত্ববোধ আর আত্মসম্মান থাকা উচিত । তাই শফিকের উন্নাসিকতার কাছে নিজের মহামূল্যবান জীবনটা আর এক মুহূর্ত ও সমর্পণ করতে ইচ্ছে করে না ।

একা থাকতে থাকতে মারিজুয়ানার অভ্যাস হয়ে গেছে ।মারিজুয়ানার কারনে পরিবারের সবাইকে অনেক কষ্ট অপমান সহ্য করতে হয়েছে । তাই আজকাল শরীর কিংবা মন খারাপ হলে আর কাউকে ডাকতে ইচ্ছে করে না । বিয়ের পর জীবনে অনেক বার মনে হয়েছে ফাঁসি দিতে । কিংবা বিষ খেয়ে মরে যেতে । কিন্তু আজকাল অনেক বেশি বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে । প্রান ভরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে ।

দুই দিন আগে হঠাৎ দুপুরে প্রচণ্ড বমি হয় । চোখ খুলে দেখে সে হাসপাতালে । ডাঃ কানিজের হাসি মাখা মুখ । ভীষণ আন্তরিকতায় তাঁর দিকে ঝুকে আছে ।
--" এখন কেমন লাগছে ?"
--" আমার কি হয়েছিল"
--" কিচ্ছু হয়নি । সুখবর ! আপনি মা হতে চলেছেন । আল্লাহ্‌র কি অশেষ মিরাকল!"
--" সত্যি ডাক্তার আমি মা হতে চলেছি?"
--" সত্যি। পরিক্ষায় তো তাই দেখলাম । এখন শুধু নিজের যত্ন নিন । পরের সপ্তাহে আপনার স্বামী সহ একবার দেখিয়ে যাবেন । "
এতো খুশির খবরের মাঝে ও মারিজুয়ানার মন বিষণ্ণ হয়ে উঠে ।মারিজুয়ানা বাসায় একা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল । ছোট ভাই মোবাইলে না পেয়ে বাসায় এসে দেখে মারিজুয়ানার হুঁশ নেই । পরে ড্রাইভার সিদ্দিক কে নিয়ে ক্লিনিকে যায় । টেবিলেই আগের দেখানো ডাক্তারের কাগজ পত্র ছড়ানো ছিল ।

রাজিব কিছুতেই আর বোন কে এই বাসায় রাখবে না । কিছুতেই না । মারিজুয়ানা কে নিয়ে ক্লিনিক থেকে বাসায় ফিরে রাজিব বাড়িতে বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে যায় । একটা অপেক্ষা করার জন্য ভাইকে অনুরোধ করে যদি শফিক বাসায় ফিরে ।মারিজুয়ানার অসুস্থতার কথা শফিক কে অনেক বার মেসেজ দিয়ে জানানোর পর ও শফিক কোন সাড়া দেয় না । কোন অভিব্যক্তি নেই একদম ।

মারিজুয়ানা ও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে । বাচ্চা কে যে মেনে নিতে চায় না । সে হয়তো বাচ্চা পৃথিবীতে আসার কথা শুনে দানবে পরিনত হতে পারে । কারন বারো বছর আগের বিয়ের পরের প্রথম বাচ্চাটা শফিকের কারনেই গর্ভপাত করাতে হয়েছিল । সে আবার তাঁর বাচ্চার জীবন অনিরাপদ করে তুলতে পারে না । একজন স্ত্রী হিসেবে হয়তো সব অন্যায় অভিযোগ মেনে নিয়ে সংসার আঁকড়ে থাকা যায় । কিন্তু একজন মা হিসেবে সন্তানের নিরাপদ জীবন রক্ষা করা ও আরও বেশি দায়িত্ব ।

