somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবন যায় কোন পথে !

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবিঃ আমি আমার মোবাইলে তুলেছিলাম

পৃথিবীতে সবাই মনে করে সে পরিপূর্ণ অথবা পারফেক্ট। অথচ তার মনের অজান্তেই রক্তের সর্ম্পক বা কাছের জনের সাথে সে যে কি পরিমান ভুল করে হয়তো সে নিজেও জানে না। বেশি আত্মনির্ভরতা ও হয়তো কখনও স্বাভাবিক সম্পর্ক গুলোকে তুচ্ছ করে। কখনও বঞ্চিত করে। আজকাল অনেক শিক্ষিতরাই জানে না বাবা মায়ের সাথে কিভাবে আচরন করতে হবে। কিভাবে সন্তানের সাথে আচরন করতে হবে। আপনি মা বাবা এখন চারপাশের পরিবেশ বা বাস্তবতার কারনে সন্তান চলছে না আপনার মন মতো। এখন আপনি কি সন্তানের সাথে মা বাবা হওয়ার ক্ষমতা দেখাবেন? তাকে খাওয়ানো পড়ানোর খোটা দিবেন। নাকি তার গায়ে হাত তুলবেন।আজকাল জীবনটা অনেক বেশী বায়বীয় হয়ে যাচ্ছে।সেদিন শুনলাম এক ঘটনা।


২২ বছর বয়সী প্রবাসী সন্তান তার মা বাবা কে পাত্তা দেয় না। বাবা শাসন করতে চাইলে তার বাবাকে পুলিশের হুমকি দেয়। হায়রে প্রবাসী স্বাধিনতা! আত্মনির্ভরতা!আত্মনির্ভরশীলতা এখন সর্ম্পক নষ্টের অন্য নাম। ২০১৪ সালে কানাডায় যাওয়ার সূযোগ হয়েছিল। এক বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে হয়েছিল এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা।কানাডায় ভদ্র মহিলা অনেক বছর আছে।এক ছেলে এক মেয়ে। কোন কিছুর কমতি নেই জীবনে। কিন্তু অল্প পরিচয়ে মহিলার বাচলতা প্রমান করলো বুকে অনেক কথা জমেছিল। আমাকে দেখে হয়তো বাধহীন কথার বন্যা। এক পর্যায়ে জানাল ছেলে মেয়েরা কথা শুনে না। তাদের কথা বুঝতেই তিনি ফরাসী শিখছেন। কারন ছেলে মেয়েরা বাঙালি মায়ের চোখ ফাকি দিতে বন্ধুদের সাথে ফরাসিতে কথা বলতো। আবার সেদিন শুনলাম এক পরিচিত আপু ইউরোপে তার টিনএজ মেয়ে নাকি তাকে অবমূল্যায়ন করতো। পাত্তা দিতে চাইত না। কারন আপু অল্প বয়সে অল্প শিক্ষা নিয়েই ইউরোপ গিয়েছিল।

খুব ভালো ইংরেজি পারতো না। তার মেয়ে নাকি মা কে ফাকি দিতে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ইংরেজিতেই কথা বলতো। আপু তাই সন্তান লালন পালনের জন্যই পুনরায় ইংরেজি চর্চা শুরু করেছেন। জাপানিদের আমরা ভাল বলেই জানি। কিন্তু ওদের পরিবার গুলোতে ঢুকলে জানা যায় কতো রকমের যে মনোবিকার করা গল্প। ৫/৬ টা বয় ফ্রেন্ড বা গার্ল ফ্রেন্ড থাকা তো স্বাভাবিক ঘটনা। ওরা ফলো করে আমেরিকান সংস্কৃতি।কোন দেশকে গুরুত্ব না দিলেও আমেরিকার সব কিছুতে জাপানি ছেলে মেয়েরা প্রভাবিত হয়। এক হাফ বাঙালি হাফ জাপানি পরিবারের গল্প। মা বাবা ডিভোর্স হয়ে গেছে। সন্তানের সাথে আলাদা করে মা এবং বাবার সাথে যোগাযোগ আছে। কিন্তু মায়ের যেমন বয়ফ্রেন্ড আছে অপর দিকে বাবারও বউ আছে। মেয়ে বছর বছর নতুন নতুন বয় ফ্রেন্ড থাকে। কারও সাথেই জীবন ভাবতে পারে না।

কোন কারনে বাবা শাসন করতে চাইলে বাবাকেই তার জীবনের ভুল গুলোকে হাতিয়ার হিসেবে নেয়।পুলিশের ভয় দেখায়। প্রাচ্য আর প্রাশ্চাত্য দেশে মানুষ যায় স্বপ্নের জীবন রচনা করতে কিন্তু কি পায় জীবন থেকে। সব দেশেই পারিবারিক মূল্যবোধটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সন্তান যেমন বাবা মায়ের সাথে সঠিক আচরন করছে না। তেমনি মা বাবা ও। আবার উল্টা কাহিনী ও শুনেছি এই বাংলাদেশেই কয়েক বছর আগে পঞ্চাশ বছর উপরের বয়সী মায়ের পরকিয়ার লজ্জায় কলেজ পড়ুয়া ছেলে আত্মহত্যা করেছে। আজকাল কিছু মা বাবা ও অতি লোভী। নিজের সুখ এতো বেশি খুজে যে সন্তানের আবেগটা তাদের স্পর্শ করেনা। আর বাড়ে দূরত্ব।


যাইহোক বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এখনও ভাল আছে।কারন হাজার অভাব অভিযোগেও পারিবারিক মূল্যবোধটুকু টিকে আছে। এখনও ভাল মন্দে মা বাবা সন্তানকে বুকে জড়িয়ে কাঁদে হাসে। আবার সন্তানরা ও ভুল করার আগে কিংবা সফলতায় বাবা মায়ের মুখটাই মনে করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×