শুধু কারও স্ত্রী নয় একজন মা হিসেবেও মারিজুয়ানা নতুন করে বাঁচতে চায় ।নিজের ভেতর থেকে আবিস্কার করা তাঁর সৃষ্টিশীল কাজ গুলোকে আর ও বিস্তৃত করবে । নিজের পরিশ্রম আর একাগ্রতা দিয়ে জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করবে । মা বাবার নাম নিয়েই সে বেঁচে থাকবে ।

মধ্যরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় । প্রচণ্ড ভয় আর আতংকে বুক ধড়ফড় করতে থাকে । অন্ধকার ঘরে গা ঘেমে উঠে । পানির পিপাসা লাগে ।বিছানা ছেড়ে গ্লাসে পানি ঢেলে নিয়ে বারান্দায় দাড়ায় । নিস্তব্ধ সহস্র ছলনার অন্ধকারে ঢাকা মায়াময় এই শহর । সকালে এই শহর ছেড়ে মারিজুয়ানা মা বাবার কাছে তাঁর সেই ছোট্ট গ্রামে ফিরে যাবে । যেখানে সে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ । আজ এই রাতের অন্ধকার গুলোকে অনেক বেশি আপন মনে হচ্ছে । যে দুঃখ গুলোর সাথে সে বছরের পর বছর বসবাস করেছে । ছেড়ে যেতে ভীষণ মায়া লাগছে ।

পাশের রুমে তাকিয়ে দেখে ছোট ভাই রাজিব ক্লান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে । অনেক ধকল গিয়েছে ছেলেটার উপর । মারিজুয়ানা টেবিলে বসে কাগজ কলম নিয়ে । শফিকের কাছে শেষ চিঠি লিখতে ।

শফিক সাহেব ,
সালাম নিবেন ।আপনাকে লিখতে গিয়ে আমার সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে । আর হবেই না কেন । যার পুরো জীবনটা এলোমেলো তার সব কিছুইতো এলোমেলো হবে । আমার গরীব মা বাবা কন্যাদায়গ্রস্ত হয়ে আমাকে আপনার সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন । আমাকে জাপানে নিয়ে যাবেন নিরাপদ ভবিষ্যৎ দিবেন। এই মিথ্যায় প্ররোচিত হয়ে আমার পরিবারের সবাই অনেক কষ্ট আর অপমান সহ্য করেছে। বিয়ের সাত মাস পর যখন আপনার আগে বিয়ে করা দুই জাপানি বউ এবং সন্তানদের কথা জানতে পারলাম নিজের জীবন কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ।

আপনার সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম । আপনি আমাকে চোর বানিয়ে দিয়েছিলেন ।আমার পরিবারের সবাইকে ভয় ভীতি দেখিয়ে নাজেহাল করেছেন। গর্ভে থাকা আমার আপনার প্রথম সন্তানকে মেরে ফেলতে ও দ্বিধা করেননি । আমার মা-বাবার আকিকা দেওয়া নাম পাল্টে মারিজুয়ানা রেখেছিলেন । কারন মারিজুয়ানা শুকনা পাতার ধোঁয়ায় আপনি শ্রেষ্ঠ সুখ পেতেন । সব সময় আমার সাথে ব্যাখ্যাতীত বিকৃত আচরন করতেন ।

পুরুষেরা নিষিদ্ধ পল্লীতে নারী ভোগ করতে গেলে সেই নারীটিকে বিভ্রমে ও একটু আদর করে আসে ।কিন্তু বিয়ের এক যুগ পার করলে ও আপনি একান্ত জীবনে কোন সুখ দিতে পারেননি । কাছে ডেকে একটু মাথায় হাত রেখে আদর করেননি । সব সময় অনাদর আর অবহেলা ।
বিয়ের পর থেকেই আপনি নানা অভিযোগ করে আমার পরিবার কে অপমান করতেন । আমি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারি না , আমার চিন্তা ভাবনা গেঁয়ো , ঢাকা শহরের মেয়েদের মতো স্মার্ট না ,আমি মদ পান করতে পারি না আবার অন্যদিকে ও বলতেন আমি সংসারী না,রান্না করতে পারি না,আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি না তুমি করে বলতে চাই । আপনি দুই দিকেই বলতেন ।

আমি একটু একটু করে আমার অক্ষমতা গুলো অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিলাম । নিজেকে আপনার সমাজে মানিয়ে নিতে চেয়ে ছিলাম । তবুও চেয়ে ছিলাম সংসারটা টিকে থাকুক ।প্রতিনিয়ত আমার অধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন ।আমি যদি হাত খরচের জন্য দুই হাজার টাকা চাইতাম আপনি আমাকে লোভী , গরীব এমন কি আমার পরিবারের সবাইকে তিরস্কার করতেন । অথচ আপনার মেয়ে নাতালিকে লক্ষ টাকা খরচ করে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ছুটি কাটাতে পাঠাতেন । হাজার টাকা খরচ করে মদ পান করে উন্নাসিকতায় সময় কাটাতেন ।

আমি তিরস্কার আর তুচ্ছতার মাঝে ধীরে ধীরে জীবন্ত লাশে পরিনত হয়েছিলাম । যেদিন থেকে আমার বিয়ে হল । সেদিন থেকেই আমি মৃত । এই মৃত্যু আমার অনুভূতির । এই মৃত্যু আমার স্বপ্ন আর স্বাধীনতার । আমার মতো পৃথিবীর কোন মেয়েই যেন বিয়ে নামের মহা প্রতারনার ফাঁদে না পড়ে ।

আপনার সংসার থেকে আমি কিছুই নিয়ে যাইনি । আপনার দাম্ভিকতা , প্রাচুর্যতা , বিকৃত রুচি বোধ আর আপনার সংসার থেকে পাওয়া সহস্র কষ্ট । সবই আপনার দরজার কার্নিশে রেখে এসেছি ।নিয়ে গেলাম শিক্ষিত ধনী সমাজের প্রতি এক সমুদ্র ঘৃণা । আর আপনার দেওয়া আমার অস্তিত্বে জন্ম নেওয়া এক মাসের এক রক্তপিণ্ড । অনাগত আরেকটা জীবনের গল্প ।

আমাকে আর এড়িয়ে চলতে হবে না । আমিই চলে যাচ্ছি । আপনার পৃথিবী নিয়ে আপনি অনেক সুখি হন ।

ইতি ,মারিয়া

সকালে ড্রাইভার সিদ্দিক রাজিব আর মারিয়া কে সদর ঘাট দিয়ে আসে । পটুয়াখালীর লঞ্চে উঠার আগে চিঠিটা মারিয়া সিদ্দিক কে দেয় ।দুই দিন পর শফিক ঢাকায় ফিরে । বাদলকে অবৈধ মাদক রাখার দায়ে পুলিশ ধরেছে । অনেক জায়াগায় বাদলের জন্য ছুটাছুটি করতে হয়েছে । এই কয়দিন সংসারের দিকে কোন মনোযোগই ছিল না । সন্ধ্যায় যখন অফিস রুমে বসেই চিঠিটা পড়ছিল তখন শফিকের মস্তিস্কে যেন ঘূর্ণি ঝড় শুরু । প্রচণ্ড রকম ঘামাতে লাগল । চোখের কোনায় জমা এক ফোঁটা নোনা জল যেন ঘামের সাথে মিশে গেল ।

রাতের লঞ্চেই শফিক পটুয়াখালী রওনা করল । পদ্মার বুকে লঞ্চটা ঢেউয়ের সাথে ভেসে যেতে লাগল ।ভোর রাতের আকাশে দুটো পাখি কেমন পাশাপাশি উড়ে যাচ্ছে । শফিক গভীর বিস্ময়ের চোখ দিয়ে ভোরের নতুন পৃথিবীটাকে দেখে । আর নদীর বুক চিরে আসা একেকটা ঢেউ শফিক কে অন্যরকম করে দেয় । একদম অন্য এক মানুষে ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×